২–২ গোলে সমতায় থেকে ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। আর কোনো গোল না হওয়ায় ফলাফল পেতে যেতে হয় টাইব্রেকারে। সেখানেই জয়ের স্বাদ পায় পর্তুগাল। টাইব্রেকারে ৫–৩ গোলে স্পেনকে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে একাধিকবার উয়েফা নেশনস লিগ জিতল দলটি।
খেলার শুরুতে মার্তিন জুবিমেন্দি ২১ মিনিটে এগিয়ে দিয়েছিলেন আগেরবারের চ্যাম্পিয়ন স্পেনকে। ৫ মিনিট পর পর্তুগিজরা সমতায় ফেরে নুনো মেন্দেজের গোলে। প্রথমার্ধের খেলা শেষ হওয়ার ঠিক আগে স্পেনকে আবার এগিয়ে দিয়েছিলেন মিকেল ওইয়ারসাবাল।
আন্তর্জাতিক ফুটবলের সর্বোচ্চ গোলদাতার এটি ১৩৮তম গোল। মেন্দেসের ক্রস একজনের পায়ে লাগলে পেয়ে যান পর্তুগিজ অধিনায়ক। সহজ সুযোগ কাজে লাগান তিনি।
আট মিনিট পর পেদ্রির কাছ থেকে বল পেয়ে একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি উইলিয়ামস।
ছয় বছরের মধ্যে প্রথমবারের মতো জাতীয় দলের হয়ে খেলতে নেমে জালের দেখা প্রায় পেয়েই যাচ্ছিলেন ইসকো। তবে ৮৩তম মিনিটে তার গতিময় শট ঝাপিয়ে কর্নারের বিনিময়ে ঠেকান পর্তুগিজ গোলরক্ষক।
৮৭তম মিনিটে হুট করে মাঝমাঠে বসে পড়েন রোনালদো। ইশারায় জানিয়ে দেন তার পক্ষে আর চালিয়ে যাওয়া সম্ভব হয়নি।
যোগ করা সময়ের দ্বিতীয় মিনিটে ফের্নান্দেসের দারুণ ফ্রি কিক ঝাঁপিয়ে ব্যর্থ করে দেন স্প্যানিশ গোলরক্ষক উনাই সিমোন। ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। রোনালদোর গোলের পর লম্বা সময়ের মধ্যে এটাই ছিল গোলের জন্য পর্তুগালের প্রথম শট।
অতিরিক্ত সময়ের শুরুতেই এগিয়ে যেতে পারত রোনালদো। নেলসন সেমেদোর কাছ থেকে বল পেয়ে একটুর জন্য শট লক্ষ্যে রাখতে পারেননি মেন্দেস। নষ্ট হয় সুবর্ণ সুযোগ।
শুরুতে বেশ কিছুক্ষণ পর্তুগিজদের আক্রমণ সামাল দিয়ে পাল্টা আক্রমণে যায় স্পেন। তৈরি করে বেশ কিছু সুযোগ। কিন্তু জালের দেখা পায়নি তারা। ম্যাচ গড়ায় টাইব্রেকারে।
টাইব্রেকারে পর্তুগালের হয়ে গোল করেছেন গনসালো রামোস, ভিতিনিয়া, ব্রুনো ফার্নান্দেজ, নুনো মেন্দেজ ও রুবেন নেভেস। স্পেনের হয়ে প্রথম তিন শটে গোল করেন মিকেল মেরিনো, অ্যালেক্স বায়েনা ও ইসকো। আলভারো মোরাতার নেওয়া চতুর্থ শটটি ফিরিয়ে দেন পর্তুগাল গোলরক্ষক দিয়োগো কস্তা। এরপর নেভেস পঞ্চম শটে গোল করতেই নিশ্চিত হয়ে যায় পর্তুগালের জয়।