দেশের মাটিতে বিদায়ী টেস্ট খেলতে রওনা দিয়েছিলেন সাকিব আল হাসান। কিন্তু দুবাইয়ে আসার পর সিদ্ধান্ত পাল্টাতে হয়েছে তাঁকে। সরকারের উচ্চ পর্যায় থেকে তাঁকে দেশে ফিরতে নিরুৎসাহিত করা হয়। মূলত 'অপ্রীতিকর পরিস্থিতি এড়াতে' সাকিবকে দেশে না ফেরার পরামর্শ দেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজিব ভুঁইয়া।
আসিফ মাহমুদ বলেছেন, 'আমি নিজেও চেয়েছি, সাকিব আল হাসানের মতো একজন ক্রিকেটার দেশের মাটিতে অবসর নিক। সে অনুযায়ী প্রয়োজনীয় ব্যবস্থাও গ্রহণ করা হয়েছে। তবে প্রথম দিকেই বলেছি সাকিব আল হাসান আওয়ামী ফ্যাসিবাদী সরকারের সাথে সংশ্লিষ্টতার কারণে জনমনে ক্ষোভ রয়েছে, যা স্বাভাবিক। রাজনৈতিক অবস্থান স্পষ্ট করাসহ জনমনের ক্ষোভ নিরসনে তিনি ফেসবুক পোস্ট দিলেও সাম্প্রতিক প্রতিবাদে প্রতীয়মান হয়েছে যে তা যথেষ্ট ছিল না।
যারা প্রতিবাদ করছে তাদেরও তা করার সাংবিধানিক অধিকার রয়েছে।'
আসিফ মাহমুদ আরও যোগ করেন, 'দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশের মধ্যকার সিরিজে কোনপ্রকার অনাকাঙ্ক্ষিত পরিস্থিতি এড়াতেই আপাতত দেশে খেলতে আসার ক্ষেত্রে নিরুৎসাহিত করে বিসিবিকে পরামর্শ দিতে হয়েছে। খেলোয়াড়দের নিরাপত্তার পাশাপাশি আন্তর্জাতিক ক্রীড়াঙ্গনে দেশের ভাবমূর্তি রক্ষার আশু ব্যবস্থা হিসেবেই এই সিদ্ধান্ত নিতে হয়েছে। তবে সকলেরই আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হওয়া উচিত বলে মনে করি।
কোন অভিযোগ থাকলে আইনি প্রক্রিয়ার আশ্রয় নিয়েই তার সমাধান খোঁজা যেতে পারে।'
দেশের রাজনৈতিক পট পরিবর্তনের পর থেকেই সাকিবের দেশে ফেরার বিষয়ে ছিল নানা অনিশ্চয়তা। হত্যা মামলায় আসামী করা হয় তাঁকে। এরমধ্যেই ভারত সফরে কানপুর টেস্টের আগে সাকিব জানান, মিরপুরে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষেই সাদা পোশাকে শেষ ম্যাচটা খেলতে চান। যে কারণে দেশে ফিরতে চেয়েছিলেন তিনি।
শুরুতে পরিস্থিতি ঘোলাটে থাকলেও শেষ পর্যন্ত অবশ্য দেশে ফেরার সব রকম মঞ্চই প্রস্তুত ছিল সাকিবের। এই মুহূর্তে অবশ্য সেটাও আর হচ্ছে না।