বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) নির্বাচন হতে আর বাকি ৪ দিন। তবে আগামী ২৬ অক্টোবরের বাফুফে নির্বাচন নিয়ে সন্দিহান যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া।
যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টার দায়িত্ব নেওয়ার পর আজই প্রথমবারের মতো বাফুফে ভবন যান আসিফ মাহমুদ। পরিদর্শনকালে নির্বাচনের গ্রহণযোগ্যতা নিয়ে তিনি বলেছেন, ‘ নির্বাচনে পূর্বের কাউন্সিলরদের স্ব স্ব স্থানে রাখার বিপক্ষে আমি।
কিন্তু ফিফার রুলস এবং বাফুফের স্বায়ত্বশাসনের প্রতি সম্মান রাখতে হবে। আপনারা জানেন যে, আমরা ডিএফএ ভেঙে দিয়েছি। এখান থেকে নির্বাচনে কাউন্সিলর থাকে। সেগুলো কিন্তু পরিবর্তন করা হচ্ছে।
আগের যে রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব ক্রীড়াঙ্গন চালাত, যাদের খেলার সঙ্গে সম্পৃক্তা ছিল না। তাঁরা এখনো রয়েছে, তাদেরকে আগামীতে ডিএফএতে রাখা হচ্ছে না। এই পরিস্থিতে বাফুফের নির্বাচন কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে এবং জানতে পেরেছি অনেকেই প্রত্যাহার করে নিয়েছে নাম। আমার মনে হচ্ছে না, প্রতিদ্বন্দ্বিতাপূর্ণ নির্বাচন হবে।
’
ফুটবলের জনপ্রিয়তা কমার বিষয়ে আসিফ মাহমুদ বলেছেন, ‘বাংলাদেশের ফুটবলে আগের যে ক্রেজ ছিল, ক্রেজ এখনো আছে প্রান্তিক এলাকায়। যখন গ্রামে খেলা হয়, গ্রামে তো ফুটবল-ক্রিকেট উভয় খেলাই হয়, ক্রিকেট যখন হয় তখন দর্শক থাকেনা, ফুটবলে কিন্তু হাজার হাজার দর্শক থাকে, গাছে উঠে খেলা দেখে। যেটা আমরা মেইন স্ট্রিমে সম্ভব হয়নি। ২০১০ সাল পর্যন্তও ফুটবলের ক্রেজ ছিল, যেটা দিনে দিনে শুধু কমেছে। এর পেছেন দায়ী, যে ফেডারেশনের কথা বলছেন বা যারা দায়িত্বে ছিলেন।
তাদের অনিয়ম, দুর্নীতি পেয়েছি এবং সেগুলোর বিষয়ে দুদক কাজ করছে। এই কারণেই তাদের সঙ্গে না বসা।’
মাঠের সংকট নিয়ে আসিফ মাহমুদ আরও বলেছেন, ‘আমি দায়িত্ব নেওয়ার পর যেটা দেখলাম, মাঠ আমাদের যথেষ্ট আছে। সেগুলোর যথাযথ ব্যবস্থাপনা না থাকায় ব্যবহারের অনুপযোগী হয়ে আছে। দুই দিন আগে আমি চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়াম দেখে এসেছি, কিছুটা সংস্কার করলেই কিন্তু মাঠ ফুটবল খেলার উপযোগী হয়। চট্টগ্রামে যেহেতু ক্রিকেটের জন্য জহুর আহমেদ স্টেডিয়াম আছে, আমরা ভেবেছি এমএ আজিজ ফুটবলের জন্য ডেডিকেটেড করে দেব। এর পাশাপাশি আমাদের যেসব মাঠ আছে সেগুলো সংস্কার করে এবং পরবর্তী ম্যানেজমেন্টের মাধ্যমে খেলার উপযোগী করতে হবে। ‘