NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, বৃহস্পতিবার, মে ১, ২০২৫ | ১৮ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
৫০ কোটির প্রকল্প ২৫ কোটিতেই সম্পন্ন, প্রধান উপদেষ্টার প্রশংসা আলজেরিয়ার সঙ্গে দ্রুত পারস্পরিক ভিসা অব্যাহতি চুক্তি করা হবে - স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা মহান মে দিবস আজ আমি পোপ হতে চাই, এটাই এক নম্বর পছন্দ: ট্রাম্প ভারত-পাকিস্তান উত্তেজনা, ১০ ফ্লাইট বাতিল করলো পিআইএ তিন নায়কের প্রতিদ্বন্দ্বিতা, জমজমাট ঢালিউড চট্টগ্রাম বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানোর উদ্যোগ ত্বরান্বিত করার নির্দেশ প্রধান উপদেষ্টার মেধাসম্পদ সংরক্ষণ ও সুরক্ষায় নিরলস কাজ করছে সরকার - আদিলুর রহমান জিম্বাবুয়েকে ইনিংস ব্যবধানে হারিয়ে প্রতিশোধ বাংলাদেশের ট্রাম্পের ১০০ দিন ‘আমেরিকা ফার্স্ট’ নীতিতে বদলে যাচ্ছে বিশ্বব্যবস্থা
Logo
logo

আদানি গ্রুপকে বিদ্যুতের বিল বাবদ ১৭৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০২:২৫ এএম

আদানি গ্রুপকে বিদ্যুতের বিল বাবদ ১৭৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ

ভারতীয় কম্পানির আদানি গ্রুপকে বিদ্যুতের বিল বাবদ ১৭৩ মিলিয়ন ডলার দিয়েছে বাংলাদেশ। দেশটির ঝাড়খণ্ড রাজ্যে অবস্থিত আদানির গোড্ডা পাওয়ার প্ল্যান্ট থেকে যাতে নিরবচ্ছিন্ন বিদ্যুৎ সরবরাহ রাখা হয়, তারই অংশ হিসেবে এই বিদ্যুৎ বিলের বকেয়ার কিছু অংশ পরিশোধ করা হলো। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমস এ তথ্য জানিয়েছে।

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, আদানি গ্রুপ বিদ্যুতের বকেয়া হিসেবে বাংলাদেশের কাছে পাওনা ৮৪৩ মিলিয়ন ডলার।

বাংলাদেশে রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর নানা কারণে সেই বকেয়া পরিশোধে জটিলতা তৈরি হয়। কিছুদিন আগে আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে বিদ্যুৎ সরবরাহ অর্ধেকে নামিয়ে আনে। একই সঙ্গে চলতি সপ্তাহে সরবরাহ বন্ধ করার হুমকি দিয়েছিল।

 

এই অবস্থার প্রেক্ষিতে বাংলাদেশ বিদ্যুৎ উন্নয়ন বোর্ড ১৭৩ মিলিয়ন ডলারের একটি নতুন লেটার অব ক্রেডিট (এলসি) জারি করেছে।

 


 

ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বাংলাদেশ পাওয়ার ডেভেলপমেন্ট বোর্ডের তরফ থেকে এটি আদানি পাওয়ারকে দেওয়া তৃতীয় এলসি। বাংলাদেশের কৃষি ব্যাংকের পক্ষ থেকে এই এলসি দেওয়া হয়েছে, ভারতের আইসিআইসিআই ব্যাংককে। আগের এলসিগুলো বিদ্যুৎ ক্রয় চুক্তির সঙ্গে সংগতিপূর্ণ ছিল না।

বিদ্যুৎ উৎপাদনে আদানি পাওয়ারের দুটি ইউনিট রয়েছে, যেগুলোর উৎপাদন ক্ষমতা মোট ১৬০০ মেগাওয়াট।

যার পুরোটাই আদানি পাওয়ার বাংলাদেশে রপ্তানি করে। এই বিদ্যুৎ বাংলাদেশের চাহিদার ১০ শতাংশ পূরণ করে। কম্পানিটির কাছ থেকে ২৫ বছর মেয়াদে বিদ্যুৎ কিনতে ২০১৫ সালে শেখ হাসিনা সরকার চুক্তিটি করেছিল। যা ছিল এক অসম চুক্তি। সব সুবিধা দেওয়া হয় আদানিকে।
যা নিয়ে দেশ-বিদেশে ব্যাপক সমালোচনা হয়। আদানির সঙ্গে একপেশে চুক্তি অনুযায়ী, তাদেরকে প্রতি মাসে ৯৫ থেকে ৯৭ মিলিয়ন ডলার পরিশোধ করতে হয় বাংলাদেশকে।

 

সমালোচকরা বলেছেন, ভারতের সহায়তায় শেখ হাসিনা ক্ষমতায় থাকতে দেশটির প্রধানমন্ত্রীর নরেন্দ্র মোদির ঘনিষ্ঠ আদানির গ্রুপের সঙ্গে বিদ্যুত্ ক্রয়ের এই চুক্তি করা হয়েছিল। যাতে ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে বাংলাদেশ। আর দায় মেটাতে হচ্ছে বাংলাদেশের জনগণকে।