বাংলাদেশের ক্রীড়াঙ্গনে এখন সবচেয়ে বড় তারকা হামজা চৌধুরী, শামিত সোম, ফাহমিদুলরা। ক্রিকেটে ভাটার টান লেগেছে। অনেকেই ক্রিকেটের খবর রাখতেও রাজি নয় যেন এখন। সব উম্মাদনা হামজা চৌধুরীদের ঘিরে। এরই মধ্যে ঢাকা স্টেডিয়ামে ভুটানের বিপক্ষে একটি ফিফা আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ খেলে ফেলেছে হামজা চৌধুরীরা। ১০ জুন তারা খেলবে সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে। এশিয়ান কাপ কোয়ালিফাইং রাউন্ডের ম্যাচ এটি।

এরই ফাঁকে আজ উদযাপিত হলো ঈদুল আযহা। বাংলাদেশ দলের ফুটবলাররা ঈদ উদযাপন করেছেন হোটেলেই। সেখান থেকে আবার বিকেলে নামতে হয়েছে মাঠে। ক্লোজডোর অনুশীলন করেছেন হামজা চৌধুরীরা।

 

রাজধানীর ইন্টারকন্টিনেন্টাল হোটেলে রয়েছে বাংলাদেশ ফুটবল দল। ঈদের দিন ফুটবলার, কোচিং স্টাফ ও সাপোর্ট স্টাফদের জন্য উপহার হিসেবে বাফুফের পক্ষ থেকে উপহার দেয়া হয় সাদা পাঞ্জাবি। সেই পাঞ্জাবি পরেই তারা সকাল সাতটায় হোটেলের পাশে চাঁদ মসজিদে ঈদের জামাতে অংশ নেন।

football

 

বাফুফের তিন নির্বাহী সদস্য- ইমতিয়াজ হামিদ সবুজ, সাখাওয়াত হোসেন ভূঁইয়া ও ইকবাল হোসেনও ছিলেন ফুটবলারদের সঙ্গে ঈদের নামাজে। নামাজ শেষে স্থানীয় মুসল্লিদের সঙ্গে ঈদ শুভেচ্ছা বিনিময় করে হোটেলে ফেরেন। সেখানে নিজেরা ঈদের শুভেচ্ছা বিনিময় করেন।

সকালের নিয়মিত নাশতার বাইরে ঈদের বিশেষ আয়োজনে ছিল সেমাই। দুপুরের মেন্যু সাধারণ দিনের মতো, তবে রাতে বিশেষ খাবার পরিবেশন করা হবে বলে জানা গেছে। সকালে খেলোয়াড়দের ব্যক্তিগত কিছু সময় দেওয়া হয়। ঢাকায় বাসা থাকা খেলোয়াড়রা পরিবারের কাছে যান, অন্যরা হোটেলই সময় কাটিয়েছে। তবে দুপুর ২টার মধ্যাহ্নভোজে সবার উপস্থিতি নিশ্চিত করা হয়।

এরপর বিকেলেই অনুশীলন মাঠে নেমে যেতে হয় কোচ ক্যাবরেরার তত্বাবধানে। বাফুফে থেকে আগেই জানিয়ে দেয়া হয়েছে, এটা হবে ক্লোজডোর অনুশীলন।

 

hamza

 

 

 

হামজা চৌধুরী দুপুরের আগে কিছু সময়ের জন্য বাইরে গিয়েছিলেন। দেশবাসীকে ঈদের শুভেচ্ছা জানিয়ে তিনি বলেছেন, ১০ জুন সিঙ্গাপুরের বিপক্ষে জিততে পারলে সেটাই হবে তাদের সত্যিকারের ঈদ আনন্দ। শামিত সোম রুমেই ছিলেন, তার চাচা এসেছিলেন দেখা করতে। ফাহামিদুলের মায়ের আসার কথা ছিল। আরও কয়েকজন খেলোয়াড়ের পরিবার সদস্যরা হোটেলে এসে দেখা করেছেন, শুভেচ্ছা বিনিময় করেছেন।