NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, সোমবার, মে ১৯, ২০২৫ | ৪ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
নির্বাচন ডিসেম্বরেই হতে পারে তবে জুনের পরে নয় : প্রধান উপদেষ্টা নিউইয়র্কে ব্রুকলিন ব্রিজে জাহাজের ধাক্কায় নিহত ২, আহত ১৯ ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর শেষ হতেই গাজা-ইয়েমেনে ইসরায়েলি হামলা জোরদার বিমানবন্দরে অভিনেত্রী নুসরাত ফারিয়া আটক টাইব্রেকারে হেরে বাংলাদেশের যুবাদের কান্না ৯ মাসে জুলাই যোদ্ধাদের ওপর ৩৮ হামলা, নিহত ২ : বাংলাফ্যাক্ট সৌদি পৌঁছেছেন ৪৯১০৩ হজযাত্রী, আরও একজনের মৃত্যু ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর: কূটনীতির আলোচনায় উপেক্ষিত মানবাধিকার আরব আমিরাতকে হারিয়ে সিরিজে শুভ সূচনা টাইগারদের মাইক্রোক্রেডিট ব্যাংক স্থাপন এখন সময়ের দাবি: প্রধান উপদেষ্টা
Logo
logo

ক্ষমা চেয়েও সামরিক আইন চালুর পক্ষে যুক্তি দিলেন ইওল


খবর   প্রকাশিত:  ১৯ এপ্রিল, ২০২৫, ১১:৩৮ পিএম

ক্ষমা চেয়েও সামরিক আইন চালুর পক্ষে যুক্তি দিলেন ইওল

ক্ষমা চাওয়ার পরও সামরিক আইন চালুর পক্ষে যুক্তি দিলেন দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইউন সুক ইওল। তিনি বললেন, গণতন্ত্রকে বাঁচাতেই তিনি ওই সিদ্ধান্ত চেয়েছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার প্রেসিডেন্ট ইওলের নিজের দলের অনেক নেতা এখন তার ইমপিচমেন্ট বা অভিশংসন চান।

এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবার ইওল বলেছেন, তিনি দেশের গণতন্ত্রের স্বার্থেই সামরিক আইন চালু করেছিলেন।

কিন্তু উত্তর কোরিয়া-পন্থিরা সেটা বানচাল করে দিয়ে দেশকে রাজনৈতিক সংকটের মুখে ফেলে দিয়েছেন। 

 

টেলিভিশন ভাষণে ইওল বলেছেন, ‘বিরোধীরা আমাকে সরাতে মরিয়া। কিন্তু আমি শেষপর্যন্ত লড়াই করে যাব। কিছু শক্তি ও অপরাধী গোষ্ঠী দেশের সরকারকে অচল করে দিতে চাইছে।

তারা সংবিধান ও দেশের ভবিষ্যতের ক্ষেত্রে বিপদের কারণ।’ 

 

তিনি বলেছেন, ‘ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলিতে বিরোধী দলের শক্তি যথেষ্ট, তারা দানবের মতো সাংবিধানিক প্রক্রিয়াকে ধ্বংস করতে চাইছে। বিরোধীরা বিপর্যয় চায়। তারা বলছে, সামরিক আইন চালু করাটা ছিল বিদ্রোহ ঘোষণার সামিল।

কিন্তু সত্যিই কি তাই ছিল?’

 

এর আগে প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, তার সিদ্ধান্তে যারা অখুশি, তাদের কাছে তিনি ক্ষমা চাইছেন। কিন্তু বৃহস্পতিবার তিনি যে কথা বলেছেন, তা আগের অবস্থানের থেকে আলাদা। তার এই মন্তব্য এমন সময়ে এসেছে, যখন তার দল পিপলস পাওয়ার পার্টি(পিপিপি)-এর নেতা হ্যান ডং-হুন বলেছেন, প্রেসিডেন্ট ইস্তফা দিতে চাইছেন না, তাকে অভিশংসন করা উচিত।

দ্বিতীয় অভিশংসনের মুখে পড়তে হবে

বিরোধী ডেমোক্রেটিক পার্টি(ডিপিকে) ইওলের বিরুদ্ধে দ্বিতীয় অভিশংসন প্রস্তাব আনার কয়েক ঘণ্টার মধ্যে প্রেসিডেন্ট এই বিবৃতি দিয়েছেন। গত রবিবার তার বিরুদ্ধে আনা প্রথম অভিশংসন প্রস্তাব ব্লক করে দেন তার দলের সদস্যরা।

 

ইতিমধ্যে ইওলের প্রশাসনের শীর্ষ কর্মকর্তাদের অনেককেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে। সামরিক আইন চালুর ক্ষেত্রে তাদের ভূমিকা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। দেশের সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী কিম ইয়ং-হিউন বন্দি থাকা অবস্থায় আত্মহত্যার চেষ্টা করেছিলেন। দক্ষিণ কোরিয়ার কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন, প্রেসিডেন্ট বিদেশ সফর করতে পারবেন না। তার অফিসেও তল্লাশি করা হয়েছে।