টানা আট ম্যাচ জিতে প্লে-অফ নিশ্চিত করা রংপুর রাইডার্সকে যেন চেনাই যাচ্ছে না। প্রায় অজেয় হয়ে ওঠা দলটি টানা চার ম্যাচ হারলো এরপর। আজ (বৃহস্পতিবার) রংপুরকে ৪৬ রানে হারিয়েছে খুলনা টাইগার্স।

খুলনার জন্য এটি ছিল বাঁচামরার ম্যাচ। প্লে-অফের লড়াইয়ে টিকে থাকতে জিততেই হতো মেহেদী হাসান মিরাজের দলকে। তারা সেই জয় তুলে নিলো সহজেই।

 

১১ ম্যাচ শেষে খুলনার পয়েন্ট এখন ১০। ১২ ম্যাচে দুর্বার রাজশাহী আর ১০ ম্যাচে চিটাগং কিংস ১২ পয়েন্ট করে নিয়ে আছে তাদের ওপরে।

বোলাররাই আজ ডুবিয়েছেন রংপুরকে। ব্যাটারদের সামনে জয়ের লক্ষ্য ছিল ২২১ রানের। এত বড় লক্ষ্য তাড়া করে আর জেতা হয়ে উঠেনি নুরুল হাসান সোহানের দলের।

 

বলতে গেলে একাই লড়াই করেছেন সৌম্য সরকার। ওপেন করতে নেমে ইনিংসের শেষ ওভার পর্যন্ত খেলেছেন। কিন্তু তার ঝোড়ো ইনিংসটি দলের পরাজয়ের ব্যবধান কমানো ছাড়া আর কোনো কাজে আসেনি। ৪৮ বলে ৭৪ রানের ইনিংসে ৬টি চার আর ৫টি ছক্কা হাঁকান সৌম্য।

এছাড়া শেখ মেহেদী ১৪ বলে দুটি করে চার-ছক্কায় ২৭, ইফতিখার আহমেদ ১৫ বলে ১৯, মোহাম্মদ সাইফউদ্দিন ১০ বলে ১৮ আর রাকিবুল হাসান ৬ বলে ২ ছক্কায় করেন ১৪ রান।

দলে সুযোগ পেয়েই মুশফিক হাসান ২৪ রানে শিকার করেন ৩টি উইকেট। ৮ রানে ২ উইকেট নেন মোহাম্মদ নওয়াজ।

 

এর আগে ওপেনার নাইম শেখের বিধ্বংসী সেঞ্চুরিতে ৪ উইকেটে ২২০ রানের বিশাল সংগ্রহ গড়েছিল খুলনা টাইগার্স।

শেরে বাংলায় বাঁচামরার ম্যাচে টস জিতে ব্যাটিং বেছে নেন খুলনা অধিনায়ক মেহেদী হাসান মিরাজ। নাইম শেখের সঙ্গে ওপেন করে বিধ্বংসী হয়ে খেলার চেষ্টাও করেন তিনি।

মিরাজের ইনিংসটা অবশ্য বড় হয়নি। প্রথম ওভারেই ১৬ রান তোলা মিরাজ আউট হয়ে গেছেন ১২ বলে ২১ রান করে। অ্যালেক্স রস ১৪ বলে ১২ রান করে আউট হন।

 

২১ বলে ৩৬ রান করে খুলনাকে বড় পুঁজি গড়ার পথে সহায়তা করেন উইলিয়ান বসিস্টো। তৃতীয় উইকেটে নাইম শেখের সঙ্গে ৪৭ বলে ৮৮ রানের জুটি করেন তিনি।

চতুর্থ উইকেটে মাহিদুল ইসলাম অংকনকে নিয়ে আরও একটি ঝোড়ো জুটি করেন নাইম। এই জুটিতে তারা যোগ করেন ৩২ বলে ৭০ রান। ৫৫ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন নাইম।

১৫ বলে ২৯ রান করে অংকন আউট হলে জুটি ভাঙে। শেষ পর্যন্ত নাইম শেখ অপরাজিত থাকেন ৬২ বলে ১১১ রানে। ৭ চারের সঙ্গে হাঁকান ৮টি ছক্কা।

 

রংপুরের হয়ে ১টি করে উইকেট শিকার করেন শেখ মেহেদী, আকিফ জাভেদ ও ইফতেখার আহমেদ।