চট্টগ্রাম টেস্টে যেভাবে উইকেটের মিছিলে যোগ দিয়েছিলেন বাংলাদেশের ব্যাটাররা তাতে হার নিশ্চিতই ছিল। দেখার বিষয় ছিল, ব্যবধানটা কতটুকু কমাতে পারবেন মুশফিকুর রহিম-নাজমুল হোসেন শান্তরা। ব্যবধানটা শেষ পর্যন্ত থেমেছে ইনিংস ও ২৭৩ রানে।
ধবলধোলাই হওয়ার ম্যাচে এতটাই বাজে খেলেছে বাংলাদেশ দুই ইনিংস মিলিয়েও দক্ষিণ আফ্রিকার দেওয়া ফলো-অন এড়াতে পারেনি।
প্রথম ইনিংসে ৮ জন ব্যাটারের বিপরীতে দ্বিতীয় ইনিংসে ৭ ব্যাটার দুই অঙ্কের ঘর স্পর্শ করতে পারেনি। ঘরের মাঠে স্বাগতিকদের ধসিয়ে দিল প্রোটিয়ারা। দ্বিতীয় ইনিংসে বাংলাদেশকে অল্পতে অলআউট করতে শুরুটা করেছেন সেনুরান মুতুসামি।
ইনিংস ও ২৭৩ রানের হারে বিব্রতকর রেকর্ড গড়েছে বাংলাদেশ। প্রতিপক্ষের বিপক্ষে সবচেয়ে বড় ব্যবধানের পরাজয় টেস্টে।
প্রোটিয়াদের বিপক্ষে বড় ব্যবধানের হারটাই সব মিলিয়ে বাংলাদেশের দ্বিতীয় বড় পরাজয়। ২০০২ সালে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে ঢাকায় ইনিংস ও ৩১০ রানের সর্বোচ্চ হারটি হেরেছিল বাংলাদেশ। এ জয়ে একটা অপেক্ষা ঘুচেছে দক্ষিণ আফ্রিকার। ২০১৪ সালের পর এশিয়ার মাটিতে সিরিজ জিতেছে প্রোটিয়ারা। সিরিজ হিসেবে ৫ সিরিজ পর। ১৭৭ রানের ইনিংস খেলা টনি ডি জর্জির ম্যাচসেরার বিপরীতে সিরিজে ১৪ উইকেট নিয়ে সিরিজসেরা হয়েছেন কাগিসো রাবাদা।