নিউইয়র্ক: যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্রেটিক পার্টির বিজয় নিশ্চিতে বহির্বিশ্বে আমেরিকান ভোটারদের সাথেও কার্যকর যোগাযোগ রক্ষা করা হচ্ছে। এরই অংশ হিসেবে গত সোমবার অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইউরোপীয় ইউনিয়নের অন্তর্ভুক্ত দেশসমূহে ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতৃবৃন্দের বৈঠকে যোগদান করেছিলেন ডেমোক্রেটিক পার্টির লিডারশিপ কাউন্সিলে জর্জিয়া স্টেটের প্রতিনিধি সিনেটর শেখ রহমান।

বৈঠক থেকে ফেরার পথে ৮ অক্টোবর শনিবার সন্ধ্যায় জেএফকে এয়ারপোর্ট থেকে সিনেটর শেখ রহমান বাংলাদেশ প্রতিদিনকে জানান, ৮ নভেম্বরের নির্বাচনে কংগ্রেসের উভয়কক্ষের নেতৃত্ব নিরঙ্কুশ করতে বহির্বিশ্বের ভোটের অপরিসীম ভূমিকা থাকবে। ডেমোক্রেটিক পার্টির ভোটার হিসেবে তালিকাভূক্ত ৭ লাখের অধিক আমেরিকান বিভিন্ন দেশে বাস করছেন।

সিনেটর রহমান উল্লেখ করেন, গত প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে বিদেশ থেকে ডাকযোগে ১৮ হাজার ৮৬৭ ব্যালট এসেছিল কেবল জর্জিয়া স্টেটেই। এই ব্যালটের প্রভাব পড়েছিল জো বাইডেনের বিজয়ে। জর্জিয়া স্টেটে ট্রাম্পের চেয়ে বাইডেন ১১ হাজার ৭৭৯ ভোট বেশি পেয়ে জয়ী হয়েছেন। সে আলোকে জর্জিয়া ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা এবং জর্জিয়া স্টেট গভর্নর প্রার্থী স্ট্যাসি আব্রামস’র প্রতিনিধি হিসেবে আমি ইউরোপীয় ইউনিয়নের বিভিন্ন দেশের ডেমোক্রেটিক পার্টির লিডারদের নিয়ে বৈঠক করেছি। সকলেই যাতে ডাকযোগে তাদের ব্যালট যথাসময়ে প্রেরণ করেন সে তাগিদ দিয়েছি। 

 

সিনেটর রহমান বলেন, দূতাবাস, কন্স্যুলেট ছাড়াও বিভিন্ন দেশে মার্কিন বাহিনী অবস্থান করছে। তারাই ব্যালট পাঠিয়ে থাকেন ডাকযোগে।

সিনেটর রহমান জানান, বহির্বিশ্বের ভোটারের সিংহভাগই ডেমোক্রেট বিধায় লিডারশিপ কাউন্সিলের সদস্যরা চষে বেড়াচ্ছে বিভিন্ন দেশ। একটি ব্যালটও যাতে মিস না হয়, ভুল না হয়-সে ব্যাপারেও কথা হয়েছে। আশা করছি, সকলেই আন্তরিকতার সাথে দায়িত্ব পালন করবেন। কারণ, এবারের মধ্যবর্তী নির্বাচনে ডেমোক্রেটরা বিপুল বিজয় না পেলে বাইডেনের অনেক নির্বাচনী অঙ্গিকারই পূরণ করা সম্ভব হবে না। বহির্বিশ্বের মতো অভ্যন্তরীণ ভোটারদের প্রতিও তাগিদ অব্যাহত রয়েছে কেন্দ্রে গিয়ে ব্যালট যুদ্ধে অবতীর্ণ হবার জন্যে।

প্রসঙ্গত, কিশোরগঞ্জের সন্তান শেখ রহমান গত মেয়াদের মতো সামনের নির্বাচনেও জর্জিয়া স্টেট সিনেটে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় বিজয়ের পথে রয়েছেন।