দীর্ঘ ২৪ বছরের টেস্ট ইতিহাস বাংলাদেশের। তবে দলের কোনো ব্যাটারই ৬ হাজার রানের রেকর্ড গড়তে পারেননি। বাংলাদেশের সেই আক্ষেপ আজ ঘুচিয়েছেন মুশফিকুর রহিম। 

প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে দীর্ঘতম সংস্করণে ৬ হাজার রানের রেকর্ড গড়েছেন মুশফিক।

মাইলফলকটি যে তিনি গড়বেন, সেটা আগে থেকেই জানা ছিল। কেননা কীর্তি গড়তে তার মিরপুর টেস্টে প্রয়োজন ছিল ৩৯ রান। প্রথম ইনিংসে ১১ রান করে সমীকরণটা ২৮ রানে নিয়ে আসেন উইকেটরক্ষক-ব্যাটার। আজ টেস্টের দ্বিতীয় দিন শেষে ৩১ রান অপরাজিত থাকার পথে রেকর্ডটি গড়েন তিনি।
৫১৩৪ রান নিয়ে দুই আছেন তামিম ইকবাল।

 

33
বাংলাদেশের প্রথম ব্যাটার হিসেবে টেস্টে ৬ হাজার রানের রেকর্ড গড়েছেন মুশফিক। ছবি : কালের কণ্ঠ

মুশফিকের রেকর্ড গড়ার পরেই দ্বিতীয় দিনের খেলা শেষ হয়। দিনশেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ১০১ রান।

দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে হার এড়াতে হলে অবিশ্বাস্য কিছু করতে হবে বাংলাদেশকে। কেননা প্রতিপক্ষের প্রথম ইনিংসের রান শোধ দিতে এখনো ১০১ রান প্রয়োজন স্বাগতিকদের। এরপর লক্ষ্যে দেওয়ার পালা। লক্ষ্যেটাও ছোট দিলে হবে না। কারণ টেস্ট শেষ হতে এখনো ৩ দিন বাকি রয়েছে।
অবস্থাদৃষ্টে মনে হচ্ছে বাংলাদেশের হার এখন সময়ের ব্যাপার। 

 

আগামীকাল এত সব চাপ সামলানোর দায়িত্ব থাকবে দুই অপরাজিত ব্যাটার মুশফিক ও মাহমুদুল হাসান জয়ের কাঁধে। উইকেট না হারিয়ে আজ শেষ বিকেলটা শেষ করার দায়িত্বের চেয়েও অনেক বড়। প্রতিপক্ষের চেয়ে ২০২ রানে পিছিয়ে থেকে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করতে এবার শুরুটা হয় ধাক্কায়। ৪ রানের মাথায় ড্রেসিংরুমে ফেরেন সাদমান ইসলাম (১) ও মমিনুল হক (০)। 

এমন কঠিন সময়ে দলের হাল ধরার কথা ছিল নাজমুল হোসেন শান্তর। কারণ দলের প্রয়োজনের সময় সামনে থেকে নেতৃত্ব দেওয়াই অধিনায়কের দায়িত্ব। কিন্তু দেখেশুনে শুরুটা করলেও দায়িত্ব নিতে পারেননি তিনি। দলীয় ৫৯ রানে তৃতীয় ব্যাটার হিসেবে আউট হন তিনি। তার ইনিংস থামে ২৩ রানে। ড্রেসিংরুমে ফেরার আগে অবশ্য তৃতীয় উইকেটে ৫৫ রানের ছোট্ট এক জুটি গড়েছেন তিনি।

চতুর্থ উইকেটে অপরাজিত ৪২ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেছেন জয়-মুশফিক। দিনের শেষ বলে অবশ্য ড্রেসিংরুমের পথ প্রায় ধরেই ফেলেছিলেন জয়। শেষ পর্যন্ত তা হয়নি ড্যান পিটের বলে উইকেটরক্ষক কাইল ভেরেইনার দেরিতে স্ট্যাম্পিং করায়। আগামীকাল ৩৮ রান নিয়ে মুশফিকের সঙ্গে তৃতীয় দিন শুরু করবেন জয়।

এর আগে ৬ উইকেটে ১৪০ রান নিয়ে দিন শুরু করা দক্ষিণ আফ্রিকা ৩০৮ রানে অলআউট হয়েছে। প্রোটিয়াদের ২০২ রানের বড় লিড এনে দেওয়ার পেছনে অনবদ্য অবদান রেখেছেন ভেরেইনার। মিরপুরে ওয়ানডে স্টাইলে অসাধারণ এক সেঞ্চুরি করেছেন তিনি। ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি সাজিয়েছেন ১০০.০০ স্ট্রাইক রেটে ৮ চার ও ২ ছক্কায়। শেষ ব্যাটার হিসেবে আউট হন ১১৪ রানে।