মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সিরিয়ার ওপর থেকে সব ধরনের নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। বুধবার (১৪ মে) দীর্ঘ ২৫ বছর পর যুক্তরাষ্ট্র ও সিরিয়ার নেতাদের মধ্যে প্রথম সরাসরি বৈঠকের আগের দিন মঙ্গলবার (১৪ মে) এই ঘোষণা দেন তিনি।
বুধবার সৌদি আরবের রাজধানী রিয়াদে অনুষ্ঠিত এক সম্মেলনে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও সিরিয়ার অন্তর্বর্তীকালীন প্রেসিডেন্ট আহমেদ আল-শারার মধ্যে ঐতিহাসিক বৈঠক হয়। এরপর ট্রাম্প বলেন, আমরা সিরিয়াকে একটি নতুন সূচনা দিতে চাই। তিনি আরও জানান, সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান ও তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়্যেপ এরদোয়ানের সঙ্গে আলোচনার পর এই সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
এদিকে, হোয়াইট হাউজের বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ট্রাম্প আল-শারাকে ফিলিস্তিনিদের যাদের যুক্তরাষ্ট্র ‘সন্ত্রাসী’ হিসেবে বিবেচনা করে, তাদের সিরিয়া থেকে বহিষ্কার করতে বলেছেন। পাশাপাশি, সিরিয়াকে আব্রাহাম চুক্তিতে স্বাক্ষর করার অনুরোধ জানিয়েছেন এবং উত্তর-পূর্ব সিরিয়ার আইএস বন্দিশিবিরগুলোর দায়িত্ব নেওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
এই বৈঠকের আগে মঙ্গলবার (১৫ মে) রাতেই ট্রাম্প ঘোষণা দেন, সিরিয়ার ওপর থেকে সব নিষেধাজ্ঞা তুলে নেওয়া হচ্ছে। এই ঘোষণার পর আরব নেতাদের উল্লাস এবং সিরিয়ার বিভিন্ন শহরে উৎসবের আমেজ দেখা যায়।
কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আল-জাজিরার প্রতিবেদনে বলা হয়, এই সাক্ষাৎ ও নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার সিরিয়ার নতুন নেতৃত্বের জন্য আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি পাওয়ার পথে একটি বড় অগ্রগতি।
ট্রাম্প বর্তমানে চার দিনের উপসাগরীয় অঞ্চল সফরে রয়েছেন। কাতারের আমির শেখ তামিম বিন হামাদ আল থানির সঙ্গে তার রাষ্ট্রীয় বৈঠক রয়েছে, যেখানে কয়েকশ বিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ ঘোষণার সম্ভাবনা রয়েছে।
এছাড়া, ট্রাম্পের সফরে সৌদি আরব এরই মধ্যে ৬০০ বিলিয়ন বা ৬০ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ চুক্তি ও ১৪২ বিলিয়ন বা ১৪ হাজার ২০০ কোটি ডলারের অস্ত্র কেনা চুক্তি করেছে।
বিজ্ঞাপন
বিজ্ঞাপন
সফরের শেষ দিন তিনি আবুধাবি হয়ে ওয়াশিংটনে ফিরবেন ট্রাম্প। তবে ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে সম্ভাব্য এক ত্রিপাক্ষিক বৈঠকের জন্য তুরস্ক যাওয়ার কথাও বলেছেন তিনি।