রয়েল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর শিরোপা উদযাপনে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর ঘটনায় এবার থানায় মামলা হলো বিরাট কোহলির বিরুদ্ধে। মামলার এজাহারে পদপিষ্ট হয়ে ১১ জনের মৃত্যুর জন্য কোহলিকেই দায়ী করা হলো। স্থানীয় সমাজকর্মী এইচএম বেঙ্কটেশ এই মামলা করেন। উল্লেখ্য, বুধবার বেঙ্গালুরুতে বেঙ্গালুরুর আইপিএল উৎসবে শামিল হতে গিয়ে প্রাণ হারান ১১ জন।

কর্নাটকের শিবমোগা জেলার সমাজকর্মী বেঙ্কটেশ মামরা দায়ের করেছেন বেঙ্গালুরুর কাবন পার্ক থানায়। তিনি জানান, কোহলির জন্যই স্টেডিয়ামের বাইরে এত বেশি সমর্থক হাজির হয়েছিলো! পদপিষ্ট হওয়ার খবর ছড়িয়ে পড়ার পরও কেন উৎসব চালিয়ে যাওয়া হল, তাও জানতে চেয়েছেন তিনি।

 

কাবন পার্ক থানার পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, বেঙ্কটেশের মামলায় যে অভিযোগ আনা হয়েছে, তা খতিয়ে দেখা হবে। তদন্ত প্রক্রিয়া চলার সময় এই অভিযোগের সত্যতা যাচাই করা হবে। এখনই কোহলির বিরুদ্ধে কোনও পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে না। শোনা গেছে, সেই অনুষ্ঠানের পরই স্ত্রী আনুশকা শর্মা এবং সন্তানদের নিয়ে লন্ডনে পাড়ি দিয়েছেন কোহলি।

রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরুর বিজয়োৎসবের দায়িত্বে থাকা ডিএনএ এন্টারটেইনমেন্ট, কর্নাটক রাজ্য ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের (কেএসসিএ) বিরুদ্ধে স্বঃপ্রণোদিত এফআইআর দায়ের করেছে বেঙ্গালুরু পুলিশ। গ্রেফতারের আশঙ্কা করেই হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছিলেন কর্নাটক ক্রিকেট বোর্ডের কর্মকর্তারা। সেই মামলায় শুক্রবার বিচারপতি এসআর কৃষ্ণ কুমার নির্দেশ দেন, পরবর্তী শুনানি পর্যন্ত ক্রিকেট বোর্ডের বিরুদ্ধে কড়া পদক্ষেপ নেয়া যাবে না।

 

কর্নাটক ক্রিকেট বোর্ডের যে সব কর্মকর্তা এই মামলায় জড়িয়ে পড়েন, তাদেরও আদালতের অনুমতি ছাড়া রাজ্যের বাইরে যেতে নিষেধ করেছেন বিচারপতি। তার আরও নির্দেশ, বোর্ডের কর্মকর্তাদের তদন্তে সহযোগিতা করতে হবে।

কর্নাটকের মুখ্যমন্ত্রী সিদ্দারামাইয়া এরইমধ্যে বেঙ্গালুরুর পুলিশ কমিশনারকে বরখাস্ত করেন। বহিস্কার করা হয়েছে পুলিশের একাধিক শীর্ষ কর্মকর্তাকেও। বৃহস্পতিবারই তিনি জানিয়েছিলেন, আরসিবি এবং কেএসসিএ কর্মকর্তাদের গ্রেফতার করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে তার সরকার।

চিন্নাস্বামী স্টেডিয়ামের বাইরে বিপর্যয়ের ঘটনায় স্বতঃপ্রণোদিত হয়ে মামলা শুনছে কর্নাটক হাইকোর্ট। রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে রাজ্য সরকারের কাছ থেকেও। সেখানেই কর্নাটক সরকার জানিয়েছে, এ ঘটনার তদন্ত করবে সিআইডি। বিশেষ তদন্তকারী দল (সিট) গঠন করা হচ্ছে। ম্যাজিস্ট্রেট পর্যায়ের তদন্তের রিপোর্ট চাওয়া হয়েছে ১৫ দিনের মধ্যে। কাউকে রেহাই দেয়া হবে না বলেই আদালতে জানিয়েছে সিদ্দারামাইয়া সরকার। যদিও আদালতের নির্দেশে খানিক স্বস্তি পেলেন বোর্ডের কর্তারা।