সামনে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা ও ভারতের মতো কঠিন প্রতিপক্ষদের বিপক্ষে সিরিজ। তার আগে নিজেদের ঝালিয়ে নেওয়ার বড় সুযোগ বাংলাদেশের।

বাংলাদেশ ক্রিকেট দল আজ শনিবার সংযুক্ত আরব আমিরাতের বিপক্ষে দুই ম্যাচের একটি সংক্ষিপ্ত টি-টোয়েন্টি সিরিজের মাধ্যমে তাদের গ্রীষ্মকালীন আন্তর্জাতিক সফর শুরু করতে যাচ্ছে। শারজাহতে ম্যাচটি শুরু হবে বাংলাদেশ সময় রাত নয়টায়।

 

প্রতিপক্ষ অপেক্ষাকৃত দুর্বল হলেও এ সিরিজ নিয়ে অন্যরকম একটা রোমাঞ্চ-উত্তেজনা আছে টাইগার সমর্থকদের। এ সিরিজ দিয়েই যে টি-টোয়েন্টিতে পূর্ণকালীন অধিনায়ক হিসেবে অভিষেক হচ্ছে লিটন দাসের। সহঅধিনায়ক করা হয়েছে শেখ মেহেদীকে। বলা যায়, টি-টোয়েন্টির নতুন যুগে প্রবেশ করতে যাচ্ছে বাংলাদেশ।

বাংলাদেশ দলের স্কোয়াডে পাঁচজন টপ-অর্ডার ব্যাটসম্যান রয়েছে, যাদের সবাইকে প্রথম চার পজিশনে জায়গা দিতে হবে। সম্ভাব্য উদ্বোধনী জুটি হতে পারে তানজিদ হাসান ও সৌম্য সরকার। এরপরের ব্যাটিংয়ে আসতে পারেন অধিনায়ক লিটন দাস ও নাজমুল হোসেন শান্ত। তরুণ ওপেনার পারভেজ হোসেন ইমন এখনও প্রস্তুতির ধাপে থাকায় তার জন্য অপেক্ষা করতে হতে পারে।

 

মিডল ও লোয়ার মিডল অর্ডারে থাকছেন তাওহিদ হৃদয়, শামীম হোসেন পাটোয়ারী ও জাকের আলি। তাদের হাই স্ট্রাইক রেট ইনিংসের শেষ দিকে কাজে আসবে বলে মনে করা হচ্ছে। এরপর থাকবেন রিশাদ হোসেন ও শেখ মেহেদী হাসান, যারা ‘হিটার’ হিসেবে কাজ করবেন।

বোলিংয়েও আছে বৈচিত্র্য। মোস্তাফিজুর রহমান থাকছেন অভিজ্ঞতম বোলার হিসেবে। রয়েছেন তানজিম হাসান সাকিব, নাহিদ রানার মতো তরুণ। হাসান মাহমুদ ও শরিফুল ইসলামও আছেন। স্পিন আক্রমণে রিশাদ ও মেহেদীর সঙ্গে রিজার্ভ হিসেবে থাকছেন বাঁ-হাতি স্পিনার তানভীর ইসলাম।

টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে আরব আমিরাত একেবারে হেলাফেলার দল নয়। যদিও পূর্ণ সদস্য দলের বিপক্ষে তাদের খেলার অভিজ্ঞতা সীমিত। ২০২৩-২৪ সালে আফগানিস্তানের কাছে ২-১ ব্যবধানে হেরেছিল তারা। তবে একই বছরে নিউজিল্যান্ডকে হারিয়ে চমক দেখিয়েছিল।

 

ম্যাচগুলো অনুষ্ঠিত হবে শারজাহতে, যেখানে তাপমাত্রা বর্তমানে ৩৮ ডিগ্রি সেলসিয়াসের কাছাকাছি। তাই রাতের ম্যাচ খেলোয়াড়দের জন্য স্বস্তিদায়ক হতে পারে। বাংলাদেশের খেলোয়াড়রা এই ভেন্যুতে আগেই আফগানিস্তানের বিপক্ষে ওয়ানডে খেলেছেন, তাই তাদের কিছুটা অভিজ্ঞতা রয়েছে।

 

 

 

১৭০-১৮০ রানের স্কোর এখানে ফাইটিং স্কোর হিসেবে ধরা হয়। বাংলাদেশ নিশ্চয়ই চাইবে অপেক্ষাকৃত দুর্বল প্রতিপক্ষের বিপক্ষে নতুন অধিনায়কের অধীনে আরও ভালো কিছু করতে। বাকিটুকু মাঠের পারফরম্যান্সই বলে দেবে!