বাংলাদেশের হারের পেছনে কারণ কী? একাদশে বাড়তি একজন স্পিনার না খেলানো নাকি বাংলাদেশের বাজে ব্যাটিং? ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্ত কাঠগড়ায় দাঁড় করালেন ব্যাটারদেরই। তার মতে, ব্যাটিংয়ের প্রথম ১০ ওভারেই ম্যাচ হাতছাড়া হয়ে গিয়েছে।
দুবাইয়ে টসে জিতে প্রথমে ব্যাট করতে নেমে ৮.৩ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ৫ উইকেটে ৩৫ রান। সেই সময় জাকের আলির ক্যাচটা রোহিত শর্মা নিয়ে নিলে বাংলাদেশের অবস্থা আরও খারাপ হতো। তবে ক্যাচটা নিতে পারেননি রোহিত। সেই অবস্থায় শেষপর্যন্ত ২২৮ রান তোলে বাংলাদেশ। তাওহিদ হৃদয় হাঁকান বীরোচিত এক সেঞ্চুরি (১০০)। ৬৮ রান করেন জাকের।
তবে ২২৮ রানের পুঁজি নিয়ে ভারতের সঙ্গে তেমন লড়াই করতে পারেনি বাংলাদেশ। ম্যাচ হেরেছে ৬ উইকেটের বড় ব্যবধানে।
ম্যাচ শেষে বাংলাদেশ অধিনায়ক শান্ত বলেন, আমার মতে, ‘প্রথম পাওয়ার প্লেতে আমরা যেভাবে ব্যাট করেছি, সেটা আমাদের বিপদ ডেকে এনেছে। ওখান থেকে ম্যাচে ফিরে আসা খুব কঠিন কাজ। তারপরও হৃদয় এবং জাকের যেভাবে ব্যাট করেছে, সেটা দুর্দান্ত। ফিল্ডিংয়ের সময় আমরা কয়েকটি ভুল করেছি। ক্যাচ ফস্কেছি আমরা। রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া করেছি।’
দুবাইয়ের পিচ পড়তে কি ভুল করেছিলেন? দলে একজন বাড়তি স্পিনার থাকলে ভারতকে কি আরও চাপে ফেলে দেওয়া যেতো? একাদশ নির্বাচনে কি গলদ ছিল? তা মানতে রাজি হলেন না বাংলাদেশের অধিনায়ক।
তিনি দাবি করেন, প্রথম একাদশে বাড়তি কোনও স্পিনারের প্রয়োজন ছিল বলে মনে করেন না। বরং নতুন বলে যদি ভারতের উইকেট তুলে নেওয়া যেতো, তাহলে ম্যাচের ফলাফল অন্যরকম হতে পারতো।