নিউইয়র্কে এসেম্বলীওম্যান ন্যাথালিয়া ফার্নান্ডেজের বালিশ খেলায় অংশগ্রহণের মধ্য দিয়ে আনন্দমুখর পরিবেশে অনুষ্ঠিত হয়েছে ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের বনভোজন। গত ২৭ আগষ্ট শনিবার অনুষ্ঠিত এ আয়োজনে নিউইয়র্কে বসবাসরত বিপুল সংখ্যক প্রবাসী দিনভর প্রাকৃতিক সোৗন্দর্যমন্ডিত ব্রঙ্কসের ফেরী পয়েন্ট পার্কের খোলা মাঠে আনন্দে মেতে ওঠেন। উপভোগ করেন খেলা-ধূলা সহ মজাদার সব খাবার।  সংগঠনটির সাধারণ সম্পাদক কাজী রবি-উজ-জামানের পরিচালনায় সভাপতি কামাল উদ্দিন সংগঠনের কর্মকর্তা ও অতিথিদের সাথে নিয়ে বেলুন উড়িয়ে বনভোজনের আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর পর বিবি’র সাধারণ সম্পাদক কাজী রবি-উজ-জামান বনভোজন উদযাপন কমিটিকে পরিচয় করিয়ে দেন। বনভোজন উদযাপন কমিটিতে ছিলেন আহবায়ক এ ইসলাম মামুন, যুগ্ম আহবায়ক মমতাজ উদ্দিন, বুরহান উদ্দিন, আবুল হাশেম ও মোজাফফর হোসেন, সদস্য সচিব আবুল খায়ের আকন, যুগ্ম সদস্য সচিব মোঃ রিয়াজুল হাসান জনি, প্রধান ট্রেজারার আবুল মনসুর, ট্রেজারার হাফিজুর রহমান, প্রধান সমন্বয়কারী খবির উদ্দিন ভুঁইয়া, সমন্বয়কারী জুয়েল লস্কর ও সৈয়দ আসাদুজ্জামান। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন সাইফুল ইসলাম, এমডি কাইয়ুম, কাজী আব্দুল আউয়াল, নোনা মিয়া, মোঃ সেলিম ও সাহিন খান। স্বাগত বক্তব্য রাখেন বনভোজন উদযাপন কমিটির আহবায়ক এ ইসলাম মামুন। পরে বিভিন্ন খেলা-ধুলা অনুষ্ঠিত হয়। খেলা-ধুলার মধ্যে ছিল ফুটবল, দৌড়, বালিশ খেলা, বল নিক্ষেপ ইত্যাদি। শিশু-কিশোর সহ নানা বয়সী নারী-পরুষ এতে অংশ নেন। পরিবেশিত হয় গান ও কবিতা। বনভোজনে অংশগ্রহণকারীদের সকালে নাস্তা, দুপুরের খাবারে সুস্বাদু বাংলাদেশী খাবার এবং বিকালে ঝালমুড়ি পরিবেশন করা হয়। খেলা-ধুলায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে বনভোজনের কার্যক্রম শেষ হয়। পুরস্কার বিতরণীতে ছিলেন নিউইয়র্ক স্টেট সিনেটে ডেমোক্রেটিক প্রাইমারী নির্বাচিত এসেম্বলীওম্যান ন্যাথালিয়া ফার্নান্ডেজ, বাংলাদেশী-আমেরিকান কমিউনিটি কাউন্সিলের সভাপতি মোহাম্মদ এন মজুমদার, বাংলাদেশী আমেরিরান ওয়েলফেয়ার এসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক শেখ জামাল হুসেন, বাংলাবাজার বিজনেস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক মোঃ খলিলুর রহমান, সহ সাধারণ সম্পাদক সুমন চৌধুরী, দপ্তর সম্পাদক এমবি হোসেন তুষার, মুক্তিযোদ্ধা তোফায়েল চৌধুরী, এনওয়াইপিডির সিনিয়ার ডিটেকটিভ অফিসার মাসুদ রহমান, সার্জেন্ট বিলাল উদ্দিন, ব্রঙ্কস বাংলাদেশ এসোসিয়েশনের কুমিল্লা সোসাইটি অব ইউএসএ’র সহ সভাপতি মিয়া মোহাম্মদ দাউদ, মহিলা বিষায়ক সম্পাদক সালমা সুমি, স্টার্লিং ডায়গনস্টিকের জেনারেল ম্যানেজার মোহাম্মদ আলী, কমিউনিটি এক্টিভিস্ট নূরে আলম জিকু, সারোয়ার চৌধুরী, অধ্যক্ষ সানাউল্লাহ্, রেক্সোনা মজুমদার, ফ্রেন্ডস এন্ড ফ্যামিলি গার্ডেনের সভাপতি কামারুজ্জামান বাবু, পার্কচেস্টার ব্রঙ্কস রিয়েলটির সালেহ আহম্মেদ, মোঃ জাকির চৌধুরী সিপিএ, হালাল ফ্রেসের আল-আমিন হোসেন ইমন, সাপ্তাহিক জাতীয় সময়’র রিপোর্টার আব্দুল্লাহ্ ফাহিম, হাসান ট্যাক্সি সার্ভিস’র হাসান কামরুল ইসলাম, হাসান গ্রোসারীর সিইও মীর্জা হাসান জনি, সুবেদার (অবঃ) এম এ মতিন, সুবেদার (অবঃ) সফিউল্লাহ, সেলিম রেজা, মোঃ শামীম, সাহাদাৎ হোসেন, মোঃ রাসেল, কামাল মন্ডল, শ্যামল কান্তি চন্দ, ইঞ্জিনিয়ার সাহিন, সাইফুল আলম, হাজী মাস্টার রেহান উদ্দিন, কামরুল হাসান টিপু, সাইফুল ইসলাম, নাছিম উদ্দিন নাসির, মাস্টার সাহাদত, এম ডি মকবুল, হাফিজ প্রমুখ। কমিউনিটি নের্তৃবৃন্দসহ বিপুল সংখ্যক প্রবাসী বাংলাদেশী বনভোজনে অংশ নেন। পবিত্র কুরআন থেকে তেলাওয়াত করেন মাহির ফয়সাল। বিভিন্ন খেলা-ধুলায় শিশু-কিশোর সহ নানা বয়সী নারী-পরুষ এতে অংশ নেন। খেলা-ধুলায় বিজয়ী : দৌড় (৫ হতে ৮ বছর) : নিহাল (১ম), ইফরানুর (২য়), রিয়ান (৩য়)। বালক দৌড় (৯ হতে ১২ বছর) ; মাহির ফায়সাল ত্রিডিব (১ম ), ইমদাদুল ইসলাম (২য়), আরিফুল ইসলাম (৩য়)। বালিকা দৌড় (৫ হতে ৮ বছর) : ইজাহ্ (১ম), শায়রা (২য়), আনিসা (৩য়)। বালিশ খেলা (নারী) : পলি ইসলাম (১ম), লামিয়া (২য়), সুলতানা নাসরিন (৩য়)। বালিশ খেলায় অন্যান্য নারীদের সাথে এসেম্বলীওম্যান ন্যাথালিয়া ফার্নান্ডেজের অংশগ্রহণে খেলাটি আরো আনন্দময় হয়ে ওঠে। বালিশ খেলায় শান্তনা পুরষ্কার হিসেবে লাক্স সাবান পেয়েছেন ন্যাথালিয়া ফার্নান্ডেজ। খেলাটি পরিচালনা করেন খবির উদ্দিন ভূঁইয়া ও সালমা সুমি। বল ঝুড়িতে নিক্ষেপঃ সেলিম রেজা (১ম), এমডি মকবুল (২য়), কামাল মন্ডল (৩য়)। খেলা পরিচালনা করেন এম এ নাসির। সহযোগীতায় ছিলেন মোজাফফর হোসেন ও জামাল উদ্দিন আহমেদ কাওছার চেয়ারম্যান। ফুটবল খেলায় অংশগ্রহনকারী সকলকে শার্ট প্রদান করা হয়। খেলা পরিচালনা করেন বীর মুক্তিযোদ্ধা এম.এ নাসির। সহযোগীতায় ছিলেন অধ্যক্ষ সানাউল্লাহ, আবুল খায়ের আকন্দ, কামাল মন্ডল, শ্যামল কান্তি চন্দ, সেলিম রেজা, জুয়েল লস্কর, মোজ্জাফর হোসেন, বীর মুক্তিযাদ্ধা আব্দুস সালাম। খেলাধুলায় অংশগ্রহণকারীদের মাঝে পুরস্কার বিতরণের মধ্য দিয়ে বনভোজনের কার্যক্রম শেষ হয়। সভাপতি কামাল উদ্দিন এবং সাধারণ সম্পাদক কাজী রবি-উজ-জামান বনভোজনে অংশ নেয়ার জন্য সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেন, ঐক্যবদ্ধভাবে যে কোন কাজ সুন্দর করে করা সম্ভব। আপনাদের উপস্থিতি ও পরামর্শে আমাদের আয়োজন সার্থক হয়েছে। অতিথিরাও আয়োজকদের ধন্যবাদ জানান।