NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে সম্বোধন করলেন ট্রাম্প


খবর   প্রকাশিত:  ২০ এপ্রিল, ২০২৫, ০১:৩৯ পিএম

ট্রুডোকে ‘গভর্নর’ বলে সম্বোধন করলেন ট্রাম্প

নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ঠাট্টা করে কানাডার প্রধানমন্ত্রীকে জাস্টিন  ট্রুডোকে ‘গর্ভনর অফ দ্য গ্রেট স্টেট অফ কানাডা (মহান রাষ্ট্র কানাডার গভর্নর)’ হিসেবে সম্বোধন করেছেন। নিজের মালিকানাধীন ‘ট্রুথ’ সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এক পোস্টে ট্রাম্প এমন মন্তব্য করেন।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে জয় পাওয়ার পরই কানাডীয় পণ্যে শুল্ক আরোপ নিয়ে হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তখনও তিনি ঠাট্টা করে জাস্টিন ট্রুডোকে বলেন, সীমান্ত সামলাতে না পারলে যুক্তরাষ্ট্রের ৫১তম অঙ্গরাজ্য হয়ে যেতে।

 

মঙ্গলবার সকালে সোশ্যাল মিডিয়া পোস্টে নভেম্বরের শেষের দিকে ট্রাম্পের ফ্লোরিডা এস্টেট, মার-এ-লাগোতে ট্রুডোর সঙ্গে একটি নৈশভোজের কথা উল্লেখ করে বলেছেন, ‘তিনি আশা করছেন তারা দুইজন শুল্ক ও বাণিজ্যের বিষয়ে আলোচনা চালিয়ে যেতে পারবে, যার ফলাফল সংশ্লিষ্ট সকলের জন্য ভালো কিছু বয়ে আনবে।’

জানুয়ারিতে ক্ষমতা গ্রহণের পর কানাডা থেকে আমদানি হয়ে আসা পণ্যের ওপর ২৫ শতাংশ শুল্ক বসানোর হুমকি দেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। এর পরেই ট্রাম্পের সঙ্গে দেখা করতে আমেরিকা ভ্রমন করছেন ট্রুডো। কানাডা ৪০ মিলিয়ন মানুষের দেশ এবং দেশটির ৭৫ শতাংশ রপ্তানিই যুক্তরাষ্ট্রে যায়।

 

গত সোমবার ট্রুডো হ্যালিফ্যাক্স চেম্বার অব কমার্সকে জানান, ট্রাম্প ২০ জানুয়ারি ক্ষমতা নেওয়ার পর যদি তার কথামতো শুল্ক আরোপ করেন, তাহলে কানাডাও পাল্টা জবাব দেবে। ট্রুডো উল্লেখ করেছেন, কানাডা এখনও প্রতিক্রিয়া জানানোর সঠিক উপায় বিবেচনা করছে।

ট্রুডো মন্তব্য করেন, দেশের অর্থনীতির ওপর বিরূপ প্রতিক্রিয়া ফেলতে পারে, এমন শুল্ক আরোপের সম্ভাবনাকে তিনি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনায় নিয়েছেন। তবে এখুনি কানাডীয়দের শঙ্কিত হয়ে পড়ার কোনো কারণ নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।

 

তিনি আরো বলেন, ‘অংশীদারের সঙ্গে দরকষাকষির সময় তিনি (ট্রাম্প) সাধারণত এমন আচরণই করেন, যাতে অপর পক্ষ অস্থিতিশীল হয়ে পড়ে।’

গত রবিবার এনবিসি নিউজের ‘মিট দ্য প্রেস’-এ দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে ট্রাম্প জানিয়েছিলেন, শুল্ক নীতির কারণে আমেরিকানদের জীবনযাত্রার খরচ বাড়বে কি-না, তা নিয়ে তিনি কোনো গ্যারান্টি দিতে পারেন না। অর্থনীতিবিদরা কানাডা, মেক্সিকো এবং চীনের মতো গুরুত্বপূর্ণ মিত্রদের ওপর শুল্কের প্রভাব নিয়ে সতর্ক করলেও ট্রাম্প এই উদ্বেগকে খুব একটা গুরুত্ব দেননি।

আজ বুধবার দ্বিতীয় বারের মতো যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আসন্ন বাণিজ্য আলোচনার কৌশল নির্ধারণী বৈঠকে বসবেন ট্রুডো। এই বৈঠকে কানাডার সব আঞ্চলিক সরকারপ্রধানরা অংশ নেবেন।

 

সূত্র : বিবিসি