দুবাই তাদের প্রথম এয়ার ট্যাক্সি স্টেশন নির্মাণ শুরু করার কথা ঘোষণা করেছে। এটি দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরের কাছে নির্মাণ করা হবে। সংযুক্ত আরব আমিরাতের উপপ্রধানমন্ত্রী ও প্রতিরক্ষামন্ত্রী শেখ হামদান বিন মোহাম্মদ বিন রাশিদ মঙ্গলবার এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুবাইয়ের ক্রাউন প্রিন্স শেখ হামদান এক্সে জানিয়েছেন, এই স্টেশনটির পরিসর হবে তিন হাজার ১০০ বর্গকিলোমিটার, যার মাধ্যমে প্রতিবছর ৪২ হাজার অবতরণ ও ১৭ লাখ যাত্রী পরিবহন করা সম্ভব হবে।
তিনি বলেন, ‘দুবাই তার অটুট প্রতিশ্রুতি, উদ্ভাবন, নিরাপত্তা ও স্থায়িত্ব নিয়ে বিশ্বব্যাপী যাতায়াতব্যবস্থার ভবিষ্যৎ গঠন করে যাচ্ছে।’
ভ্রমণের সময় কমে ১০ মিনিটে
এই উড়ন্ত ট্যাক্সিগুলো দুবাইয়ের কিছু ব্যস্ততম এলাকার মধ্যে ভ্রমণের সময় কমিয়ে দেবে।
সংযুক্ত আরব আমিরাতের রাষ্ট্রীয় বার্তা সংস্থা ডাব্লিউএএম দুবাইয় সড়ক ও পরিবহন কর্তৃপক্ষের (আরটিএ) পরিবহনব্যবস্থা বিভাগের পরিচালক খালেদ আল আওয়াধির উদ্ধৃতি দিয়ে জানিয়েছে, এই এয়ার ট্যাক্সিগুলো প্রতি ঘণ্টায় ৩২০ কিলোমিটার গতিতে চারজন যাত্রী ও একজন পাইলট বহন করতে সক্ষম। এর মানে হচ্ছে, যাত্রীরা দুবাই আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে পাল্ম জুমেইরাতে ১০-১২ মিনিটের মধ্যে পৌঁছতে পারবেন, যেখানে গাড়িতে একই পথে ৪৫ মিনিট সময় লাগে।
আরটিএ, জবি এভিয়েশন ও স্কাইপোর্টস ইনফ্রাস্ট্রাকচারের সম্মিলিত সহযোগিতায় এই এয়ার ট্যাক্সি প্রকল্পটি তৈরি হচ্ছে, যার মাধ্যমে দুবাই বিশ্বের প্রথম শহর হিসেবে শহরের ভেতরে আকাশপথে যাতায়াতব্যবস্থা চালু হবে।
ডাউনটাউন, দুবাই মেরিনা ও পাল্ম জুমেইরা—এই চারটি ভার্টিক্যাল টেক-অফ এবং ল্যান্ডিং পোর্টকে (ভার্টিপোর্ট) শহরের মূল হোটেলগুলোর সঙ্গে সংযুক্ত করা হবে। তবে জবি এভিয়েশনের পরিকল্পনায় বলা হয়েছে, এয়ার ট্যাক্সি শেষ পর্যন্ত শহরে বাসের মতোই সাধারণ হয়ে উঠবে। ভার্টিপোর্ট হলো এমন একটি নির্দিষ্ট এলাকা, যেখানে উল্লম্বভাবে উঠতে ও নামতে সক্ষম বিমান চলাচল করতে পারে।
এ ছাড়া এই এয়ার ট্যাক্সিগুলোর মাধ্যমে ভবিষ্যতে দুবাই ও আবুধাবির মধ্যে আন্ত শহর যাতায়াতব্যবস্থা চালু করার পরিকল্পনাও রয়েছে।
এর আগে আরটিএ সেপ্টেম্বর মাসে নিশ্চিত করেছিল, প্রথম চারটি ভার্টিপোর্টের মধ্যে প্রথমটি ২০২৬ সালের প্রথম ত্রৈমাসিকে চালু হবে।
সূত্র : আল অ্যারাবিয়া