NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১৫, ২০২৫ | ১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পৃথিবীর ভবিষ্যৎ আমাদের প্রত্যেকের হাতে: প্রধান উপদেষ্টা সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা ট্রাম্পের দিল্লি ক্যাপিটালসে ডাক পেলেন মোস্তাফিজ লন্ডনের মঞ্চে ‘ডিডিএলজে’, চমকে দিলেন শাহরুখ খান জাতীয় নির্বাচন আয়োজনের বিষয়টি পুরোপুরি বাংলাদেশের অভ্যন্তরীণ ব্যাপার -প্রেস সচিব শিগগিরই মিসরের সঙ্গে ভিসা অব্যাহতি চুক্তি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা সৌদি আরবের সঙ্গে ১০০ বিলিয়ন ডলারের অস্ত্র চুক্তি হচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের ভারতের হামলায় ১১ সেনা নিহত, আহত ৭৮: পাকিস্তান আইএসপিআর কেন দাম কমে গেছে সুপারস্টার নয়নতারার পর্দা নামলো সেলিব্রিটি ক্রিকেট লিগের, বিজয়ী গিগাবাইট টাইটানস
Logo
logo

মিয়ানমারে জান্তার দুই বছর পূর্তির দিনে ভিন্নধর্মী ধর্মঘট


খবর   প্রকাশিত:  ০৭ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:২০ এএম

>
মিয়ানমারে জান্তার দুই বছর পূর্তির দিনে ভিন্নধর্মী ধর্মঘট

মিয়ানমারে সামরিক অভ্যুত্থানের দুই বছর পূর্তি উপলক্ষে ‘নীরব ধর্মঘট’ পালন করেছেন দেশটির গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারী কর্মীরা। বুধবার তারা সাধারণ জনগণকে বাড়িতে অবস্থান এবং দোকান-পাট বন্ধ রেখে স্বৈরশাসনের বিরুদ্ধে প্রতিবাদের আহ্বান জানান।

তাদের ভিন্নধর্মী এই নীরব প্রতিবাদের দিনে মিয়ানমারের ক্ষমতাসীন জান্তা সরকার-সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, কানাডা ও অস্ট্রেলিয়া। সামরিক বাহিনী বলেছে, দেশটি ‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতির’ মুখোমুখি হয়েছে। একই সঙ্গে চলতি বছর দেশটিতে জান্তা সরকার সাধারণ নির্বাচনের প্রতিশ্রুতি দেওয়ায় তা নিয়ে নতুন করে সন্দেহ তৈরি হয়েছে।

মিয়ানমারের প্রখ্যাত মানবাধিকার কর্মী তায়জার সান ফেসবুক পোস্টে বলেছেন, সামরিক বাহিনী যে কারচুপির নির্বাচনের পরিকল্পনা করছে ‘জনগণ তা মেনে নেবে না’ বলে প্রমাণ করার জন্যই এই ধর্মঘট চলছে।

ভিন্নধর্মী প্রতিবাদের দিনে ইয়াঙ্গুনের বাণিজ্যিক কেন্দ্রসহ দেশটির প্রধান প্রধান বিভিন্ন শহরের রাস্তাঘাট জনমানবশূন্য দেখা যাচ্ছে।
 
দেশটির আরেক গণতন্ত্রপন্থী আন্দোলনকারী থিনজার শুনলেই ই বলেছেন, সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে জনগণের প্রতিরোধ অব্যাহত রয়েছে; বিশেষ করে গ্রামীণ এলাকায়।

দেশটির রাজনৈতিক কারাবন্দিদের সহায়তা দানকারী সংস্থা অ্যাসিসটেন্স অ্যাসোসিয়েশন ফর পলিটিক্যাল প্রিজনার্স বলছে, ভিন্নমত দমনে সামরিক জান্তার অভিযানে এখন পর্যন্ত দেশটিতে ২ হাজার ৯০০ জন নিহত হয়েছেন।

সেনাবাহিনী ক্ষমতায় আসার পর দেশটির ১৫ লাখ মানুষ গৃহহীন হয়ে পড়েছেন, পুড়িয়ে দেওয়া হয়েছে ৪০ হাজার ঘরবাড়ি, ৮০ লাখ শিশু স্কুলে যেতে পারছে না এবং জাতিসংঘের হিসাব অনুযায়ী, অন্তত দেড় কোটি মানুষ চরম খাদ্য সঙ্কটে ভুগছেন।

দেশটির বেশিরভাগ অংশে ভয়াবহ গৃহযুদ্ধ চলছে। অভ্যুত্থানের পরপরই প্রতিবেশী দেশগুলোর সাথে এক বৈঠকে প্রতিশ্রুতি দেওয়ার পরও মিয়ানমারের সামরিক বাহিনী এখনও বিরোধীদের সাথে কোনও ধরনের আলোচনায় বসতে রাজি হয়নি।

বুধবার মিয়ানমারে স্বৈরশাসনের দুই বছরপূর্তির দিনে পশ্চিমা বিভিন্ন দেশের সরকার সেনা শাসক ও তার সমর্থকদের বিরুদ্ধে নতুন করে নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে। মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীকে জ্বালানি সরবরাহ করে এমন সংস্থাগুলোর বিরুদ্ধে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে ব্রিটেন। 

ব্রিটিশ পররাষ্ট্রমন্ত্রী জেমস ক্লেভারলি বলছেন, এই নিষেধাজ্ঞার উদ্দেশ্য হচ্ছে সেনাবাহিনীর অর্থ, জ্বালানি, অস্ত্র ও সরঞ্জাম পাওয়ার সুযোগ কমিয়ে আনা। বিরোধী কণ্ঠের নৃশংস দমন-পীড়ন, সন্ত্রাসী বিমান হামলা এবং নির্লজ্জ মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য (সামরিক) জান্তাকে অবশ্যই জবাবদিহি করতে হবে।

অস্ট্রেলিয়া মিয়ানমারের সামরিক বাহিনীর বিরুদ্ধে  প্রথম নিষেধাজ্ঞা ঘোষণা করেছে, যার লক্ষ্য ১৬ ব্যক্তিকে ‘মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী’ করা। পাশাপাশি সামরিক সরকার-নিয়ন্ত্রিত দুটি প্রধান ব্যবসায়িক সংস্থা, যা সে দেশের অর্থনীতিতে আধিপত্য বিস্তার করে আছে, তার বিরুদ্ধেও নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া।

মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞার লক্ষ্য সেনা-অনুমোদিত মিয়ানমারের নির্বাচন কমিশন, ‘গভীরভাবে ত্রুটিপূর্ণ নির্বাচনের পরিকল্পনাকে এগিয়ে নিতে সরকার যাকে নিয়োগ করেছে।’