যদিও ফারুক আহমেদের দাবি, তিনি হাল ছাড়ার পাত্র নন, লড়াই চালিয়ে যাবেন এবং আইসিসির কাছে জানিয়েছেন, তাকে জোরপূর্বক অন্যায়ভাবে বিসিবি সভাপতির পদ থেকে সরানো হয়েছে।
তার সে দাবি ধোপে টিকবে কি না, আইসিসি ফারুক আহমেদের দাবির প্রতি সহানুভুতি দেখিয়ে বিসিবিকে নোটিশ করবে কি না, সে উত্তর দেবে সময়। তবে এখনকার খবর হলো, সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে শেষ পর্যন্ত আগামী চার মাসের জন্য (বিসিবি নির্বাচনের আগ পর্যন্ত) বিসিবির নতুন সভাপতি হতে যাচ্ছেন আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
সবকিছু ঠিক থাকলে আগামীকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় বোর্ড পরিচালনা পর্ষদের পরবর্তী সভা ডাকা হয়েছে এবং বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, সেই বোর্ড সভাতেই বিসিবির নতুন সভাপতি পদে আসীন হতে যাচ্ছেন, জাতীয় দলের সাবেক অধিনায়ক ও টেস্টে বাংলাদেশের প্রথম সেঞ্চুরিয়ান আমিনুল ইসলাম বুলবুল।
বিসিবির নির্ভরযোগ্য সূত্র জানিয়েছে, বৃহষ্পতিবার পড়ন্ত বিকেলে বিসিবির আট পরিচালক ফারুক আহমেদের প্রতি অনাস্থা জ্ঞাপন করার ঘণ্টা কয়েকের মধ্যেই জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষ থেকে বিসিবিতে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিলের চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠি পাঠানোর পর জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ থেকে বিসিবিতে আরও একটি চিঠি প্রেরণ করা হয়। তাতে এনএসসির নির্ধারিত ৫ মনোনীত কাউন্সিলরের মধ্যে ফারুক আহমেদের মনোনয়ন বাতিল করে আমিনুল ইসলাম বুলবুলকে মনোনয়ন দেয়ার কথা জানানো হয়েছে।
সূত্র আরও জানায়, আগামীকাল শুক্রবার বিকেল সাড়ে ৪টায় ফারুককে ছাড়াই নতুন পরিচালক পর্ষদের সভা অনুষ্ঠিত হবে এবং সে সভায় সভাপতিত্ব করবেন বিসিবির অন্যতম পরিচালক নাজমুল আবেদিন ফাহিম।
সেই সভাতেই বুলবুলকে নতুন বোর্ড পরিচালক হিসেবে গ্রহণ করা হবে। বুলবুল পরিচালক হওয়ার পর নতুন সভাপতি নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। সূত্রের দাবি, বুলবুল সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন এবং আশা করা যায়, বুলবুলকেই সর্বসম্মতিক্রমে নতুন বিসিবি সভাপতি হিসেবে নির্বাচিতও হয়ে যাবেন।
বোর্ডের উচ্চ পর্যায়ের ওই দায়িত্বশীল সূত্র নিশ্চিত করেছে, যে সভায় আমিনুল ইসলাম বুলবুলের পরিচালক পদ অনুমোদিত ও গ্রহণ করা হবে, সে সভায় আকরাম খানও উপস্থিত থাকবেন। বলে রাখা ভাল, যদিও আকরাম আজ তার আপন ছোট ভায়রা ভাই ফারুকের বিপক্ষে অনাস্থা জ্ঞাপন করা চিঠিতে স্বাক্ষর করেননি, তারপরও তিনি শুক্রবার যে সভায় ফারুকের বদলে বুলবুল নতুন সভাপতি হিসেবে নির্বাচিত হবেন, তাতে উপস্থিত থাকবেন।
বিজ্ঞাপন