খবর প্রকাশিত: ১৩ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৪:০০ এএম
চীন, ভারতসহ বিভিন্ন দেশে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছে। দ্রুত ছড়াচ্ছে ভাইরাসটির ওমিক্রন ধরনের আরেকটি উপধরন বিএফ.৭।
স্বাস্থ্য অধিদপ্তর বলছে, ‘বিএফ.৭’ হলো ওমিক্রন বিএ.৫-এর একটি উপধরন (সাব-ভেরিয়েন্ট)। এটিকে বলা হয় আর.১৮, অর্থাৎ, একজন থেকে ১৮ জনকে সংক্রমিত করতে পারে।
অন্য সাবভেরিয়েন্টের তুলনায় এর সংক্রমণক্ষমতা চার গুণ বেশি।
গতকাল রবিবার সকালে স্বাস্থ্য অধিদপ্তর আয়োজিত ‘বিশ্বে করোনা সংক্রমণের ঊর্ধ্বগতিতে বাংলাদেশের করণীয়’ শীর্ষক এক ভার্চুয়াল সভায় এ কথা বলেন অধিদপ্তরের অতিরিক্ত মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির।
এ অবস্থায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে দেশের সব বিমান, স্থল ও সমুদ্রবন্দরে পর্যবেক্ষণ (স্ক্রিনিং) বাড়ানো এবং বন্দরগুলোতে র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্টের মাধ্যমে পরীক্ষা করে আক্রান্ত ব্যক্তিকে আইসোলেশনে নেওয়ার জন্যও নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে বলে জানান তিনি।
অধ্যাপক ডা. আহমেদুল কবির বলেন, ‘গত শনিবার জাতীয় কারিগরি কমিটির বৈঠক ছিল। কমিটি চারটি বিষয়ে আমাদের পরামর্শ দিয়েছে। এর মধ্যে যারা এখনো টিকা নেয়নি, তাদের দ্রুত নেওয়ার জন্য বলা হয়েছে। নতুন সাবভেরিয়েন্ট টিকা না নেওয়া ব্যক্তিদের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে। যাদের কমরবিডিটি কন্ডিশন (দীর্ঘস্থায়ী রোগ) রয়েছে, তাদের অবশ্যই প্রয়োজন প্রটেকটিভ কেয়ার মাস্ক (প্রতিরোধমূলক সুরক্ষা মাস্ক) ব্যবহার করা, হ্যান্ড স্যানিটাইজার ব্যবহার করা, পরস্পর থেকে নিরাপদ দূরত্বে অবস্থান করা এবং আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে দূরে থাকা। ’
অতিরিক্ত মহাপরিচালক বলেন, ‘নতুন এ ভেরিয়েন্টের ভয়ানক দিক হচ্ছে, ইনকিউবেশন পিরিয়ড অনেক কম। অর্থাত্ খুব কম সময়ের মধ্যে আপনি আক্রান্ত হবেন এবং তা অনেক বেশিসংখ্যক মানুষকে সংক্রমিত করতে পারবে।
এটার উপসর্গ সম্পর্কে যা জানা গেছে, তা অন্যান্য সাবভেরিয়েন্টের মতোই। ’
কারিগরি কমিটির সভাপতি অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ সহিদুল্লা বলেন, ‘কভিড সংক্রমণের নতুন সাবভেরিয়েন্ট নিয়ে আমাদের আরো সতর্ক হতে হবে। আতঙ্কিত হওয়ার কিছু নেই। যেহেতু সংক্রমণ বাড়ছে, আবার মাস্ক পরা, দূরত্ব বজায় রাখা জরুরি। আবার সচেতনতা বাড়াতে হবে। বুস্টার ডোজ যারা নেয়নি, তাদের দ্রুত টিকা নিয়ে নিতে হবে। ’
স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের মহাপরিচালক অধ্যাপক ডা. এ বি এম খুরশিদ আলম বলেন, টিকার মেয়াদ বাড়ানো নিয়ে একটি ভুল-বোঝাবুঝি তৈরি হয়েছে। টিকা নিয়ে দ্বিধার কারণ নেই।
ম্যানুফ্যাকশন কমিটি টিকা নিয়ে কাজ করে। তাদের সঙ্গে কথা বলেই টিকার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। এটা নিয়ে উদ্বেগের কোনো কারণ নেই।
মহাপরিচালক বলেন, ‘যদি সংক্রমণ আবার বাড়ে, সে ক্ষেত্রে ডিএনসিসিসহ কভিড হাসপাতাল যেগুলো রয়েছে, তাদের সঙ্গে আমরা মিটিং করছি। তাদের প্রস্তুত থাকতে বলেছি।
আইসোলেশন ইউনিটগুলো প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে। অধিদপ্তর সব বিষয় নিয়ে সতর্ক ও প্রস্তুত আছে। ’