ছাত্রদলের কেন্দ্রীয় কমিটির সাবেক সভাপতি এবং গাজীপুর জেলা বিএনপির সভাপতি সাবেক এমপি ফজলুল হক মিলন ৬ ডিসেম্বর নিউইয়র্কে এক মতবিনিময় সমাবেশে সাম্প্রতিক স্বৈরাচার উৎখাতের আন্দোলনে প্রবাসীদের ভূমিকার প্রশংসা করে বলেছেন, ছাত্র-জনতার আন্দোলনের ফসল ঘরে তুলতে সকলকে ঐক্যবদ্ধ থাকতে হবে। প্রয়োজনীয় সংস্কার শেষে নির্বাচন দিতে হবে। এটা সময়ের দাবি। তিনি বলেন, পতিত স্বৈরাচারের সমর্থকেরা বিভিন্নভাবে মিথ্যাচার করছে। সংখ্যালঘু নির্যাতনের অলীক অভিযোগ করছে।

নিউইয়র্ক মহানগর উত্তর ও দক্ষিণের সহায়তায় নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির এ সমাবেশে বিশেষ সম্মানীত অতিথি হিসেবে বক্তব্য দেন বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির অন্যতম সদস্য গিয়াস আহমেদ। গিয়াস বলেন, ৫ আগস্ট স্বৈরাচার শেখ হাসিনা পালিয়ে ভারতে আশ্রয় নেয়ার পর নতুন ষড়যন্ত্রে মেতে উঠেছেন। গণতন্ত্র প্রত্যাশী মানুষের মধ্যে বিবাদ-বিভক্তির জঘন্য অপচেষ্টা করা হচ্ছে। এ ব্যাপারে সকলকে সচেতন থাকতে হবে। মার্কিন ধারার রাজনীতিক বিএনপির নেতা গিয়াস আহমেদ আরো বলেন, বাংলাদেশ পুলিশ বাহিনীতে যুক্তরাষ্ট্র পুলিশে কর্মরত প্রবাসীদের অভিজ্ঞতাকে ব্যবহারের একটি পদক্ষেপ নেয়া দরকার। একইভাবে প্রশাসনেও প্রবাসীদের সম্পৃক্ততার কথা ভাবতে পারেন সংস্কারের দায়িত্বে নিয়োজিতরা।

আয়োজক সংগঠন ‘স্টেট বিএনপির সভাপতি মাওলানা অলিঊল্লাহ মোহাম্মদ আতিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এবং সেক্রেটারি সাঈদুর রহমান সাঈদের পরিচালনায় এতে অতিথি হিসেবে আরো বক্তব্য দেন যুক্তরাষ্ট্র বিএনপির সাবেক সহ-সভাপতি এডভোকেট জামাল আহমেদ জনি, কোষাধ্যক্ষ জসীম ভ’ইয়া, যুক্তরাষ্ট্র মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি আলহাজ্ব বাবরউদ্দিন, যুবদলের কেন্দ্রীয় নেতা এম এ বাতিন, নিউইয়র্ক স্টেট বিএনপির সিনিয়র ভাইস প্রেসিডেন্ট জসীমউদ্দিন (ভিপি), আনোয়ার হোসেন, আরিফুর রহমান, সৈয়দা মাহমুদা শিরিন প্রমুখ।