রোজামুন্ড লুইস বলেন, মাঙ্কিপক্স মহামারিতে রূপ নিতে পারে বলে তাঁরা মনে করেন না।
ডব্লিউএইচওর মাঙ্কিপক্স-সংক্রান্ত শীর্ষ বিশেষজ্ঞ বলেন, ‘এই মুহূর্তে আমরা বিশ্বব্যাপী মহামারি নিয়ে উদ্বিগ্ন নইতবে ভাইরাসটির বিস্তার রোধে দ্রুত পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি বলে মনে করেন রোজামুন্ড লইস। তিনি বলেন, মাঙ্কিপক্সের প্রাদুর্ভাব আরও বিস্তার লাভ করার আগে তা বন্ধ করা এখনো সম্ভব।
মাঙ্কিপক্স ছড়ানোর ঘটনাকে ‘অস্বাভাবিক পরিস্থিতি’ হিসেবে অভিহিত করে উদ্বেগ জানিয়েছিল ডব্লিউএইচও। তবে গতকাল সংস্থাটি বলেছে, এই ভাইরাস নিয়ে আতঙ্কিত হওয়ার কোনো কারণ নেই।
রোজামুন্ড লুইস বলেন, ‘আমাদের সবার ভয় পাওয়া উচিত বলে আমি মনে করি না।’
ডব্লিউএইচওর শীর্ষস্থানীয় কর্মকর্তা বলেন, মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত যেসব ব্যক্তির কোনো উপসর্গ নেই, তাঁরা অন্যদের সংক্রমিত করতে পারেন কি না, সে বিষয়টি এখনো স্পষ্ট নয়
আফ্রিকায় প্রায়ই এই ভাইরাসের সংক্রমণ দেখা যায়। কিন্তু আফ্রিকার বাইরে গত মার্চে ইউরোপে প্রথম ভাইরাসটি শনাক্ত হয়। বিভিন্ন দেশে ভাইরাসটি শনাক্ত হওয়ার তথ্য পাওয়া যাচ্ছে।
ডব্লিউএইচওর কাছে এখন পর্যন্ত বিশ্বের প্রায় ২৫টি দেশ মাঙ্কিপক্স-সংক্রান্ত তথ্য সরবরাহ করেছে। এই তথ্যমতে, নিশ্চিত শনাক্ত ও সন্দেহভাজন মাঙ্কিপক্স রোগীর সংখ্যা ৪০০ জনে পৌঁছেছে।
মাঙ্কিপক্স রোগের তীব্রতা বেশ কম। বেশির ভাগ রোগী তিন থেকে চার সপ্তাহের মধ্যে রোগ থেকে সেরে ওঠেন।