খবর প্রকাশিত: ১৩ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:০২ এএম
আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: যুক্তরাজ্যে এক দশকে মুসলিম জনসংখ্যা ৪৪ শতাংশ বেড়েছে। দেশটির মোট জনসংখ্যার ৬ দশমিক ৫ শতাংশ ইসলাম ধর্মের অনুসারী। সে হিসাবে যুক্তরাজ্যে বর্তমানে মুসলমানের সংখ্যা প্রায় ৩৯ লাখ। দেশটির জাতীয় পরিসংখ্যান কার্যালয় প্রকাশিত সর্বশেষ আদমশুমারির পরিসংখ্যান থেকে এসব তথ্য জানা গেছে।
এ ছাড়াও যুক্তরাজ্যের জনসংখ্যার ৯ দশমিক ৩ শতাংশই এশীয়, এশীয় ব্রিটিশ এবং এশীয় ওয়েলস। এটি এখন যুক্তরাজ্যের দ্বিতীয় সবচেয়ে সাধারণ জাতিগোষ্ঠী।
পরিসংখ্যানে দেখা গেছে, ২০১১ সালের আদমশুমারির পর থেকে যুক্তরাজ্যে দ্রুতগতিতে বৈচিত্র্য এসেছে। লন্ডন এখন দুই-তৃতীয়াংশ সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর শহর। অন্যদিকে অন্যান্য প্রধান শহর যেমন―লেস্টার, লুটন এবং বার্মিংহাম সংখ্যালঘু জাতিগোষ্ঠীর সংখ্যাগরিষ্ঠতার শহরে পরিণত হয়েছে। এসব শহরে বাংলাদেশ, পাকিস্তান, ভারত এবং পূর্ব আফ্রিকা থেকে আসা এশিয়ান সম্প্রদায়ের মানুষের উল্লেখযোগ্য বৃদ্ধি লক্ষ করা গেছে।
এই আদমশুমারি ১০ বছর পর পর করা হয়, যা যুক্তরাজ্যজুড়ে বিভিন্ন প্রবণতার একটি সমীক্ষা। এতে দেশের জনগোষ্ঠীর গঠনের যতটা সম্ভব নির্ভুল চিত্র তুলে আনার চেষ্টা করা হয়।
২০২১ সালের আদমশুমারিতে দেখা গেছে, যুক্তরাজ্যের প্রায় ১০ শতাংশ পরিবারে এখন অন্তত দুটি ভিন্ন জাতিগোষ্ঠীর সদস্য রয়েছে, যা ৮ দশমিক ৭ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। এ ছাড়াও পাঞ্জাবি এবং উর্দু যুক্তরাজ্যে পঞ্চম এবং ষষ্ঠ কথিত ভাষায় পরিণত হয়েছে। দেশটিতে থাকা প্রায় পাঁচ লাখ ৬১ হাজার মানুষ এ দুই ভাষায় কথা বলে।
আদমশুমারির উপপরিচালক জন রথ-স্মিথ বলেছেন, “আমরা যে ক্রমবর্ধমান বহুসংস্কৃতির সমাজে বাস করি, আজকের তথ্যগুলো সেটিই তুলে ধরে। ‘শ্বেতাঙ্গ’ জাতিগোষ্ঠী হিসেবে চিহ্নিত ইংরেজ, ওয়েলস, স্কটিশ, উত্তর আইরিশ বা ব্রিটিশদের সংখ্যা কমছে। ”
সূত্র : আরব নিউজ