NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

যুক্তরাজ্যে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ ভয়াবহ : প্রতিবেদন


খবর   প্রকাশিত:  ২৮ নভেম্বর, ২০২৪, ০৯:৪৫ পিএম

যুক্তরাজ্যে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ ভয়াবহ : প্রতিবেদন

দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, কঠোর সময়সীমা ও সীমিত কাজের স্বাধীনতা ব্রিটেনের কর্মীদের মধ্যে ভয়াবহ মানসিক চাপ তৈরি করছে। ইউরোপের দেশগুলোর মধ্যে তাই কর্মক্ষেত্রের র‌্যাংকিংয়ে যুক্তরাজ্য সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে আছে। সম্প্রতি একটি প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এত কঠোর নীতির পরও যুক্তরাজ্যে কর্মক্ষেত্রে উৎপাদনশীলতায় তেমন কোনো অগ্রগতি দেখা যাচ্ছে না।

প্রতিবেদনটি তৈরি করা হয়েছে ‘কমিশন ফর হেলদিয়ার ওয়ার্কিং লাইভসের’ জন্য, যা ব্রিটেনের হেলথ ফাউন্ডেশন থিংক ট্যাংক কর্তৃক প্রতিষ্ঠিত একটি সংস্থা।

এতে ট্রেড ইউনিয়নের প্রতিনিধিত্বও রয়েছে, যা নতুন কর্মসংস্থান আইনের আওতায় কাজের পরিবেশ উন্নয়নের লক্ষ্যে কাজ করছে।

 

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, ইউরোপের অন্যান্য দেশের তুলনায় যুক্তরাজ্যে কর্মীরা বেশি চাপের মুখোমুখি। তিন-পঞ্চমাংশ কর্মী কঠোর সময়সীমায় কাজ করেন এবং দুই-পঞ্চমাংশ দ্রুতগতিতে কাজ করতে বাধ্য হন। তবে মাত্র এক-তৃতীয়াংশ কর্মী তাদের কাজের গতি নির্ধারণ করার স্বাধীনতা পান।

 

প্রতিবেদনের এক লেখক, ইনস্টিটিউট ফর এমপ্লয়মেন্ট স্টাডিজের প্রধান গবেষণা ফেলো জনি গিফোর্ড বলেন, ‘বর্তমানে যেসব সমস্যা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে সমাধান করা প্রয়োজন, সেগুলো হলো দীর্ঘ কর্মঘণ্টা, কাজের তীব্র চাপ ও কাজের স্বাধীনতার অভাব।’


 

প্রতিবেদনে আরো উল্লেখ করা হয়েছে, নির্মাণ, পরিবহন, গুদামজাতকরণ, খুচরা ও সেবা খাতে কাজের পরিবেশ সবচেয়ে খারাপ। নার্স ও শিক্ষকদের অনেক চাপের মধ্যে কাজ করতে হয়। এ ছাড়া গত ২৫ বছরে কর্মক্ষেত্রে মানসিক চাপ উল্লেখযোগ্যভাবে বেড়েছে।

 

এদিকে কিছু ব্যাবসায়িক প্রতিষ্ঠান নতুন শ্রম আইন নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে। কনফেডারেশন অব ব্রিটিশ ইন্ডাস্ট্রি সতর্ক করে বলেছে, কঠোর নিয়ম-নীতি, সামাজিক নিরাপত্তা কর বৃদ্ধি ও সর্বনিম্ন মজুরি বৃদ্ধির ফলে কর্মীর সংখ্যা হ্রাস পেতে পারে এবং অর্থনীতিতে দীর্ঘমেয়াদি বিনিয়োগ কমে যেতে পারে।

২০২১ সালের ইউরোপীয় ইউনিয়নের কর্মক্ষেত্রসংক্রান্ত সমীক্ষার ভিত্তিতে প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, প্রায় সব সূচকে যুক্তরাজ্যের কর্মীরা ইউরোপের মধ্যে সবচেয়ে খারাপ অবস্থানে রয়েছেন। প্রায় অর্ধেক কর্মী বলেছেন, তারা কাজের চাপের কারণে ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন।

অন্যদিকে নতুন লেবার সরকার কর্মক্ষেত্রের মানোন্নয়নে কঠোর নিয়ম চালুর পরিকল্পনা করছে।

তবে এর ফল কী হবে, তা নিয়ে জনমনে মিশ্র প্রতিক্রিয়া রয়েছে।