কানাডা-ভারত সম্পর্ক তলানিতে। কানাডার ভিতরে ভারতীয় এজেন্টদের অবস্থান নিয়ে সরব কানাডা। সেই পরিপ্রেক্ষিতেই আমেরিকার এই অবস্থান। এবার ভারত-কানাডা কূটনৈতিক লড়াইয়ে যোগ দিল আমেরিকা।
মার্কিন পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র ম্যাথিউ মিলার বলেছেন, ‘বিষয়টি কানাডার। ফলে আমরা দ্ব্যর্থহীন ভাষায় জানাতে চাই, বিষয়টি গুরুত্বপূর্ণ।
সোমবার কানাডা অভিযোগ করেছিল, তাদের দেশে শিখ সম্প্রদায়ের একটি বিশেষ অংশের ওপর আগ্রাসন চালাচ্ছে ভারত।
কানাডা জানিয়েছে, তাদের কাছে প্রমাণ আছে যে, ভারতীয় এজেন্টরা এর সঙ্গে যুক্ত। এরই পরিপ্রেক্ষিতে সোমবার ভারতীয় রাষ্ট্রদূতসহ একাধিক কূটনীতিককে দেশের ফেরার নির্দেশ দেয় কানাডা। ভারতও পাল্টা ক্যানাডার কূটনীতিকদের দেশে ফেরার নির্দেশ দেয়।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো অভিযোগ করেছেন, ‘ভারত একটি মৌলিক গলদ করেছে। তারা কানাডার মাটিকে এভাবে ব্যবহার করতে পারে না।’
মার্কিন মুখপাত্র জন কিরবি বলেছেন, ‘ভারত একটি তদন্ত কমিটি পাঠিয়েছিল। এর থেকে প্রমাণ হয় যে, তারা বিষয়টিকে গুরুত্ব দিচ্ছে।’ বস্তুত, তিনি দাবি করেছেন, ভারত জানিয়েছে, তারা বিষয়টি খতিয়ে দেখছে।
ভারত-কানাডা বাণিজ্য সম্পর্ক
চলতি বিতর্কে ভারত-কানাডার বাণিজ্য সম্পর্ক ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হবে বলে অনেকেই মনে করেছিলেন। কিন্তু সোমবার ক্যানাডার বাণিজ্যমন্ত্রী মেরি এনজি জানিয়েছেন, কূটনৈতিক স্তরে যতই বিতর্ক থাক, দুই দেশের বাণিজ্য সম্পর্কে তার প্রভাব এখনো পড়েনি।
তার কথায়, ‘ভারতের সঙ্গে যারা ব্যবসায়িক সম্পর্কে জড়িত, তাদের সরকার সবরকম সাহায্য করবে, যাতে বাণিজ্যে কোনো ক্ষতি না হয়।’
কানাডা ভারতকে খনিজ, ডাল, পটাশ, কারখানায় ব্যবহার্য রাসায়নিক এবং দামি পাথর রপ্তানি করে। ভারত ক্যানাডাকে দেয় মুক্তো, ফার্মা দ্রব্য, ইলেকট্রনিক দ্রব্য এবং দামি পাথর।
রয়াটর্স সংবাদসংস্থাকে ভারতের এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, ভারতের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্য খুব বড় নয়। তাই বিষয়টি নিয়ে ভারত খুব চিন্তায় নেই।
বস্তুত, গত বছর ভারতের সঙ্গে কানাডার বাণিজ্যের অঙ্ক ছিল আট দশমিক সাত বিলিয়ন ডলারের। তবে ভারতীয় বাণিজ্যমন্ত্রী জানিয়েছেন, ৬০০টি কানাডার সংস্থা ভারতে বিভিন্ন ক্ষেত্রে কাজ করছে।