খবর প্রকাশিত: ০২ জানুয়ারী, ২০২৪, ০৩:৩৯ পিএম
দেশে প্রথমবারের মতো মেরুদণ্ড জোড়া লাগানো দুই শিশুকে (নুহা ও নাবা) অস্ত্রোপচারের মাধ্যমে আলাদা করা হচ্ছে। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে (বিএসএমএমইউ) জটিল ও স্পর্শকাতর এই অস্ত্রোপচারের নেতৃত্ব দেবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক এবং সার্জারি অনুষদের ডিন অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন। এ ক্ষেত্রে দুই শিশুর চিকিৎসার ব্যয়ভার নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।
বৃহস্পতিবার (১ ডিসেম্বর) শিশু দুটির চিকিৎসায় গঠিত মেডিকেল বোর্ডের সভা শেষে সাংবাদিকদের এ তথ্য জানিয়েছেন বিএসএমএমইউ উপাচার্য অধ্যাপক ডা. মো. শারফুদ্দিন আহমেদ।
তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শিশু নুহা ও নাবার সার্বক্ষণিক খবর নিচ্ছেন। তিনি শিশু দুটির চিকিৎসার সব ধরনের খরচ বহন করছেন এবং যথাযথ চিকিৎসার ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন। আমরা সে নির্দেশনা বাস্তবায়নের সর্বোচ্চ চেষ্টা করব। প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, শিশু দুটির চিকিৎসার জন্য যা যা করার তাই যেন আমরা করি।
সার্জারি অনুষদের ডিন ও নিউরো সার্জারি বিভাগের অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেন বলেন, শিশু দুটির চিকিৎসা প্রক্রিয়া অত্যন্ত জটিল ও সময় সাপেক্ষ। বেশ কয়েক ধাপে এর অপারেশন করা লাগবে। নিউরো সার্জন, ইউরোলজিস্টস, শিশু সার্জন, বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জন, এনেস্থিওলজিস্ট, শিশু পুষ্টিবিদসহ বিভিন্ন বিভাগের চিকিৎসকের প্রয়োজন হবে।
এ সময় শেখ হাসিনা বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সিটিটিউটের প্রধান সমন্বয়ক ডা. সামন্ত লাল সেন বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশ ও বিএসএমএমইউর উপাচার্যের আমন্ত্রণে মেডিকেল বোর্ডে এসে শিশু দুটির কেস স্টাডি দেখে বুঝতে পারলাম, তাদের অপারেশন অত্যন্ত জটিল ও সময় সাপেক্ষ। এ অপারেশনটি বেশ কয়েকটি ধাপে করতে হবে।
বিএসএমএমইউয়ের নিউরো সার্জারি বিভাগে অধ্যাপক ডা. মোহাম্মদ হোসেনর অধীনে ভর্তি মেরুদণ্ডে জোড়া লাগানো শিশু নুহা ও নাবার বয়স ৮ মাস ১৩ দিন। কুড়িগ্রাম জেলার কাঠালবাড়ীর পরিবহন শ্রমিক আলমগীর রানা ও তার স্ত্রী নাসরিনের গর্ভে এই জমজ শিশুর জন্ম। তাদের হাত-পা আলাদা হলেও মেরুদন্ড জোড়া লাগানো।
এখন পর্যন্ত তাদের চিকিৎসার সব ব্যয় বহন করেছে বিএসএমএমইউ কর্তৃপক্ষ।