শেষ ওভারে জয়ের জন্য রাজস্থান রয়্যালসের দরকার ছিল ৯ রান। হাতে ৭ উইকেট। মিচেল স্টার্কের করা শেষ ওভারে এসে হলো রুদ্ধশ্বাস এক টাই। সিমরন হেটমায়ার আর ধ্রুব জুরেল মিলে ৮ রানের বেশি তুলতে পারলেন না।

স্টার্ক শেষ বলটা ইয়র্কার দিলে ডিপ মিডউইকেটে ঠেলে দুই রান নিতে যান জুরেল। কিন্তু এক নেয়ার পর আরেকটি রান সম্পূর্ণ করতে পারেননি। ফলে ম্যাচ গড়ায় সুপার ওভারে।

 

সুপার ওভারে দিল্লির হয়ে ফের বল হাতে নেন স্টার্ক। সিমরন হেটমায়ার আর রিয়ান পরাগ নামেন ব্যাটিংয়ে। হেটমায়ার আর পরাগ একটি করে বাউন্ডারি হাঁকান। তবে ৫ বলেই ২ উইকেট হারায় রাজস্থান, করে ১১। ফলে দিল্লি ক্যাপিটালসের দরকার পড়ে ১২ রান।

রাজস্থান সুপার ওভারে বল দেয় সন্দিপ শর্মাকে। ব্যাটিংয়ে নামেন ত্রিস্তান স্টাবস আর লোকেশ রাহুল। কোনো নাটক হয়নি। রাহুলের বাউন্ডারি আর স্টাবসের ছক্কায় চার বলেই জয় তুলে নেয় দিল্লি।

 

এর আগে দিল্লির ৫ উইকেটে ১৮৮ রানের জবাবে ৪ উইকেটে সমান রান করেই থামে রাজস্থান।

অথচ জসশ্বী জয়সওয়াল আর নিতিশ রানার জোড়া হাফসেঞ্চুরিতে ভর করে সহজ জয়ের পথেই ছিল রাজস্থান। কিন্তু শেষ ওভারে এসে ম্যাচ বের করতে পারেনি।

জয়সওয়াল ৩৭ বলে ৩ চার আর ৪ ছক্কায় করেন ৫১ রান। নিতিশ রানা ২৮ বলে ৬ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় খেলেন ৫১ রানের ইনিংস। এছাড়া সঞ্জু স্যামসন ১৯ বলে ৩১ আর রান তাড়ায় শেষ বলে আউট হওয়া জুরেল করেন ১৭ বলে ২৬ রান।

 

তার আগে ১৫ ওভার শেষে দিল্লি ক্যাপিটালসের বোর্ডে ছিল ৪ উইকেটে ১১১ রান। শেষ ৫ ওভারে আর এক উইকেট হারিয়ে ৭৭ রান তুলেছে স্বাগতিকরা। সবমিলিয়ে তাদের সংগ্রহ দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ১৮৮ রানের।

ঘরের মাঠে টস হেরে ব্যাট করতে নেমে অভিষেক পোরেলের ব্যাটে উড়ন্ত সূচনা পায় দিল্লি। তবে ১৪ বলে ৩৪ রান ওঠার পর আর কোনো রান যোগ না হতেই ২ উইকেট হারিয়ে বসে স্বাগতিকরা।

জ্যাক-ফ্রেসার ম্যাকার্গ ৬ বলে ৯ আর করুণ নায়ার ৩ বলে ০ করে সাজঘরে ফেরেন। তৃতীয় উইকেটে ৫৭ বলে ৬৩ রান যোগ করেন লোকেশ রাহুল আর অভিষেক। লোকেশ ৩২ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ৩৮ করে আউট হন।

 

হাফসেঞ্চুরির দোরগোড়ায় ছিলেন অভিষেক পোরেল। কিন্তু ৩৭ বলে ৪৯ করে হাসারাঙ্গার শিকার হতে হয় তাকে। পোরেলের ইনিংসে ছিল ৫ চার আর ১ ছক্কার মার। ১০৫ রানে ৪ উইকেট হারায় দিল্লি।

সেখান থেকে ত্রিস্টান স্টাবস আর অক্ষর প্যাটেল হাল ধরেন, ১৯ বলে ৪১ রানের ঝোড়ো জুটি গড়েন তারা। ১৪ বলে ৪ বাউন্ডারি আর ২ ছক্কায় ৩৪ রানের ক্যামিও উপহার দিয়ে থামেন অক্ষর।

এরপর স্টাবস আর আশুতোষ শর্মা শেষ দুই ওভারে ঝড় তুলে দিল্লিকে চ্যালেঞ্জিং সংগ্রহ এনে দেন। ১৯তম ওভারে ১৬ আর শেষ ওভারে ১৯ রান তোলে দিল্লি। স্টাবস ১৮ বলে ২টি করে চার-ছক্কায় ৩৪ আর আশুতোষ ১১ বলে ১৫ রানে অপরাজিত থাকেন।

 

 

 

জোফরা আর্চার ৩২ রানের বিনিময়ে শিকার করেন ২টি উইকেট।