স্পোর্টস ডেস্ক: আট বছর পর বিশ্বকাপে ফিরেছে যুক্তরাষ্ট্র। দ্য গ্রেটেস্ট শো অন আর্থ খ্যাত আসরে খেলার অপেক্ষা ওয়েলসের শেষ হয়েছে ৬৪ বছর পর। ফুটবলের সর্বোচ্চ মঞ্চে প্রত্যাবর্তনে দুই দল উপহার দিল দারুণ ম্যাচ। প্রথমার্ধে দাপট দেখায় যুক্তরাষ্ট্র, দ্বিতীয়ার্ধে ওয়েলস। জমে ওঠা লড়াইয়ে পিছিয়ে পড়ার পর গ্যারেথ বেলের সফল পেনাল্টিতে যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে পয়েন্ট ভাগাভাগি করল ওয়েলস।

আল রাইয়ানের আহমেদ বিন আলি স্টেডিয়ামে সোমবার রাতে কাতার বিশ্বকাপের 'বি' গ্রুপের ম্যাচটি ১-১ গোলে ড্র হয়েছে। প্রথমার্ধে টিমোথি উইয়াহর লক্ষ্যভেদে এগিয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। বিরতির পর ম্যাচের শেষদিকে স্পট-কিক থেকে ওয়েলসকে সমতায় ফেরান বেল।

ম্যাচের নবম মিনিটেই গোল পেয়ে যেতে পারত যুক্তরাষ্ট্র। ডানপ্রান্ত থেকে উইয়াহর ক্রস বিপদমুক্ত করতে গিয়ে নিজেদের জালে প্রায় পাঠিয়ে ফেলেছিলেন ওয়েলসের ডিফেন্ডার জো রোডন। তার হেড সতীর্থ গোলরক্ষক ওয়েইন হেনেসি কোনোমতে ফিরিয়ে দেন। কিছুক্ষণের ব্যবধানে ফের হতাশ হতে হয় আমেরিকানদের। অ্যান্টনি রবিনসনের ক্রসে ফরোয়ার্ড জশুয়া সার্জেন্টের প্রচেষ্টা বাধা পায় পোস্টে।

১৫তম মিনিটে প্রতিপক্ষের রক্ষণে ভীতি ছড়ানোর চেষ্টা করে ওয়েলস। ডি-বক্সের বাইরে থেকে মিডফিল্ডার ইথান আমপাডুর দূরপাল্লার শট অবশ্য লক্ষ্যের ধারেকাছেও ছিল না। ২৯তম মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের সের্জিনো ডেস্ট শট নেন ৩০ গজ দূর থেকে। বার্সেলোনা থেকে বর্তমানে ধারে এসি মিলানে খেলা ডিফেন্ডারের শট ক্রসবারের অনেক উপর দিয়ে চলে যায়।

সাত মিনিট পর ২২ বছর বয়সী উইয়াহর কল্যাণে কাঙ্ক্ষিত গোল পেয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। মাঝমাঠে সার্জেন্টের কাছ থেকে বল পেয়ে সামনে এগোতে থাকেন ক্রিস্টিয়ান পুলিসিচ। চেলসির ফরোয়ার্ডের অসাধারণ থ্রু বলে এলোমেলো হয়ে যায় ওয়েলসের রক্ষণভাগ। ডি-বক্সে ঢুকে পড়া উইয়াহকে কেবল পরাস্ত করতে হতো হেনেসিকে। ঠাণ্ডা মাথায় দারুণভাবে বল জালে পাঠিয়ে দলকে উল্লাসে মাতান তিনি।

উইয়াহ লাইবেরিয়ার কিংবদন্তি ফুটবলার জর্জ উইয়াহর ছেলে। সিনিয়র উইয়াহ ১৯৯৫ সালে ফিফা বর্ষসেরা ফুটবলার হওয়ার পাশাপাশি আফ্রিকার প্রথম ও এখন পর্যন্ত একমাত্র খেলোয়াড় হিসেবে জিতেছিলেন ব্যালন ডি'অর। ২০১৮ সাল থেকে তিনি নিজ দেশের রাষ্ট্রপতির দায়িত্ব পালন করছেন। নাগরিকত্ব ও পিতা-মাতার আবাসস্থলের সুবাদে জুনিয়র উইয়াহর লাইবেরিয়ার সঙ্গে সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্র, জ্যামাইকা ও ফ্রান্সের হয়ে আন্তর্জাতিক ফুটবল খেলার সুযোগ ছিল। তিনি বেছে নেন জন্মস্থান যুক্তরাষ্ট্রকেই।

বিস্তারিত আসছে...