মহাজাগতিক দৃশ্যের সাক্ষী হলো বিশ্ব। পৃথিবীতে ঘটল চলতি বছরের প্রথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ। বিরল এ সূর্যগ্রহণের সাক্ষী হয়েছে মেক্সিকো, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র এবং কানাডা। গতকাল সোমবার (৮ এপ্রিল) লাখ লাখ মানুষ আকাশের দিকে তাকিয়ে বিস্ময়ের সঙ্গে এই বিরল দৃশ্য দেখেছেন।
সূর্য ও পৃথিবীর মধ্যকার কক্ষপথে চাঁদের আগমন হয়। চাঁদের ছায়ায় পৃথিবীর একটা অংশ সম্পূর্ণ ঢেকে তৈরি হয় পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ।
সোমবার মেক্সিকোর স্থানীয় সময় বেলা পৌনে ১১টা ৭ মিনিটে (বাংলাদেশ সময় রাত পৌনে ১১টা) থেকে বিরল এ সূর্যগ্রহণ শুরু হয়। চাঁদ সূর্যকে ঢেকে দিতে শুরু করার সঙ্গে সঙ্গে সে দৃশ্য প্রথম দেখতে মেক্সিকোর মাজাতলান শহরে হাজার হাজার লোক ভিড় করে। মেক্সিকোর সমুদ্রসৈকত লাগোয়া শহর মাজাতলান।
মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল থেকে টেক্সাস হয়ে কানাডায় এবং পরে যুক্তরাষ্ট্রের ১৪টি রাজ্যে প্রসারিত হয় অন্ধকার। চাঁদের ছায়া ধীরে ধীরে সরে যেতেই যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১টা ২৭ মিনিটে দৃশ্যমান হয় এ সূর্যগ্রহণ।
পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখতে উত্তর আমেরিকায় একটি পার্কে প্রায় তিন হাজার মানুষ জড়ো হয়। সূর্যগ্রহণ শুরু হলে অন্ধকার নেমে আসে এবং মানুষ আনন্দে চিৎকার শুরু করে।
স্পেন, যুক্তরাজ্য, পর্তুগালসহ অন্য আরো কয়েকটি দেশের নাগরিকরা আংশিক সূর্যগ্রহণ দেখতে পায়। তবে পাকিস্তান, শ্রীলঙ্কা, নেপালসহ ভারত ও বাংলাদেশের সূর্যগ্রহণ দেখার সৌভাগ্য হয়নি।
জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা জানান, এবারের পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণের বিশেষত্ব হলো এর স্থায়িত্ব। টানা চার মিনিট চাঁদের ছায়ায় সম্পূর্ণ ঢেকে যায় সূর্য, যা গত ৫০ বছরে কখনো হয়নি। এ ছাড়া বিশ্বের বেশ কয়েকটি ঘনবসতিপূর্ণ নগরীতে এই সূর্যগ্রহণ ঘটার কারণেও এ এক বিরল ঘটনা। বিশেষজ্ঞরা খালি চোখে কিংবা সানগ্লাস পরেও এ সূর্যগ্রহণ দেখা থেকে মানুষজনকে বিরত থাকার পরামর্শ দিয়েছিলেন। বরং সূর্যগ্রহণ দেখার বিশেষ চশমা পরে এ দৃশ্য দেখার পরামর্শ দেন তারা।