চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয় (চবি) এলামনাই এসোসিয়েশন অব কানাডার বার্ষিক ‘বনভোজন ২০২২’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। সবুজের সমারোহে সজ্জিত টরন্টোর এডামস পার্কের মনোরম পরিবেশে গত ২৪ শে জুলাই (রবিবার) এই বনভোজন অনুষ্ঠিত হয়।
এলামনাইয়ের দুই দশকের ইতিহাসে এই প্রথম বিপুল উপস্থিতিতে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের মিলন মেলায় পরিণত হয় এই আয়োজন। একই দিনে এই প্রথম ‘শাটল ট্রেন ২০২২’ নামে ডাইরেক্টরি প্রকাশনা ভিন্নমাত্রা যোগ করেছে এবারের বনভোজনে। উৎসবের আমেজে ও আনন্দঘন পরিবেশে বনভোজন অনুষ্ঠানটি রকমারি সুস্বাদু খাবার, আকর্ষণীয় রাফেল ড্র, বিভিন্ন ধরনের স্পোর্টস ও এলামনাইয়ের নিজস্ব শিল্পীদের সঙ্গীত পরিবেশনায় সমৃদ্ধ ছিল। বৃষ্টির পূর্বাভাস থাকা স্বত্ত্বেও টরন্টো ও বিভিন্ন শহর থেকে এসে এই মিলন মেলায় সমবেত হয় প্রাক্তন শিক্ষার্থীরা।
অনুষ্ঠানের প্রথম দিকে সংগঠনের সাধারণ সম্পাদক শাজ্জাদ হোসেন সকলকে স্বাগত জানিয়ে সঞ্চালনার দায়িত্ব গ্রহণ করেন। এক পর্যায়ে সভাপতি এ এম এম তোহা ও ‘বনভোজন ২০২২’ এর আহ্বায়ক সাংগঠনিক সম্পাদক শেখ জসিম উদ্দিন বক্তব্য রাখেন। এসময় তিনি উপস্থিত সকলকে ধন্যবাদ জানিয়ে এলামনাইয়ের আগামী দিনের আয়োজনগুলোতেও সকলের অংশগ্রহণের আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
দিনভর চলতে থাকা এই আয়োজনের বিভিন্ন পর্বে দায়িত্বপ্রাপ্তদের সহযোগিতায় স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে আসেন অন্যান্য সদস্যরা।
‘শাটল ট্রেন ২০২২’ মোড়ক উন্মোচন করেন বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষকদ্বয় ড. সাদাত হোসেন, ড. কাজী সদরুল হক, ডাইরেক্টরি প্রকাশনা কমিটির ড. হুমায়ুন কবির ও স্বপন কুমার নাথ। রাফেল ড্রয়ের পুরস্কারসহ অন্যান্য পুরস্কার বিতরণে অন্যান্যদের সাথে উপস্থিত ছিলেন এলামনাইয়ের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি বীর মুক্তিযোদ্ধা ইলিয়াস মিয়া।
এক ঝাঁক প্রাক্তন শিক্ষার্থীদের শ্রম ও সম্মিলিত উদ্যোগে এই বনভোজন অনুষ্ঠান সফল হয়েছে। তারা হলেন- সনৎ বড়ুয়া, নাসিমা বেগম লাভলী, বিশ্বজিত পাল, দেবরাজ বিশ্বাস, কামরুল আলম চৌধুরী, রফিকুল ইসলাম, জহিরুল হক চৌধুরী, একেএম খোরশেদ আলম খান, কাজী আব্দুল বাসিত, রূপন কান্তি দাশ গুপ্ত, বিনয় মজুমদার, রাজিব কুমার ঘোষ, নাসিমা খানম নিলু, তেহজিনা এমদাদ নুপুর, সৈয়দা সেলিনা সারওয়ার, রওশন আকতার, প্রকৌশলী সিরাজুল ইসলাম, ফারুক হোসেন, নাসির উদ্দিন, আসনাফ ও ইউশা।