নিউইয়র্ক সিটি মেয়র এরিক অ্যাডামসের উদ্যোগে উদযাপিত হলো বাংলাদেশ হেরিটেজ ডে। বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বাংলাদেশ হেরিটেজ ডে উপলক্ষে আয়োজিত অনুষ্ঠানে সিটি প্রশাসন ছাড়াও জনপ্রতিনিধি আর বিভিন্ন শ্রেণী পেশার বিশিষ্টজনেরা উপস্থিত ছিলেন। প্রবাসী বাংলাদেশিদের উপস্থিতিতে মেয়রের সরকারি বাসভবন গ্রেসি ম্যানশন হয়ে উঠে এক টুকরো বাংলাদেশ। পরিণত হয় বাংলাদেশিদের মিলনমেলায়।
অনুষ্ঠানে কমিউনিটি সেবায় বিশেষ অবদানের জন্য ৪জন ব্যক্তির হাতে সম্মাননা তুলে দেন মেয়র। বাঙালীর অবিস্মরণীয় বিজয়গাথা নিয়ে অলোচনা করা হয়। আয়োজন করা হয় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের। ছিলো বাঙালি খাবারও। এক অন্যরকম সন্ধ্যা কেটেছে প্রবাসী বাংলাদেশিদের।
অনুষ্ঠানে বাংলাদেশিদের ভূয়সী প্রসংশা করেন আফ্রিকান আমেরিকান মেয়র এরিক এডামস । বলেন, বিশ্বের রাজধানী খ্যাত নিউইয়র্ক সিটির উন্নয়নে বাংলাদেশিদের অবদান অনস্বীকার্য। ক্রমবর্ধমান কমিউনিটির সদস্য হিসেবে বাংলাদেশিরা নিউইয়র্ক সিটিকে বসবাসের চমৎকার একটি জনপদে পরিণত করতে প্রশংসনীয় ভূমিকা পালন করছেন। সিটি প্রশাসনের চিফ অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ অফিসার থেকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্বে অধিষ্ঠিত হয়েছেন বাংলাদেশি আমেরিকানরা। পুলিশ প্রশাসনেও বাংলাদেশিদের অবদান অনস্বীকার্য।
মেয়র এরিক এডামস বলেন, আমি বহুজাতিক এই সিটির মেয়র হয়েছি আপনাদের মতোই একটি কমিউনিটির সদস্য হিসেবে। আমেরিকান স্বপ্ন পূরণের পথে মার্কিন রাজনীতি ও প্রশাসনের সম্পৃক্ততার বিকল্প নেই বলে মন্তব্য করে তিনি বলেন, আপনারা যদি ঐক্যবদ্ধ থাকেন, তাহলে ভোটের ময়দানে আপনারাও বিজয় অর্জনে সক্ষম হবেন। এখনই সময় বিশ্বে সবচেয়ে শক্তিশালী দেশের শক্তিশালী সিটিতে নিজের ভয়েস তুলে ধরার।
এ সময় আরও বক্তব্য দেন সিটি মেয়রের চিফ প্রশাসনিক কর্মকর্তা বাংলাদেশি-আমেরিকান মীর বাশার, নিউইয়র্কে বাংলাদেশের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা, বাংলাদেশ সোসাইটির সভাপতি আতাউর রহমান সেলিম ও সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ আলী। মীর বাশার সবাইকে স্বাগত জানান।
তারা জাঁকজমকভাবে বাংলাদেশ হেরিটেজ ডে অনুষ্ঠান আয়োজনের জন্য মেয়রের প্রতি ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। মেয়রের এই ধরনের উদ্যোগকে সাধুবাদ জানান। বাংলাদেশিদের সঙ্গে মেয়রের আন্তরিক সম্পর্কের প্রশংসা করে বলেন, মেয়র এরিক এডামস বাংলাদেশিদের জন্য সবসময় তার দরজা উন্মুক্ত রেখেছেন । বাংলাদেশিদেরকে আপন মনে করেন। যুক্তরাষ্ট্রের মাটিতে দেশের সম্মান রক্ষায় বাংলাদেশি কমিউনিটি ঐক্যবদ্ধভাবে কাজ করে যাবে, এমনটাই প্রত্যাশা সবাইর।
অনুষ্ঠানে ঠিকানা পত্রিকার প্রতিষ্ঠাতা-সম্পাদক এম এম শাহীন ও আবাসন ব্যবসায়ী নুরুল আজিমসহ চারজনকে বিশেষ সম্মাননা স্মারক প্রদান করা হয়। সংগীত পরিবেশন করেন শিল্পী রানো নেওয়াজ এবং অনিক রাজ। সেতারে বাউল কালা মিয়া ও ঢুলি শফিক বাঙালি সংস্কৃতির হৃদয়কাড়া সুর উজ্জীবিত করেন।