খবর প্রকাশিত: ২৫ নভেম্বর, ২০২৩, ০৫:২৬ পিএম
ঢাকা: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক নারী শিক্ষার্থীকে মারধরের ঘটনা ঘটেছে। এর আগে ওই নারী শিক্ষার্থী ঢাবি শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মীকে থাপ্পড় মারেন। গতকাল সোমবার দিবাগত রাত ৩টার দিকে রাজু ভাস্কর্যের সামনে এ ঘটনা ঘটে।
ভুক্তভোগী ওই নারী শিক্ষার্থী ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের শিক্ষার্থী।
ওই শিক্ষার্থীকে মারধর করেছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের সমাজকল্যাণ ও গবেষণা ইনস্টিটিউটের ২০১৭-১৯ সেশনের শিক্ষার্থী ও ছাত্রলীগকর্মী জিম নাজমুল। তিনি মাস্টারদা সূর্য সেন হলের আবাসিক শিক্ষার্থী এবং হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান খানের অনুসারী। এ ঘটনার আগে রাত ১০টার দিকে নাজমুল হাকিম চত্বরের খিচুড়ি দোকানের কর্মচারীর কাছ থেকে ছয় হাজার টাকা ছিনতাই করেন বলেও অভিযোগ রয়েছে।
জানা যায়, মধ্যরাতে ওই নারী শিক্ষার্থী তার দুজন বন্ধুকে নিয়ে রাজু ভাস্কর্যের পাদদেশে ছবি তুলছিলেন। এ সময় নাজমুল এসে তাকে বহিরাগত বলে তার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হন। একপর্যায়ে নাজমুল তাকে অকথ্য ভাষায় গালাগাল করেন। পরে ওই নারী শিক্ষার্থী নাজমুলকে থাপ্পড় মারেন। এরপরই নাজমুল ওই নারী শিক্ষার্থীকে মারধর করা শুরু করেন।
ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘টিএসসিতে অবস্থান করার সময় দেখতে পাই রাজু ভাস্কর্যের সামনে এক মেয়েকে ক্রমাগত চড় মারছিল নাজমুল। ওখানে গিয়ে জানতে পারি মেয়েটি তার দুজন বন্ধুকে নিয়ে ছবি তুলছিল। এ সময় নাজমুল এসে তার সঙ্গে তর্কে লিপ্ত হয় এবং তাকে গালাগাল করে। এতে মেয়েটি নাজমুলকে একটি চড় দিলে নাজমুল মেয়েটির গায়ে হাত তোলে। এ সময় নাজমুল ওই মেয়েটির মোবাইল ফোনও কেড়ে নিয়েছিল। পরে তা সে ফেরত দেয়। নাজমুল নিজেকে সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান খানের অনুসারী বলে পরিচয় দেয়। ’ এ বিষয়ে জানতে সূর্য সেন হল শাখা ছাত্রলীগের সভাপতি মারিয়াম জামান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলেও সম্ভব হয়নি।
অভিযুক্ত নাজমুল বলেন, ‘আমি রাতে মেডিক্যাল মোড় থেকে খেয়ে আসছিলাম। তখন দেখি ওই মেয়ে ও তার সঙ্গে থাকা কয়েকজন রাজু ভাস্কর্যের সামনে ঘুমন্ত পথশিশুদের ছবি তুলছিল। সেখানে অনেক মেয়ে ছিল- যাদের কাপড় ঠিকঠাক ছিল না। আমি তাদের বলি, আপনি কি দায়িত্ব নিয়ে ছবি তুলছেন। তারা আমার পরিচয় জানতে চাইলে আমি ক্যাম্পাসের পরিচয় দিই। এ সময় ওই মেয়েটি আমার বিশ্ববিদ্যালয় সম্পর্কে নেতিবাচক মন্তব্য করে। এ বিষয়ে আমি ক্ষিপ্ত হলে সে আমার গায়ে হাত তোলে। ’ খিচুড়ি বিক্রেতার টাকা ছিনতাইয়ের বিষয়ে জানতে চাইলে বিষয়টি তিনি অস্বীকার করেন।
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক এ কে এম গোলাম রব্বানী কালের কণ্ঠকে বলেন, ‘আমি এটি জেনেছি। এটি যেহেতু বিশ্ববিদ্যালয়ের বাইরের একজন শিক্ষার্থীর সঙ্গে ঘটেছে- তাই এটি দেশের প্রচলিত আইন অনুযায়ী বিচার হবে। মেয়েটি যদি থানায় অভিযোগ করে, তাহলে আমরা থানাকে সহায়তা করব। ’