ঢাকা: ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় দুটি এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের সঙ্গে পাখির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। শনিবার ঢাকায় হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে উড্ডয়নের সময় দুটি এয়ারলাইন্সের উড়োজাহাজের সঙ্গে পাখির সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে।
জানা গেছে, হযরত শাহজালাল বিমানবন্দরের পাশের লেক লিজ দিয়ে করা হয় মাছ চাষ। আছে পরিত্যক্ত ডোবা-নালা, আবর্জনা; আছে রানওয়ের সবুজ ঘাস, যা আকৃষ্ট করে পাখিদের।
প্রতিদিনই মাছ আর কীটপতঙ্গ খেতে এখানে হাজির হয় ঝাঁকে ঝাঁকে পাখি। রানওয়েতেও চলে আসে তারা। সংশি্লষ্টরা জানান, পাখি তাড়ানোর কমিটি করেও সমস্যার সমাধান মেলেনি।
প্রথম ঘটনাটি ঘটে ঢাকা-ব্যাংকক রুটে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনসের-বিজি ৩৮৮ ফ্লাইটের সঙ্গে।
বিমানের একজন সিনিয়র পাইলট জানান, উড্ডয়নের সময় রানওয়েতে উচ্চ গতিতে থাকা উড়োজাহাজের সঙ্গে পাখির ধাক্কা লাগে। এতে উড়োজাহাজের একটি চাকা ফেটে যায়। উড্ডয়ন বাতিল হওয়ায় পরে যাত্রীদের ট্যাক্সিওয়েতে নামতে হয়।
বিমানের একজন ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা জানান, এই যাত্রীদের পরে বিমানের অন্য একটি উড়োজাহাজে করে ব্যাংককে নিয়ে যাওয়া হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত উড়োজাহাজটি এখন বিমানের প্রকেৌশলী দলের তত্ত্বাবধায়নে আছে।
দ্বিতীয় ঘটনায়, ফ্লাই দুবাইয়ের একটি ফ্লাইট উড্ডয়নের সময় পাখির ধাক্কা লাগে। এতে উড়োজাহাজের বাম পাশের ইঞ্জিনের তিনটি বে্লড ক্ষতিগ্রস্ত হয় এবং দুটি চাকা গলে যায়।
এর আগে গত বছরের ডিসেম্বরে শাহজালালে অবতরণের সময় ইঞ্জিনে পাখির আঘাতে বিমানের একটি ড্রিমলাইনার ক্ষতিগ্রস্ত হয়। বিমানবন্দরের কর্মকর্তারা জানান, ঢাকা বিমানবন্দরে পাখির সঙ্গে সংঘর্ষ একটি নিয়মিত সমস্যা হয়ে দাঁড়িয়েছে।
এ কারণে বিমান সংস্থাগুলো ব্যাপক আর্থিক ক্ষতির সম্মুখীন হচ্ছে।
জানতে চাইলে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের নির্বাহী পরিচালক গ্রুপ ক্যাপ্টেন মোহাম্মদ কামরুল ইসলাম কালের কণ্ঠকে বলেন, শনিবার কম সময়ের ব্যবধানে দুটি বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইনস ও ফ্লাইট দুবাইয়ের ফ্লাইটে পাখির ধাক্কার ঘটনা ঘটেছে। আমাদের বিমানবন্দরে দুই পাশে দুই শিফটে বার্ড শুটার প্রতিদিন কাজ করছে। এ ছাড়া প্যাসিভ ডিভাইসও আছে। এরপরও বৃষ্টির পর পাখির আগমণ বাড়ায় ঘটনা ঘটেছে। গত কয়েক মাসে আমাদের বিভিন্ন পদক্ষেপের কারণে কমেছে। এর মধ্যেও মাঝে মাঝে ঘটনা ঘটেছে। সবগুলো ঘটনা বিমানবন্দরে ঘটছে না। বিমান উড্ডয়নের পর কিছুদুর গিয়েও এই ঘটনা ঘটছে।