ব্রঙ্কসের খলিল বিরিয়ানী হাউসে “ হান্ডি বিরিয়ানী” বিক্রি শুরু হয়েছে। গত ৩ সেপ্টেম্বর থেকে খলিল বিরিয়ানী হাউস এবং খলিল চাইনিজ এই দুই শাখাতেই আনুষ্ঠানিক বিক্রি শুরু হয়। মাটির হাঁড়িতে রান্না করা এই বিশেষ বিরিয়ানি এখন থেকে সপ্তাহের শুক্র শনি রবি এই হান্ডি বিরিয়ানী পাওয়া যাবে বলে নিশ্চিত করেছেন প্রতিষ্ঠানের স্বত্বাধিকারী শেফ খলিলুর রহমান। তিনি বলেন,হান্ডি বিরিয়ানী তৈরিতে আপাতত চিকেন এবং মাটন ব্যবহার করা হবে। এক হাঁড়ি বিরিয়ানী চারজন সহজেই খেতে পারবেন। প্রতি হাঁড়ির মূল্য হবে মাটন ৮০ ডলার এবং চিকেন প্রতি হাঁড়ি ৬০ ডলার। এক প্রশ্নের জবাবে খলিলুর রহমান বলেন, আগেকার দিনে মাটির হাঁড়ির চল ছিল সবচেয়ে বেশি। ধীরে ধীরে যুগের সঙ্গে রান্নার ধরনেও পরিবর্তন এসেছে। সঙ্গে মাটির হাঁড়ির ব্যবহারও বেশ কমে গিয়েছে। কিন্তু গবেষণা বলছে মাটির হাঁড়িতে রান্না করলে সে খাবারের স্বাদ যেমন আলাদা হয়, তেমনই তা স্বাস্থ্যের পক্ষেও উপকারি। আমাদের গ্রাহকদের স্বাস্থ্যসম্মত এবং মজাদার খাবার উপহার দেয়ার লক্ষ্যেই আমি এই হান্ডি বিরিয়ানী চালু করেছি। জনাব খলিল বলেন, আদি কালে মানুষ পাত্র বলতে মাটির পাত্রই চিনতো। মাটির পাত্রছিলো পরিবেশবান্ধব ও মানবদেহের জন্য উপকারি। কিন্তু পরেএকসময় মাটির পাত্রের স্হান দখললকরে নেয় চীনা মাটি, কাসা পিতল, প্লাট্ট্ক এবং পরে ওয়াল চাইম কাগজের বাটি প্লেট ইত্যাদি। জনাব খলিল বলেন, খাদ্যগুণ বজায় রেখে,স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে মাটির হাঁড়িতে রান্না করে খেলে ভাল থাকে শরীরও। তাই ধাতুর পাত্র এড়িয়ে অনেকেই হালে পরিবেশবান্ধব এই মাটির হাঁড়ি ব্যবহার করা শুরু করেছেন। খলিল আরো বলেন রেস্টুরেন্টে গ্রাহকের আস্থা, নিজের অভিজ্ঞতা আর সেরা খাবারটি পরিবেশনের দৃঢ় মনোবল নিয়ে এই ‘হান্ডি বিরিয়ানি চালু করতে যাচ্ছি। নিউইয়র্কের ভোজনরসিকদের সাড়া পাবো বলে আমি দৃঢ ভাবে আশা করছি।’ তিনি প্রবাসী বাংলাদেশীদের এই হান্ডি বিরিয়ানির স্বাদ নেয়ার আহ্বান জানান। গ্রাহকদের জন্য হান্ডি বিরিয়ানি উদ্বোধনের সময় বাফার প্রেসিডেন্ট ফরিদা ইয়াসমিন, ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি গার্ডেনের প্রেসিডেন্ট কামরুজ্জামান বাবু, সুন্দরবন গ্রোসারি এন্ড হালাল মিটের স্বত্বাধিকারী স্বপন তালুকদার, সাংবাদিক হাবিব রহমান সহ কমিউনিটির গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।