বিশ্বব্যাপী অর্থনৈতিক অস্তিরতার  কারণে সৃষ্ট সমস্যা কাটিয়ে যুক্তরাষ্ট্রে  বাংলাদেশ সরকারের মালিকানাধীন সোনালী ব্যাংকের অঙ্গ প্রতিষ্ঠান ‘সোনালী এক্সচেঞ্জ’ এখন থেকে ভালো রেট দিচ্ছে। বিভিন্ন কারণে কিছুদিন আগে যুক্তরাষ্ট্রে এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোর মধ্যে ডলারের বিনিময়ে টাকার রেট অসামঞ্জস্যপূর্ণ ছিল। বাংলাদেশে টাকা পাঠানোর ক্ষেত্রে অনেক প্রবাসীই এক্সচেঞ্জ হাউসগুলোতে ছুটে বেড়িয়েছেন একটু ভালো রেট পাওয়ার প্রত্যাশায়। কিন্তু বর্তমান সময়ে এই অস্তির অবস্থা অনেকটাই সামলে নেয়া হয়েছে বলে দেখা যাচ্ছে। সরকারি প্রতিষ্ঠান হয়েও ‘সোনালী এক্সচেঞ্জ’ আগামীতে  প্রবাসীদের ভালো রেট দিতে পারবে বলে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। সোনালী এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে বিশ্বস্ততা ও নিরাপত্তার জায়গায় এ প্রতিষ্ঠানটি প্রবাসীদের বন্ধু হিসেবে অতীতেও ছিল আর ভবিষ্যতেও থাকবে। করোনার ভয়াবহতার মধ্যেও প্রবাসীদের দীর্ঘদিন সর্বোচ্চ রেট ও ভালো সেবা দিয়ে গেছে প্রতিষ্ঠানটি। এই অস্থির  সময়ে কিছুদিন প্রতিষ্ঠানটির অনেক গ্রাহকই হয়ত বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানকে বেছে নিয়ে ছিলেন রেটের ব্যবধানের কারণে। বর্তমানে আর এই ব্যবধান নেই এবং ভবিষ্যতেও থাকবে না বলে আশাবাদ ব্যক্ত করা হয়েছে প্রতিষ্ঠানটির পক্ষ থেকে। সরকারি প্রতিষ্ঠান হিসেবে সোনালী  এক্সচেঞ্জ  কিন্তু বাংলাদেশে অবস্থানরত সকল ব্যাংকে একই রেট দিয়ে থাকে। অর্থাৎ অ্যাকাউন্ট ডিপোজিট, ক্যাশ পিকআপ বা বিকাশ পেমেন্ট সবক্ষেত্রেই কিন্তু প্রতিষ্ঠানটির রেট একই। নীতিগত কারণে নির্দিষ্ট কোনো ব্যাংক বা একাধিক ব্যাংকে একটু বেশি রেট দিয়ে সোনালী এক্সচেঞ্জ গ্রাহক আকৃষ্ট করে না। অন্যদিকে গ্রাহক স্বার্থে বিভিন্ন দোকান বা প্রতিষ্ঠানকে এজেন্সি দিয়ে ব্যবসা পরিচালনা করে  না। সবসময়  শাখা অফিস নিয়ে নিজস্ব স্বকীয়তায় সর্বোচ্চ গ্রাহকসেবা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে হয় এই প্রতিষ্ঠানটিকে। সোনালী এক্সচেঞ্জের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, প্রবাসীদের সেবা দিয়ে যদি একটি পেনিও লাভ হয় তা কিন্তু পরোক্ষভাবে বাংলাদেশে অবস্থানরত ভাই-বোনদের উন্নয়ন তথা বাংলাদেশের উন্নয়নেই ব্যয় হয়। আর এ প্রতিষ্ঠানের মালিক কিন্তু কোনো একক ব্যক্তি নয় বরং সকল দেশবাসী এবং আপনি নিজেও। তাই একান্তই আপনার নিজের প্রতিষ্ঠান মনে করে অতীতের মতো আগামীতেও সোনালী একচেঞ্জের পাশে থাকবেন এবং আপনার কষ্টার্জিত অর্থ দেশে পাঠাতে সোনালী এক্সচেঞ্জকেই মাধ্যম হিসেবে ব্যবহার করবেন, প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে এ আশাবাদ প্রকাশ করা হয়েছে।