NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, মঙ্গলবার, এপ্রিল ২৯, ২০২৫ | ১৬ বৈশাখ ১৪৩২
Logo
logo

ভারতকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ


খবর   প্রকাশিত:  ২৭ আগস্ট, ২০২৪, ০৭:৫০ পিএম

ভারতকে টাইব্রেকারে হারিয়ে ফাইনালে বাংলাদেশ

নিয়মিত গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ চোট পেয়ে মাঠ থেকে উঠে যান ৬৫ মিনিটে। ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশ তখন ১-০ গোলে এগিয়ে। মেহেদীর পরিবর্তে আসরে প্রথমবার মাঠে নেমেই গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফকে হজম করতে হলো গোল। কিন্তু টাইব্রেকারে সেই আসিফই হয়ে চীনের প্রাচীর হয়ে দাঁড়ালেন।

ভারতের দুটি শট আটকে দিয়ে বাংলাদেশকে নিয়ে গেলেন অনূর্ধ্ব-২০ সাফ চ্যাম্পিয়নশিপের ফাইনালে। ভাগ্য নির্ধারণী টাইব্রেকারে বাংলাদেশের জয় ৪-৩ ব্যবধানে। এর আগে নির্ধারিত ৯০ মিনিটের খেলা ১-১ সমতায় ছিল। শিরোপার মঞ্চে বাংলাদেশের প্রতিপক্ষ নেপাল।
২৮ আগস্ট হবে শিরোপা নির্ধারণী ম্যাচ।

 

কাঠমান্ডুর আনফা কমপ্লেক্সে শুরু থেকে রক্ষণ জমাট রেখে পাল্টা আক্রমণের কৌশলে খেলতে থাকে বাংলাদেশ। ভারত আক্রমণে মনোযোগী হলেও বাংলাদেশের রক্ষণে এসে সুবিধা করতে পারছিল না। গোলরক্ষক মেহেদী হাসান শ্রাবণ ছিল সিদ্বহস্ত।

দারুণ আত্মবিশ্বাসে ফিরিয়ে দিচ্ছিলেন ভারতের আক্রমণ। ত্রয়োদশ মিনিটে সতীর্থের থ্রু পাস ধরে গগমেশ্বর গেওয়ারি জোরালো শট কোনোমতে পা বাড়িয়ে আটকে দেন এই গোলরক্ষক। ধীরে ধীরে নিজেদের মেলে ধরতে থাকেন বাংলাদেশের ফুটবলাররা। ৩৫ মিনিটে মেলে সাফল্য। সুযোগ কাজে লাগিয়ে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ।
বাঁ দিক থেকে রাব্বি হোসেন রাহুলের জোরালো আড়াআড়ি ক্রস গোলরক্ষকের গ্লাভস ছুঁয়ে চলে যায় আসাদুল মোল্লার পায়ে। নিখুঁত টোকায় জাল খুঁজে নেন এই তরুণ।

 

ব্যবধান ধরে রেখে বিরতিতে যাওয়া বাংলাদেশকে দ্বিতীয়ার্ধে রক্ষণ সামলাতেই ব্যস্ত থাকতে হয়। খেলায় ফিরতে আক্রমণের পর আক্রমণ করতে থাকে ভারতের ফরোয়ার্ডরা। ৬৫ মিনিটে গোললাইন ক্লিয়ারেন্স করে বাংলাদেশকে গোল হজম থেকে বাঁচান ডিফেন্ডার কামাচায় মারমা আকাই। আগুয়ান গোলরক্ষক মেহেদী হাসানের মাথার ওপর চিপ করেন ভারতের গগমসার গয়ারি, বল পোস্টের দিকেই যাচ্ছিল কিন্তু দৌড়ে গিয়ে ক্লিয়ার করেন আকাই। এর পরই মাঠ ছেড়ে যেতে হয় বাংলাদেশ অধিনায়ককে। গগমসার গয়ারি বুটের আঘাতে ব্যথা পান মেহেদী হাসান। তার পরিবর্তে মাঠে নামেন গোলরক্ষক মোহাম্মদ আসিফ।

অধিনায়ককে হারানোর ধাক্কা কাটিয়ে ওঠার আগেই গোল হজম করে বসে বাংলাদেশ। তাতে খেলায় ফেরে ভারত। বক্সের ভেতর থেকে নিচু শটে লক্ষ্যভেদ করেন রিকি মিতে হোবাম। এরপর দুই দলই গোলে খোঁজে থাকলেও কাঙ্ক্ষিত লক্ষ্যের দেখা পায়নি। বরং যোগ করা সময়ে কামাচায় মারমা লাল কার্ড দেখে মাঠ ছাড়লে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বাংলাদেশ। এর পরই শেষ বাঁশি বাজান রেফারি। টুর্নামেন্টের নিয়ম অনুসারে অতিরিক্ত সময় ছিল না সেমিফাইনাল ম্যাচে। খেলার ভাগ্য গড়ায় সরাসরি টাইব্রেকারে।

যেখানে ভারতের প্রথম শটই ঝাঁপিয়ে আটকে দেন আসিফ। শুরুতেই এগিয়ে যাওয়ার বিশ্বাস ঢুকে যায় বাংলাদেশ দলের মধ্যে। বাংলাদেশের চারটি শটেই জাল খুঁজে নেন পিয়াস আহমেদ নোভা, পারভেজ আহমেদ, শাকিল আহাদ তপু ও মঈনুল ইসলাম মঈন। ভারত তাদের দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শটে সফল হলেও পঞ্চম শট আসিফের হাতে আটকে যাওয়ায় ফাইনালে যাওয়ার আনন্দে মাতে বাংলাদেশ।