NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, রবিবার, মে ১১, ২০২৫ | ২৮ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

শহীদ ডা. মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা


খবর   প্রকাশিত:  ১২ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৮:৫১ এএম

শহীদ ডা. মিলনের প্রতি শ্রদ্ধা

ঢাকা: ১৯৯০ সালে সামরিক শাসক, স্বৈরাচার এরশাদবিরোধী আন্দোলনে শহীদ ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানিয়েছে বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন।

আজ রবিবার সকালে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতাল চত্বরে তার কবরে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করে এই শ্রদ্ধা জানানো হয়।

সকাল সাড়ে ৭টায় শহীদ ডা. মিলনের সমাধিতে মা সেলিনা আক্তারের পুষ্পার্ঘ্য অর্পণের মধ্য দিয়ে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন শুরু হয়। এরপর শ্রদ্ধা জ্ঞাপন করে বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশন (বিএম)।

 

বিএমএর সভাপতি ডা. মোস্তফা জালাল মহিউদ্দিন ও মহাসচিব ডা. মো. ইহতেশামুল হক চৌধুরীর নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। একই সময় শহীদ মিলনের পরিবার এবং ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের বিভিন্ন সংগঠনের নেতারা তার প্রতি শ্রদ্ধা জানান।

 

এরপর বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে স্বৈরাচারবিরোধী আন্দোলনে শহীদ মিলনের সমাধিতে পুষ্পার্ঘ্য অর্পণ করা হয়। সকাল ৮টায় আওয়ামী লীগের পক্ষ থেকে ডা. শামসুল আলম খান মিলনের সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদেরসহ কেন্দ্রীয় নেতারা এ সময় উপস্থিত ছিলেন।

বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আমানউল্লাহ আমানের নেতৃত্বে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দলের (বিএনপি) নেতাকর্মীরা। এ ছাড়া বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি), জাতীয় সমাজতান্ত্রিক দল (জাসদ), বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের পক্ষ থেকে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়।

১৯৯০ সালের ২৭ নভেম্বর এরশাদের গণবিরোধী স্বাস্থ্যনীতি ও চিকিৎসকদের ২৩ দফা দাবিতে তৎকালীন পিজি হাসপাতালের বটতলায় সমাবেশ ডাকেন সারা দেশের চিকিৎসকরা। সকালে অনুষ্ঠিতব্য সমাবেশে যোগ দিতে রিকশাযোগে রওনা হন সে সময়ের বাংলাদেশ মেডিক্যাল অ্যাসোসিয়েশনের (বিএমএ) যুগ্ম সম্পাদক ডা. শামসুল আলম খান মিলন।

সকাল ১১টা নাগাদ ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র-শিক্ষক কেন্দ্রের (টিএসসি) বিপরীতে পৌঁছয় ডা.মিলনকে বহনকারী রিকশাটি। স্বৈরাচার এরশাদ সরকারের পেটোয়া বাহিনীর ছোড়া একটি থ্রি নট থ্রি বন্দুকের গুলি পেছন থেকে আঘাত করে তাকে। মুহূর্তেই মৃত্যুর কোলে লুটিয়ে পড়েন ডা. মিলন।

ডা. শামসুল আলম খান মিলন ছাত্রজীবন থেকেই রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। জাসদ ছাত্রলীগ ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শাখার সভাপতির দায়িত্ব পালন করেছেন তিনি। ছাত্রজীবন শেষে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজের বায়োক্যামিস্ট্রি বিভাগের প্রভাষক হিসেবে কর্মক্ষেত্রে প্রবেশ করেন। মৃত্যুর আগ পর্যন্ত ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ শিক্ষক সমিতির কোষাধ্যক্ষ ও প্রকৌশলী-কৃষিবিদ-চিকিৎসকদের সংগঠন প্রকৃচির কেন্দ্রীয় নেতা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছেন।