কমিউনিটির পরিচিত মুখ, বিশিষ্ট রাজনীতিবিদ ও সমাজসেবক মো. আব্দুস শহীদ দুদু (৬৭) আর নেই। গত ১৬ জুন বৃস্পতিবার নিউইয়র্কের মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে তিনি ইন্তেকাল করেন (ইন্না লিল্লাহ ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তিনি ফেঞ্চুগঞ্চ অর্গানাইজেশন অব ইউএসএ ইনকের সাবেক সভাপতি ও বর্তমান উপদেষ্টা, সিলেট গণদাবী পরিষদের সাবেক সাধারণ সম্পাদকসহ বিভিন্ন সামাজিক সংগঠনের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিলেন।
মৃত্যুকালে তিনি এক ছেলে দুই মেয়ে এবং আত্মীয়-স্বজনসহ অসংখ্য গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। বাংলাদেশে তাঁর গ্রামের বাড়ি সিলেট জেলার ফেঞ্চুগঞ্চ উপজেলার মাইজগাও। দীর্ঘদিন তিনি ব্রঙ্কসের পার্কচেস্টারে বসবাস করলেও সর্বশেষ এস্টোরিয়া এলাকায় ছিলেন।
আব্দুস শহীদ দুদু দীর্ঘদিন থেকে হৃদরোগে ভুগছিলেন। গত চার মাস আগে তাঁর ওপেন হার্ট সার্জারি হয়। এরপর সুস্থ হয়ে হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফিরে যান। দুই মাস না যেতেই তিনি আবার অসুস্থ হয়ে পড়েন। এরপর থেকে গত দুই মাস তিনি মাউন্ট সিনাই হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। আব্দুস শহীদ দুদুর মৃত্যুর খবর ছড়িয়ে পড়লে বাংলাদেশি কমিউনিটিতে স্বজন ও পরিচিতজনদের মাঝে শোকের ছায়া নেমে আসে। পরিবারের সদস্য ছাড়াও তার দীর্ঘদিনের সহকর্মী, বন্ধু ও এলাকার লোকজন তার লাশ দেখতে পার্কচেস্টার জামে মসজিদে ভিড় জমান। জানাজা শেষে গত ১৭ জুন শুক্রবার শেষ ইচ্ছা অনুযায়ী মরহুমের লাশ দাফন করার জন্য বাংলাদেশে গ্রামের বাড়িতে নিয়ে যাওয়া হয়। সেখানে ১৯ জুন রোববার জোহরের নামাজের পর পুনরায় জানাযা শেষে তাকে দাফন করা হয়েছে। এর আগে ঢাকায় তাঁর মরদেহ গ্রহণ করেন ফেঞ্চুগঞ্জের কৃতি সন্তান ও বাংলাদেশ অ্যাথলেটিক্স ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুর রকিব মন্টুসহ পরিবারের সদস্যরা।
ফেঞ্চুগঞ্চ অর্গানাইজেশন অব ইউএসএ ইনকের বর্তমান সাধারণ সম্পাদক ও বাংলাটাউন সুপার মার্কেটের কর্ণধার কাওসারুজ্জামান কয়েছের খালাতো বোনের স্বামী মরহুম আব্দুস শহীদ দুদু।
কাওসারুজ্জামান কয়েছ ঠিকানাকে জানান, আব্দুস শহীদ দুদু সাদা মনের মানুষ ছিলেন। তিনি ছিলেন সদালাপী ও মিষ্টভাষী। একইসঙ্গে তিনি ছিলেন পরোপকারী। তাঁর মৃত্যুতে বাংলাদেশি কমিউনিটি একজন প্রিয়জন হারালো।
এদিকে আব্দুস শহীদ দুদুর মৃত্যুতে বিভিন্ন সংগঠন ও ব্যক্তি শোক প্রকাশ করেছেন। পৃথক বিবৃতিতে তারা মরহুমের আত্মার মাগফিরাত কামনা এবং শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানিয়েছেন।
বিবৃতিদাতারা হলেন- ফেঞ্চুগঞ্জ অর্গেনাইজেশন অব আমেরিকা ইনকের সভাপতি জুনেদ আহমেদ চৌধুরী এবং সাধারণ সম্পাদক কাওসারুজ্জামান কয়েছ, সাংবাদিক নাজমুল আহসান, রাজনীতিদবিদ ও সংগঠক আব্দুর রহিম বাদশা, সিরাজউদ্দিন আহমদ সোহাগ, সিলেট সদর অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক দুরুদ মিয়া রনেল, নুরুদ্দীন, যুক্তরাষ্ট্র জাসদের সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম জিকু, সাংবাদিক শেখ শফিকুর রহমান প্রমুখ।