NYC Sightseeing Pass
ঢাকা, শুক্রবার, এপ্রিল ২৫, ২০২৫ | ১২ বৈশাখ ১৪৩২
ব্রেকিং নিউজ
পুলিশের সামর্থ্য বৃদ্ধিতে সহযোগিতা করবে ইতালি : স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা জনগণমুখী সংসদের জন্য ই-পার্লামেন্ট অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ : আইন উপদেষ্টা প্রবাসীদের সহযোগিতায় দেশের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে : ড. ইউনূস শান্তি আলোচনা বাধাগ্রস্ত, জেলেনস্কিকে দায়ী করছেন ট্রাম্প কাশ্মীরে হামলা মোদী সরকারের পাশে দাঁড়ালো বিরোধীদলগুলো বিদেশের ৪০ শহরে মুক্তি পাচ্ছে ‘জংলি’ কাতারের প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে প্রধান উপদেষ্টার বৈঠক বাংলাদেশে অবাধ-সুষ্ঠু নির্বাচন চায় অস্ট্রেলিয়া: হাইকমিশনার একসঙ্গে ভয়াবহ দাবানলে পুড়ছে ইসরায়েল-যুক্তরাষ্ট্র ভারতের কূটনৈতিক পদক্ষেপের কঠোর জবাব দেবে পাকিস্তান
Logo
logo

বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সহযোগী সংগঠন বঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আত্মপ্রকাশ


খবর   প্রকাশিত:  ২১ এপ্রিল, ২০২৫, ০৭:৩৩ এএম

বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সহযোগী সংগঠন বঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আত্মপ্রকাশ

ঢাকা: বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সহযোগী সংগঠন বঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আত্মপ্রকাশ ঘটেছে আজ ২৮ ডিসেম্বর বৃহষ্পতিবার জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতিবিজড়িত ৩২ নম্বর বাড়ির সামনে। জাতির পিতার প্রতিকৃতিতে শ্রদ্ধা নিবেদনের মধ্য দিয়ে এক অনাড়ম্বর অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সহযোগী সংগঠন বঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের আত্মপ্রকাশ ঘটে।

করতালির মধ্য দিয়ে বঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের সভাপতি হিসেবে বীর মুক্তিযোদ্ধা মো. আবুল হায়াত হেদায়েত এবং সাধারণ সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আবদুল হালিম খানকে নির্বাচিত করা হয়। এয়াড়া উপস্থিত অন্যান্য বীর মুক্তিযোদ্ধারা সদস্য হিসেবে পরিগণিত হবেন বলে সিদ্ধান্ত ঘোষণা করা হয়। এরপর বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদ ও সহযোগী সংগঠন বঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের নেতৃবৃন্দ বঙ্গবন্ধু স্মৃতি জাদুঘর পরিদর্শন করেন। এ সময় মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধীদের চিহ্নিতকরণ, আর্ন্তজাতিক ট্রাইবুনালে শাস্তিপ্রাপ্তদের সম্পদ বাজেয়াপ্তসহ ১১টি কর্মপরিকল্পনা ঘোষণা করা হয়।

এ সময় আরো উপস্থিত ছিলেন সাব-সেক্টরক মান্ডার বীর মুক্তিযোদ্ধা সরিত কুমার লালা, আনোয়ার হোসেন খান, ওসমান গনি, আবদুল মান্নান বীর প্রতীক, মাহবুব এলাহী রনজু বীর প্রতীক, মোজাম্মেল হক বীর প্রতীক, ক্যাপ্টন(অব:) আলমগীর সাত্তার বীর প্রতীক, রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, ফকির আবুল কালাম আজাদ, আশা লতা বৈদ্য, রেখা রানী গুণ, কামরুন নাহার, বীর মুক্তিযোদ্ধা সিরাজুল ইসলাম কাঞ্চন, বীর মুক্তিযোদ্ধা কুদরতে আলম রিপন, তরুণ তপন কুমার চক্রবর্তী, পদ্মা রহমান, নাজিম উদ্দীন গেরিলা, এ জেড এম সাদেকুর রহমান, সাহিদ স্মরণ, রফিকুল আলম, লিনু হক, হাফিজুর রহমান, এ জেড এম সাদেকুর রহমান, লুৎফর রহমান, পদ্মা রহমান, রফিকুল আলম, মিসেস পারভীন রশিদ, আবদুল গাফ্ফার কুতুবী, বোরহান উদ্দিন মিষ্ঠ, শেখ নূরুল ইসলাম, আবুল বকর সিদ্দিক, লুৎফা হোসেন রোজী, নাজমা শাহীন বেবী, কাজী হাবলু, হাজী লিয়াকত, এ এম শফিউর রহমান দুলু, আব্দুল মোতালেব, আবুল কাশেম, মো: বোরহান উদ্দিন খান, সেকান্দর আলীবাদল, এম মাহবুব আলম সরকার, তাহরিমা চৌধুরী, কল্যাণী ঘোষ, মেহেরুন্নেসা মেরী, কাজী এ. সবুর, সেলিম কাজী, ডা. জন বোস, বিজয় জি ক্রুজ, আজীজ বাঙাল, শিশুসাহিত্যিক হুমায়ন কবীর ঢালী, ঔপন্যাসিক সাংবাদিক শিব্বীর আহমেদ সহ প্রমুখ। বীর মুক্তিযোদ্ধা আনোয়ার হোসেন খানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা সাবসেক্টর কমান্ডার সরিত কুমারলালা, বীরমুক্তিযোদ্ধা রাজ্জাকুল হায়দার চৌধুরী, জাতীয় মানবাধিকার কমিশনের প্রাক্তন চেয়ারম্যান নাছিমা, কবি নাসির আহমেদ, বেগম এনডিসি, অধ্যাপক ড. রফিক উল্লাহ খান, অধ্যাপক ড. আনোয়ারুল করিম, অধ্যাপক ড. দিলারা হাফিজ প্রমুখ। আলোচনায় বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সাধারণ সম্পাদক কামরুল ইসলাম বলেন, বীরমুক্তিযোদ্ধা, কবি, লেখক, শিল্পী, উদ্যোক্তা, পেশাজীবী এবং দেশ প্রেমিক জনগণকে সাথে নিয়ে বঙ্গীয় সাহিত্য সংস্কৃতি সংসদের সকল সহযোগী সংগঠন, আঞ্চলিক, জাতীয়, ও আর্র্ন্তজাতিক শাখাসমূহ, সকল সমমনা জাতীয় ও আর্ন্তজাতিক সংস্থা/সংগঠন কর্মপরিকল্পনা বাস্তবায়ন করবে।

বঙ্গীয় মুক্তিযোদ্ধা সংসদের কর্মপরিকল্পনা:

১. দেশে এবং বিদেশে বর্তমান প্রজন্মের শিশু-কিশোর-তরুণদের মাঝে মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রত্যক্ষ অভিজ্ঞতা উপস্থাপন এবং ডিজিটাল প্লাটফর্ম ব্যবহার, তথ্য চিত্র নির্মাণ সহবিবিধ কর্মসূচি প্রণয়ন ও বাস্তবায়ন; ২. জাতিরপিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও তাঁর পরিবারবর্গের হত্যাকারীদের শাস্তি নিশ্চিত করতে ভূমিকা গ্রহণ; ৩. মুক্তিযুদ্ধের সময়কাল এবং পরবর্তী সময়ে হত্যাকান্ডর শিকার জাতীয় চারনেতা, শহীদ মুক্তিযোদ্ধা, শহীদ কবি লেখক, শিল্পী পেশাজীবীদের হত্যার বিচার সম্পন্ন করার জন্য পদক্ষে গ্রহণ; ৪. মার্চ-২০২৪ এর প্রথম সপ্তাহে মুক্তিযোদ্ধা ও মুক্তিযুদ্ধ নিয়ে আন্তর্জাতিক সেমিনার, সম্মিলন সম্পন্ন করা; ৫. মুক্তিযুদ্ধের চেতনাবিরোধী, তথ্য বিভ্রাট গ্রন্থগুলো চিহ্নিতসহ বাজেয়াপ্ত করতে কমিশন গঠন; ৬. মহান মুক্তিযুদ্ধে মৈত্রীসনদ প্রাপ্তসকলবীরদের সাথে সংযোগ গড়ে তোলা; ৭. মুক্তিযুদ্ধের সংস্কৃতিকে আর্র্ন্তজাতিক পরিসরে উপস্থাপন; ৮. দেশ ও দেশেরবাইরে মৈত্রীর দেশে মুক্তিযুদ্ধের স্মৃতিস্থান সংরক্ষণ, মৈত্রী কেন্দ্র স্থাপন; ৯. আন্তর্জাতিক ট্রাইবুনালে সাজা প্রাপ্তদের সম্পদ বাজেয়াপ্ত করে স্মৃতি স্থান সংরক্ষণ ও মৈত্রী কেন্দ্র গড়ে তোলার জন্য প্রাথমিক তহবিল গঠন; ১০. দেশের সংবিধান লঙ্ঘনকারী, মুক্তিযুদ্ধের আদর্শ বিরোধীদের চিহ্নিত করতে সামাজিক কর্ম উদ্যোগ গ্রহণ; ১১. স্মার্ট বাংলাদেশ বিনির্মাণে বাংলাদেশ সরকারকে সহযোগিতা করা।

এ সময় ‘বিজয়ফুল’ সংগঠন থেকে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের’ বিজয় ফুল পরিধান করিয়ে দেন বাংলাদেশ চ্যাপ্টারের সমন্বয়ক ড. নীরু শামসুন্নাহার। এছাড়াও বঙ্গবন্ধু ও তাঁর শহীদ পরিবারবর্গ, শহীদ বীর মুক্তিযোদ্ধাদের বিদেহী আত্মার চিরায়ত শান্তি এবং দেশ ও জাতির কল্যাণ কামনা করে শান্তি প্রার্থনা করা হয়।