খবর প্রকাশিত: ১১ ডিসেম্বর, ২০২৪, ০৬:০২ এএম
বিশ্বের উদীয়মান অর্থনীতির পাঁচ দেশ— ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন এবং দক্ষিণ আফ্রিকার সমন্বয়ে গঠিত জোট ব্রিকসে নতুন সদস্যদের স্বাগত জানাতে চীন প্রস্তুত রয়েছে। মঙ্গলবার চীনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র মাও নিং পাঁচ দেশের এই জোটে বাংলাদেশের যোগদানের আবেদনের বিষয়ে রুশ সংবাদমাধ্যম আরআইএ নভোস্তির এক প্রশ্নের জবাবে বেইজিংয়ের অবস্থান জানিয়েছেন।
গত ১৯ জুন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কার্যালয় আরআইএ নভোস্তিকে জানিয়েছে, বাংলাদেশ ব্রিকসে যোগদানের জন্য আনুষ্ঠানিকভাবে আবেদন করেছে। মঙ্গলবার বেইজিংয়ে সংবাদ সম্মেলনে আরআইএ নভোস্তির প্রতিনিধি এই বিষয়ে চীনের মন্তব্য জানতে চান।
জবাবে মাও নিং বলেন, উদীয়মান বাজার ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে সহযোগিতার এক গুরুত্বপূর্ণ প্ল্যাটফর্ম হিসাবে ব্রিকস বহুপাক্ষিক অবস্থান সমুন্নত রাখতে প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। এই জোট বিশ্বজুড়ে শাসন ব্যবস্থার সংস্কার জোরালোভাবে এগিয়ে নিয়ে যাচ্ছে এবং প্রতিনিধিত্ব বৃদ্ধি করছে।
‘ব্রিকসের সম্প্রসারণ একটি রাজনৈতিক ঐকমত্যের প্রক্রিয়া। পাঁচ সদস্য রাষ্ট্রই এই ঐকমত্যে পৌঁছেছে। ব্রিকসের সম্প্রসারণ এগিয়ে নেওয়ার জন্য চীন প্রতিশ্রুতিশীল রয়েছে। ব্রিকসের বড় পরিবারে আরও সমমনা অংশীদার আনতে প্রস্তুত রয়েছে চীন।’
বাংলাদেশ ইতোমধ্যে আনুষ্ঠানিকভাবে এই জোটে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছে। পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, এই বিষয়ে বাংলাদেশের আনুষ্ঠানিক আগ্রহের কথা জানিয়ে ব্রিকসের বর্তমান চেয়ারম্যান ও দক্ষিণ আফ্রিকার পররাষ্ট্রমন্ত্রী নালেদি পান্ডোরের কাছে একটি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তিনি বলেন, ‘হ্যাঁ, আমরা আমাদের আগ্রহ প্রকাশ এবং জোটে যোগ দেওয়ার জন্য আবেদন করেছি।’
এর আগে, বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্রাজিল, রাশিয়া, ভারত, চীন ও দক্ষিণ আফ্রিকা— পাঁচ সদস্য দেশকে নিয়ে গঠিত জোটে যোগ দেওয়ার জন্য ব্রিকস আনুষ্ঠানিকভাবে আমন্ত্রণ জানালে বাংলাদেশ তা গ্রহণ করবে।
তিনি বলেন, তারা আমাদের আমন্ত্রণ জানালে আমরা অবশ্যই যোগ দেব। আমরা এখনও আনুষ্ঠানিক চিঠি পাইনি (আমাদের যোগদানের আমন্ত্রণ জানিয়ে)। ব্রিকস নেতারা কিছু উদীয়মান অর্থনীতির দেশকে জোটে নেওয়ার কথা ভাবছেন। তাদের মধ্যে সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, ইন্দোনেশিয়া এবং বাংলাদেশসহ প্রায় আটটি নতুন দেশ রয়েছে।