২০২৩ রোববার নিউইয়র্ক ব্রংকসে সারাহ হোম কেয়ার শাখার উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয় গোল্ডেন প্যালেসে ।জাঁকজমকপূর্ণ এই অনুষ্ঠানে অতিথি হয়ে উপস্থিত হতে পেরে নিজেকে ধন্য মনে করেছিলাম ।এর পেছনে ছোট একটি কারণ আছে ।যা কিনা আমার এই লেখার মধ্যেই ব্যক্ত করবো।
 
সিরাজগঞ্জের কন্যা রিদওয়ানা রাজ্জাক যাকে সেতু বলে ডাকি।তার আমন্ত্রণে সেখানে যাওয়া।সম্পর্কে ননদ।ননদিনীর অনুষ্ঠান বলে কথা ।হলে ঢুকতেই সেতু এগিয়ে এসে জড়িয়ে ধরে স্বাগত জানায়।তার হাসি মাখা মুখ সব কিছু ভুলিয়ে দেয়।অনুষ্ঠান উপভোগ করছিলাম প্রাণভরে।খাওয়া দাওয়া ও ছিল রুচিসম্মত।এরই মাঝে খালেক ভাই যিনি এ অনুষ্ঠানের প্রাণকেন্দ্র এসে জিজ্ঞাসা করলেন আমার নাম কি ?সংক্ষেপে বললাম পলি ।উনি বললেন পুরো নাম বলেন।আমি বললাম কিন্তু তখনও বুঝতে পারছিলাম না কেন এই জিজ্ঞাসা ?কিছুক্ষণ পরেই আমার নাম ধরে ডাকা হলো ।বুঝতে পারছিলাম না এটা আমি কিনা,হ্যাঁ আমিই কারণ সাথে বলা হয়েছিল সাংবাদিক মনোয়ারুল ইসলামের জীবনসঙ্গিনী ।বাধ্য হয়ে স্টেজে যেতে হয়েছে এবং আমাকে সুন্দর স্কার্ফ দিয়ে সম্মাননা জানানো হয় ।এত বড় সম্মান যদি ক্যামেরাতে বন্দী করতে না পারি তা হলে স্মৃতি টুকুই মুছে যাবে ।তাই কর্তাকে বললাম ক্যামেরাতে বন্দী করতে ।যদিও ক্যামেরাম্যান ছিলেন ।যিনি নিজেকে সুপার ক্যামেরাম্যান এবং সুপার ফটোগ্রাফার বলে দাবি করে ।সুপার ক্যামেরাম্যান এবং সুপার ফটোগ্রাফার হতে গেলে যে যোগ্যতা থাকা দরকার সেটা কি আছে ?হ্যাঁ আমি হয়তো তার চোখে অসুন্দর,অপ্রিয় কিন্তু এই অসুন্দর ,অপ্রিয় অতিথিদের   ছবি তোলার জন্যই পারিশ্রমিক দিয়ে নিয়োগ করা হয় সেটা হয়তো ভুলে গিয়েছেন ।