বাংলাদেশ উপ-হাইকমিশন মুম্বাই-এ আজ বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর ৯২তম জন্মবার্ষিকী যথাযথ মর্যাদায় পালন করা হয়। এ উদ্দেশ্যে উপ-হাইকমিশন প্রাঙ্গনে তাঁর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন, বিশেষ আলোচনাসভা, প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ এবং দোয়া ও মোনাজাতের আয়োজন করা হয়।
মুম্বাইস্থ বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার জনাব চিরঞ্জীব সরকার জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পনের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন। এরপর তিনি বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের সুদীর্ঘ আন্দোলন ও মুক্তিসংগ্রামের নেপথ্যের কারিগর, জাতির পিতার সক্রিয় সহযোগী, অদম্য বাংলাদেশের প্রেরণা এবং মহীয়সী বঙ্গমাতা ফজিলাতুন নেছা মুজিব-এর প্রতিকৃতিতে পুষ্পস্তবক অর্পন করেন। আলোচনা সভায় বাংলাদেশের উপ হাইকমিশনার বঙ্গমাতার বর্ণাঢ্য ও গৌরবময় জীবনের বিভিন্ন দিক তুলে ধরেন। তিনি বলেন অসাধারণ দূরদৃষ্টিম্পন্ন বঙ্গমাতা ছোটবেলা থেকেই ছিলেন দৃঢ়চেতা ও বলিষ্ঠ চরিত্রের অধিকারী । তিনি ছিলেন নির্লোভ, নিরহংকার ও পরোপকারী এক মহান ব্যক্তিত্ব। বিত্ত-বৈভব ও ক্ষমতা তাঁকে আকৃষ্ট করতে পারেনি। রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর সহধর্মিণী হয়েও তিনি সাদামাটা জীবনযাপন করতেন। তিনি একদিকে বঙ্গবন্ধুর পরিবার সামাল দিয়েছেন এবং অপরদিকে জাতির পিতাকে দিয়েছেন সাহস ও অনুপ্রেরণা। এভাবেই তিনি বাংলাদেশের স্বাধীকার আন্দেলনে অগ্রণী ভূমিকা রেখে হয়ে উঠেছেন সত্যিকারে একজন বঙ্গমাতা। তাঁর আদর্শে উদ্ভুদ্ধ হয়ে আগামী প্রজন্মকে দেশ ও জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। এসময়ে বঙ্গমাতার বিদেহী আত্মার মাগফেরাত এবং দেশ ও জাতির মঙ্গল ও সমৃদ্ধি কামনায় দোয়া ও মোনাজাত করা হয়। অনুষ্ঠানে স্বাধীনতা সংগ্রামের মহান এ রূপকারের জীবনভিত্তিক একটি প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শণ করা হয়। উল্লেখ্য যে, অনুষ্ঠানটি আয়োজনে স্বাগতিক দেশের করোনা মহামারী জনিত বিধি-নিষেধ অনুসরন করা হয়েছে।
উপ-হাইকমিশনের সকল কর্মকর্তা/কর্মচারী, প্রবাসী বাংলাদেশী এবং আমন্ত্রিত অতিথিবৃন্দ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন।