বিশেষ প্রতিনিধি: বাংলাদেশ সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তা (১৯৯৭-১৯৯৮ কার্যকরী কমিটি) ও মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতি বিজড়িত মেডিসন স্কয়ার গার্ডেনে প্রথম বাংলাদেশীদের প্রবাসে সর্ববৃহৎ ও ব্যয়বহুল দ্বাদশ ফোবানা সম্মেলনের উদ্যোক্তা কমিটির মিলিন মেলা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গত ৬ জানুয়ারী বুধবার জ্যামাইকার একটি রেস্টুরেন্টে এই অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। দীর্ঘ ২৫ বছর পর সাবেক কর্মকর্তাদের পারিবারিক মিলন মেলার আয়োজন সোসাইটির সাবেক কর্মকর্তাদের সৌহার্দ্য-সম্প্রীতির বিরল দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে।

প্রতিকূল আবহাওয়া সত্বেও নিউইয়র্কে অবস্থানরত উক্ত কমিটির সকল কর্মকর্তা স্বপরিবারে হাজির হন এবং দীর্ঘসময় ধরে সেই সময়ের সোসাইটি ও ফোবানার বিভিন্ন বিষয়ে স্মৃতিচারন করেন। সাবেক কর্মকর্তাদের স্বামী ও স্ত্রীরা কিভাবে সেই সময় সহযোগিতা করেছেন সে বিষয়ও আলোচনায় স্থান পায়। অনুষ্ঠানের মাঝে ছিলো ডিনার পর্ব।

যুক্তরাষ্ট্র প্রবাসী বাংলাদেশীদের আমব্রেলা সংগঠন হিসেবে পরিচিত বাংলাদেশ সোসাইটির ১৯৯৭-১৯৯৮ সালের ১৭ সদস্য বিশিষ্ট কার্যকরী কমিটির ১০ জন কর্মকর্তা অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। ৪জন স্থায়ীভাবে বাংলাদেশে বসবাস করছেন, একজন অন্য রাজ্যে বসবাস করছেন আর দু’জন আমেরিকার বাইরে সফরে আছেন। সোসাইটির প্রাক্তন ১০ জন কর্মকর্তার মধ্যে তৎকালীন সভাপতি আক্তার হোসেন, সহ সভাপতি মাহমুদ চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক মোহাম্মদ হোসেন খান, সাংগাঠনিক সম্পাদক গিয়াস আহমেদ, সাংস্কৃতিক সম্পাদক স্বপ্না কাউছার, নাট্য সম্পাদক শেখ সিরাজ, আপ্যায়ন সম্পাদক মোহাম্মদ জামান তপন, কার্যকরী সদস্য কিউ জামান, খন্দকার ফরহাদ ও জাহিদ খান অরুন উপস্থিত ছিলেন।

কর্মকর্তাদের মধ্যে নিউইয়র্কের বাইরে ছিলেন কোষাধ্যক্ষ আবুল কালাম খান, প্রচার সম্পাদক মোহাম্মদ সেলিম ও সমাজকল্যাণ সম্পাদক নাজির সিনহা। বাংলাদেশে স্থায়ীভাবে বসবাস করছেন সহ সভাপতি মাকসুদুর রহমান চৌধুরী, সাহিত্য সম্পাদক আবু সাঈদ শাহীন, কার্যকরী সদস্য মোহাম্মদ আলী পলাশ ও বাদল খান।