মেয়ের হাত-পা বাঁধা ছবি পাঠানো হয় বাবার কাছে। অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে ৩০ লাখ রুপি। উপায় না দেখে পুলিশের কাছে ছুটে যান বাবা। কিন্তু পুলিশ তদন্ত শুরু করলে সামনে আসে অন্য এক কাহিনি।
খবর প্রকাশিত: ২২ মার্চ, ২০২৪, ০২:৫৮ এএম
মেয়ের হাত-পা বাঁধা ছবি পাঠানো হয় বাবার কাছে। অপহরণ করে মুক্তিপণ দাবি করা হয়েছে ৩০ লাখ রুপি। উপায় না দেখে পুলিশের কাছে ছুটে যান বাবা। কিন্তু পুলিশ তদন্ত শুরু করলে সামনে আসে অন্য এক কাহিনি।
পুলিশের কাছে বাবা অভিযোগ দায়ের করার সময় বলেন, তিনি তাঁর মেয়ের হাত-পা বাঁধা ছবি পেয়েছেন। তাঁর মেয়ে রাজস্থানের কোটায় একটি কোচিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি হয়েছিলেন।
কোটার পুলিশ সুপার অমৃতা দুহান বলেছেন, ‘এখন পর্যন্ত তদন্তে যে প্রমাণ পাওয়া গেছে তাতে দেখা যাচ্ছে, মেয়েটির বিরুদ্ধে কোনো অপরাধ সংঘটিত হয়নি এবং কোনো অপহরণের ঘটনাও ঘটেনি।
তিনি আরো বলেন, গত ১৮ মার্চ মধ্য প্রদেশের শিবপুরীতে মেয়েটির বাবার কাছে অভিযোগ দায়ের করার বিষয়ে তথ্য পেয়ে তাঁরা তদন্তে নামেন। তখন তাঁরা জানতে পারেন, ওই তরুণী তাঁর দুই বন্ধুর সঙ্গে ইন্দোরে বসবাস করতেন। মা-বাবা অন্য জায়গায় বসবাস করতেন। পুলিশ ওই তরণীর এক বন্ধুকে খুঁজে বের করে।
ছয়-সাত মাস ধরে কোটায় ওই তরণীর অবস্থান জানা যায়নি। শহরের কোনো কোচিং ইনস্টিটিউট বা হোস্টেলে ভর্তিও হননি তিনি। কিন্তু মেয়েটির মা তাঁকে গত বছরের ৩ আগস্ট একটি কোচিং ইনস্টিটিউটে ভর্তি করান এবং তিনি ৫ আগস্ট পর্যন্ত সেখানে ছিলেন। এরপর ওই তরুণী মধ্য প্রদেশের ইন্দোরে যান বলে পুলিশ জানিয়েছে। কোচিং ইনস্টিটিউটে নিয়মিত যাচ্ছেন, তা বিশ্বাস করানোর জন্য ভিন্ন নম্বর থেকে মা-বাবার ফোনে পরীক্ষার নম্বর পাঠাতেন তিনি। এর মধ্যেই তিনি তাঁর অপহরণের নাটক সাজান। বন্ধুরা তাঁকে এই নাটক সাজাতে সাহায্য করেছিলেন।