বাংলায় একটি প্রবাদ আছে, ‘হাতি গর্তে পড়লে চামচিকাও লাথি মারে’। ইংরেজিতে এমন কোনো প্রবাদ আছে কিনা জানা নেই। তবে না থাকলেও কথাটির সঙ্গে যেন কিঞ্চিত মিল রয়েছে ম্যানচেস্টার সিটির।

এবারের ফুটবল মৌসুমে একেবারেই সুবিধা করতে পারেনি পেপ গার্দিওলার দল। গেল মৌসুমের চ্যাম্পিয়নরা এবার প্রিমিয়ার লিগ শিরোপা খুইয়েছে লিভারপুলের কাছে। চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে বাদ পড়েছে দ্বিতীয় পর্ব (নকআউট প্লে-অফ) থেকে।

 

অর্থাৎ রেকর্ড চারবারের ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগের চ্যাম্পিয়ন এবার যেন বড্ড বিপদে। গার্দিওলার বিপদের সেই সুযোগটিই যেন নিয়েছে প্রিমিয়ার লিগের টেবিলের তলানিতে থাকা ক্লাব সাউথাম্পটন।

আজ শনিবার প্রিমিয়ার লিগে ম্যানসিটিকে গোলশূন্য রেখেছে সাউথাম্পটন। নিজেরাও গোল করতে পারেনি, ১ পয়েন্ট নিয়েই সন্তুষ্ট থেকেছে দলটি।

 

ম্যানসিটির বিপক্ষে গোলশূন্য ড্র করে লজ্জার রেকর্ড থেকেও রেহাই পেয়েছে সাউথাম্পটন। এই ম্যাচ হেরে গেলে প্রিমিয়ার লিগ ইতিহাসের সবচেয়ে খারাপ দলের তালিকায় থাকতে হতো দলটিকে। আপাতত সেই লজ্জা থেকে বাঁচলো সাউথাম্পটন।

২০০৭-২০০৮ মৌসুমে সর্বনিম্ন ১১ পয়েন্ট নিয়ে মৌসুম শেষ করার রেকর্ড ছিল সাউথাম্পটনের। তবে এই ড্রয়ের ফলে তাদের পয়েন্ট দাঁড়ায় ১২।যা সেন্ট ম্যারিজ স্টেডিয়ামের রৌদ্রস্নাত পরিবেশে স্বাগতিক সাউথাম্পটনের সমর্থকদের উল্লাসে ভাসায়।

গার্দিওলার ম্যানসিটি টেবিলের তৃতীয় স্থানে রয়েছে ৬৫ পয়েন্ট নিয়ে। চ্যাম্পিয়ন্স লিগের যোগ্যতা অর্জনের লড়াইয়ে তাদের হাতে আরও দুই ম্যাচ রয়েছে। নিউক্যাসল ইউনাইটেড এবং চেলসি মাত্র ২ এবং নটিংহ্যাম ফরেস্ট ৪ পয়েন্ট পিছিয়ে থাকলেও তারা একটি করে ম্যাচ কম খেলেছে।

 

সিটির গোলমেশিন আর্লিং হালান্ড ছয় সপ্তাহ পর আজ মাঠে নামেন। অতিথিরা ম্যাচে একতরফাভাবে আধিপত্য বিস্তার করে। ম্যানসিটি লক্ষ্যে ২৬টি শট নেয়। সাউথ্যাম্পটন নেয় মাত্র দুটি। তবে সাউথ্যাম্পটন শেষ মুহূর্তে সংখ্যায় রক্ষণে মনোযোগী হয়ে সিটিকে গোলবঞ্চিত রাখে।

 

 

 

সিটির সবচেয়ে বড় সুযোগ আসে যোগ করা সময়ে, যখন ওমর মারমুশের একটি প্রচণ্ড শট ক্রসবারে লেগে ফিরে আসে।