NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫ | ১৫ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

বিচ্ছেদের গুঞ্জনে পানি ঢাললেন শোয়েব মালিক


খবর   প্রকাশিত:  ২৭ নভেম্বর, ২০২৩, ০৫:৪১ পিএম

বিচ্ছেদের গুঞ্জনে পানি ঢাললেন শোয়েব মালিক

পাকিস্তানের ক্রিকেট অলরাউন্ডার শোয়েব মালিক ও সাবেক টেনিস তারকা সানিয়া মির্জার দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে জলঘোলা কম হয়নি। যাদের নিয়ে এত সরব ভারত-পাকিস্তানের সংবাদমাধ্যমগুলো, সেই দুজন বরাবরই চুপ থেকেছেন। সংবাদমাধ্যমগুলো রীতিমতো মালিকের সঙ্গে বেশ কয়েকজন পাকিস্তানি অভিনেত্রীর সম্পর্ক জোড়া লাগিয়ে দিচ্ছিল। তবে এবার নিজেদের দাম্পত্য সম্পর্ক নিয়ে মুখ খুলেছেন মালিক। তিনি মূলত এতদিন ধরে চলা সেসব গুঞ্জনে পানি ঢেলে দিয়েছেন।

 

সম্প্রতি পাকিস্তানের একটি টেলিভিশন চ্যানেলে ঈদের অনুষ্ঠানে হাজির হয়েছিলেন দেশটির এই ক্রিকেট অলরাউন্ডার। সেখানে তিনি নিজেদের ব্যস্ত সূচির কথা জানান। যার কারণে সানিয়া মির্জার সঙ্গে একত্রে সময় কাটানো হচ্ছে না বলেও দাবি মালিকের। এই সময় তিনি বলেন, তাদের নিয়ে বিচ্ছেদের খবর ভিত্তিহীন।

মালিক-সানিয়া দম্পতির যুগল জীবন শুরু হয় ২০১০ সালের ১২ এপ্রিল। ২০১৮ সালে সানিয়া-মালিকের ঘর আলো করে আসে পুত্রসন্তান ইজহান মির্জা মালিক। বর্তমানে মায়ের সঙ্গেই রয়েছে ইজহান। ক্যারিয়ারের তাগিদে তারা নিজ নিজ দেশে অবস্থান করছেন। তবে শোয়েব-সানিয়ার বিচ্ছেদের গুঞ্জনের মধ্যেই একটি অনলাইন অনুষ্ঠানের প্রচারণা করেছিলেন দুজন। এরপর অবশ্য নিজেদের সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম অ্যাকাউন্টে গত ছয় মাস ধরে দুজনকে তেমন ছবি শেয়ার দিতে দেখা যায়নি।

dhakapost
স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদ কাটানোর ইচ্ছা ছিল মালিকের

সেই প্রসঙ্গ টেনে এনেই মালিক স্বীকার করেছেন, প্রত্যেকটি দাম্পত্য সম্পর্কে উত্থান-পতন রয়েছে। তবে দূরে থাকা স্ত্রী ও সন্তানের সঙ্গে ঈদ উদযাপনের ইচ্ছার কথা জানান তিনি, ‘এই ঈদে আমার স্ত্রী ও সন্তান দূরে রয়েছে। তাদের সঙ্গে একত্রে ঈদ উদযাপনের খুব ইচ্ছা ছিল।’

বিয়ের আগে মালিক ক্রিকেট সফরের জন্য আত্মীয় স্বজনদের মিস করার কথা জানিয়েছিলেন। এবার বিয়ের পর ভিনদেশি স্ত্রী ও সন্তানকেও ব্যস্ত সূচির কারণে মিস করার কথা স্মরণ করলেন।

 

ওই অনুষ্ঠানে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সম্পর্ক উন্নয়নের বিষয়ে মালিককে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‌‌‘খেলা আমাদের এক হতে শেখায়। তাই সুযোগ পেলেই আমাদের একে অপরের দেশে গিয়ে খেলা উচিত। আমরা পড়শি। এতে আমাদের দু’দেশেরই ভাল হবে। এখনও আইসিসি প্রতিযোগিতায় ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের জনপ্রিয়তা সবচেয়ে বেশি। আমরা একে অপরের দেশে গিয়ে খেললে দু’দেশের সম্পর্কও অনেক ভাল হবে।’