আর্ন্তজাতিক ডেস্ক: ইউক্রেন যুদ্ধের সবচেয়ে তীব্র বোমা হামলার কয়েক দিনের মধ্যে দেশটি জুড়ে রাশিয়া আরো হামলা চালিয়েছে। কর্মকর্তারা জানিয়েছেন, বৃহস্পতিবার দনিপ্র শহরে একটি গ্যাস উৎপাদন কেন্দ্র এবং একটি ক্ষেপণাস্ত্র কারখানায় আক্রমণ চালানো হয়েছে। হামলায় একটি এলাকার কমপক্ষে চারজন মারা গেছেন।
সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে রাশিয়া ইউক্রেনের মূল জ্বালানি অবকাঠামোগুলোকে লক্ষ্যবস্তু করছে।
তবে বৃহস্পতিবারের হামলার অভিযোগের বিষয়ে মস্কো এখনো কোনো মন্তব্য করেনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্টের কার্যালয় জানিয়েছে, জাপোরিঝিয়া অঞ্চলে আবাসিক ভবনগুলোতে রাতে চালানো হামলার ফলে চারজন মারা গেছেন।
এদিকে দনিপ্রর আঞ্চলিক প্রধান বলেছেন, ইউক্রেনের অন্যতম বড় শহরটিতে ক্ষেপণাস্ত্র আঘাত হেনেছে। এতে একটি শিল্প-কারখানায় অগ্নিকাণ্ড এবং ১৪ জন আহত হওয়ার ঘটনা ঘটেছে।
অন্যদিকে দেশটির প্রধানমন্ত্রী জানিয়েছেন, শহরের পিভডেনমাশ কারখানায় বোমা হামলা চালানো হয়েছে। কারখানাটি অন্যান্য পণ্যের সঙ্গে ক্ষেপণাস্ত্রও তৈরি করে।
এ ছাড়া নিকোপোল শহরের চারপাশে ৭০টি বোমা পড়েছে বলে জানা গেছে। এতে বিভিন্ন অবকাঠামোর ক্ষতি হয়েছে এবং কয়েক হাজার ঘরবাড়ি বিদ্যুৎ ও পানির সংযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে পড়েছে।
কর্মকর্তাদের দেওয়া তথ্য অনুসারে, ওডেসা এবং খারকিভ অঞ্চলেও আরো অবকাঠামো লক্ষ্যবস্তু করা হয়েছিল। যার ফলে প্রতিটি জায়গায় তিনজন করে আহত হয়েছেন।
রাজধানী কিয়েভে বিমান হামলার সাইরেন বেজে উঠেছিল। স্থানীয় সময় সকাল ৮টার দিকে মানুষের মোবাইলে দেশব্যাপী ক্ষেপণাস্ত্র হামলার সরকারি সতর্কবার্তা বাজতে শুরু করে। তবে সেখানকার স্থানীয় বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ শুরু করেছে এবং সামরিক কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, দুটি ক্রুজ ক্ষেপণাস্ত্র এবং ইরানের তৈরি অন্তত দুটি ড্রোন গুলি করে ভূপাতিত করা হয়েছে। তবে লভিভ অঞ্চলের প্রধান সেই অঞ্চলে বিমান প্রতিরক্ষা ব্যবস্থা কাজ করার কথা নিশ্চিত করতে পারেননি।
বৃহস্পতিবার ইউক্রেনজুড়ে হামলার প্রতিক্রিয়ায় প্রেসিডেন্টের কার্যালয়ের প্রধান অ্যান্ড্রি ইয়ারমাক রাশিয়াকে 'পিঠে ছুরি মারার' চেষ্টা করার জন্য অভিযুক্ত করেছেন। তিনি রাশিয়ার এই হামলার ঘটনাকে 'বোকার মতো কৌশল' অভিহিত করে বলেছেন, ইউক্রেন এই কৌশল মোকাবেলা করতে সক্ষম হয়েছে। সূত্র : বিবিসি