NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বুধবার, এপ্রিল ৩০, ২০২৫ | ১৭ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
সেই কনস্টেবল পেলেন পিপিএম পদক, দেখা করলেন প্রধান উপদেষ্টার সঙ্গে আজারবাইজানকে বিনিয়োগের পাশাপাশি মানবসম্পদ কাজে লাগানোর আহ্বান ‘তারা এখন আমাকে সম্মান করেন’—বেজোস ও জাকারবার্গ সম্পর্কে ট্রাম্প বাংলাদেশে ১০ বছরের লাইসেন্স পেল স্টারলিংক ‘কিং’ শাহরুখের রানি দীপিকা, জমবে কি পুরনো ম্যাজিক মানুষ ভালো সমাধান মনে করছে অন্তর্বর্তী সরকারকেই-ড. মুহাম্মদ ইউনূস আমরা জটিল সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছি : শিক্ষা উপদেষ্টা পাকিস্তানের ১৬ ইউটিউব চ্যানেল ভারতে নিষিদ্ধ, বিবিসিকেও সতর্কতা কানাডার নির্বাচনে ফের জয় পেয়েছে লিবারেল পার্টি ইরেশের বিরুদ্ধে মামলা হওয়ায় বাঁধনসহ তারকাদের প্রতিবাদ
Logo
logo

প্রতারণার শিকার, এখন তারা নিজেরাই প্রতারক


খবর   প্রকাশিত:  ২১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৫:৪১ এএম

>
প্রতারণার শিকার, এখন তারা নিজেরাই প্রতারক

সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভুয়া চাকরির নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে ৭০০/৮০০ চাকরিপ্রার্থীদের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ছয় সদস্যকে গ্রেপ্তার করেছে র‍্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‍্যাব)। এ চক্রের সদস্যরা কর্মজীবনের শুরুতে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে প্রতারণার শিকার হয়। পরে তারা নিজেরাই প্রতারণাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়।

গ্রেপ্তাররা হলেন— চক্রের মূলহোতা মো. মাছুম বিল্লাহ (৩৩), খাইরুল আলম রকি (২০), মো. কামরুজ্জামান ডেনিশ (২২), মো. মাহমুদুল হাসান (৩২), মাসুদ রানা (২৪) ও এসএম রায়হান (২৪)।

গ্রেপ্তারের সময় তাদের কাছ থেকে ৮টি মোবাইল ফোন, ৮টি সিম কার্ড, নগদ ৫ হাজার ৫৪০ টাকা, একটি মনিটর, স্ট্যাম্প প্যাড ২টি, এসএসএফ প্রাইভেট কোম্পানি লিমিটেড ব্যানার ২টি, শতাধিক ভর্তি ফরম, দুই শতাধিক সিভি, ২টি চেকবই, ৫টি স্ট্যাম্প, ২টি অঙ্গীকারনামা, ভিজিটিং কার্ড, পণ্য তালিকা, মূল্য তালিকা, অর্ধশতাধিক ডিপো ও নিয়োগপত্র জব্দ করা হয়।

বৃহস্পতিবার (৪ আগস্ট) দুপুরে রাজধানীর কারওয়ান বাজারে র‍্যাব মিডিয়া সেন্টারে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন র‍্যাব-৩ এর অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ।

তিনি বলেন, কর্মজীবনের শুরুতে তারা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে নামসর্বস্ব প্রতিষ্ঠানের চাকরির বিজ্ঞপ্তি দেখে প্রতারণার শিকার হয়। এরপর তারা নিজেরাই প্রতারণাকে পেশা হিসেবে বেছে নেয়। তারা পেশাদার সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের সক্রিয় সদস্য। তারা সুপরিকল্পিতভাবে ধাপে ধাপে চাকরিপ্রার্থীদের সঙ্গে প্রতারণা করত।

dhakapost

আরিফ মহিউদ্দিন আহমেদ বলেন, গ্রেপ্তার মো. মাছুম বিল্লাহ এই প্রতারক চক্রের মূলহোতা। সে নিজেকে আইনজীবী হিসেবে পরিচয় দিত। তার আইনজীবী পরিচয়ের কারণে ভুক্তভোগীরা তাকে ভয় পেতেন। সে ভুক্তভোগীদের মামলার ভয় দেখিয়ে তাদের টাকা আত্মসাৎ করত। আইন বিষয়ে পড়াশোনা করার কারণে সে সুকৌশলে তার প্রতারণাকে বৈধভাবে উপস্থাপন করার জন্য ভুয়া লাইসেন্স তার অফিসে ঝুলিয়ে রাখত এবং তার নিয়োগ বিজ্ঞপ্তিতে বাংলাদেশ সরকার অনুমোদিত এবং গভ. রেজিঃ নং সি-১৫৭৭৬৩ উল্লেখ করত।

তার অন্যতম সহযোগী গ্রেপ্তার খাইরুল আলম রকি ও মো. কামরুজ্জামান ডেনিশ আগে সিনথীয়া সিকিউরিটি সার্ভিস লিমিটেড নামে একটি নামসর্বস্ব কোম্পানিতে একইভাবে প্রতারণার কাজ করত। কোম্পানিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর অভিযানের পর তারা মাছুম বিল্লাহর সঙ্গে যোগ দেয়। গ্রেপ্তার খায়রুল আলম রকি অফিসে আসা চাকরিপ্রার্থীদের প্রতারণামূলক কথাবার্তা বলে মগজ ধোলাই করে জামানতের টাকা আদায় করত।