মনসুর আরো বলেন, তিনি মনে করেন ইসরায়েল গাজার জনগণকে দক্ষিণে ঠেলে দিচ্ছে এবং শেষ পর্যন্ত এ অঞ্চলে পূর্ণ আক্রমণ শুরু করবে। তবে জাতিসংঘে ইসরায়েলের রাষ্ট্রদূত গিলাদ এরদান দৃঢ়ভাবে যুদ্ধবিরতির আহ্বান প্রত্যাখ্যান করেছেন।
তিনি জাতিসংঘে বলেন, ‘একটি যুদ্ধবিরতি গাজার ওপর হামাসের নিয়ন্ত্রণকে শক্তিশালী করবে এবং এই বার্তা পাঠাবে যে হামাসকে তাদের পরিকল্পিত নৃশংসতা সত্ত্বেও ক্ষমা করা হচ্ছে।’
ব্লিনকেনের চাপ
যুদ্ধের মধ্যে গাজার সাধারণ মানুষের সুরক্ষায় ইসরায়েলকে আরো বেশি কিছু করার চাপ দিয়েছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিনকেন। তিনি বলেছেন, গাজার মানুষের সুরক্ষায় ইসরায়েল যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছিল, বাস্তবের সঙ্গে তার ফারাক দেখা যাচ্ছে।
ভেঙে পড়েছে গাজার সমাজ
যুদ্ধের ধ্বংসযজ্ঞ আর ক্ষুধার তাড়নায় মরিয়া হয়ে উঠেছে গাজার মানুষ। গাজায় জাতিসংঘের শরণার্থী সংস্থার পরিচালক টমাস হোয়াইট সতর্ক করে দিয়ে বলেছেন, গাজার সমাজ পুরোপুরি ভেঙে পড়ার মুখে দাঁড়িয়েছে। তিনি বলেছেন, গাজার সড়কগুলো বন্য এলাকার মতো মনে হয়, বিশেষ করে রাতের অন্ধকারে।
যুবকদের আটকের ভিডিও ফুটেজ
গাজা উপত্যকার খান ইউনিস শহর ঘিরে ও উত্তর গাজায় তুমুল যুদ্ধ চলছে। এই যুদ্ধের মধ্যেই ফিলিস্তিনি যুবকদের অর্ধনগ্ন করে ধরে নিয়ে যাওয়ার একটি ভিডিও ফুটেজ সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এই যুবকদের গাজার বেইত লাহিয়া এলাকা থেকে আটক করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে।
ইসরায়েলি সরকারের মুখপাত্র আইলন লেভি বলেছেন, ওই যুবকদের উত্তর গাজার জাবালিয়া ও শেজাইয়াতে আটক করা হয়েছিল। একে তিনি হামাসের শক্ত ঘাঁটি হিসেবে বর্ণনা করে বলেন, ‘আমরা সামরিক বয়সী পুরুষদের কথা বলছি। তাদের এমন এলাকায় পাওয়া গেছে যেখান থেকে বেসামরিক লোকদের কয়েক সপ্তাহ আগেই সরে যাওয়ার কথা ছিল। কে প্রকৃতপক্ষে হামাস সন্ত্রাসী এবং কে নয়—তা বের করার জন্য তাদের জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।’
সূত্র : এএফপি ও বিবিসি