৫৬টি স্বাধীন দেশের জোট কমনওয়েলথের প্রধান। এরই সঙ্গে যুক্তরাজ্যসহ কমনওয়েলথভুক্ত ১৪টি দেশের রাষ্ট্রপ্রধান ছিলেন রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। এত বড় সাম্রাজ্যের অধিকারী হওয়ার পরও তার জীবনে ‘অভাব’ থাকতে পারে এটা অস্বাভাবিক। তবে রানির জীবনে এমন অনেক ‘শূন্যতা’ ছিল।

এর মধ্যে রয়েছে যেমন তিনি কখনও স্কুলে পড়াশোনা করেননি। প্রথাগত স্কুল-কলেজ-বিশ্ব বিদ্যালয়ের ডিগ্রি ছিল না তার। ফলে স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে ক্লাসরুমে খুনসুটির অভিজ্ঞতাও শূন্য।

রানির কোনো সময় পাসপোর্টও ছিল না। ব্রিটেনের জনগণের পাসপোর্টে তিনিই সরকারের কাছে আবেদন করতেন। বিদেশ সফরের যাবতীয় অনুমতি তার আদেশেই দেওয়া হতো। তাই কোনো দেশে যেতে রানির পাসপোর্টের দরকার পড়েনি। ফলে রানির পাসপোর্টের সংখ্যাও শূন্য। একই কারণে ছিল না তার ড্রাইভিং লাইসেন্স এমনকি গাড়ির নম্বরপ্লেটও।

এখানেই শেষ নয়। আরও একটি ‘শূন্যতা’ রয়েছে রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথের। তার রান্না করার অভিজ্ঞতাও শূন্য। তাকে রান্না করে খাওয়ানোর লোকের অভাব ছিল না। আর রানি রান্না করা তো দূরের কথা, রান্নাঘরে ঢোকার ইচ্ছেও প্রকাশ করেননি কখনও।

এবার আসি খাবার প্রসঙ্গে। ব্রিটেনের একটি অতি জনপ্রিয় খাবার পিৎজার স্বাদ কখনো নেননি রানি দ্বিতীয় এলিজাবেথ। তাই পিৎজা খাওয়ার অভিজ্ঞতাও শূন্য। বাকিংহামের এক বাবুর্চি বিষয়টি ফাঁস করেছিলেন এক সাক্ষাতকারে।

তিনি বলেছিলেন, রানিকে তিনি কখনও পিৎজা বানিয়ে দেননি। তার কাছ থেকে এটার বিষয়ে কখনও অনুরোধও আসেনি।